দীন যে, দীনের বন্ধু! উজ্জ্বল জগতে
হেমাদ্রির হেম-কান্তি অম্লান কিরণে।
কিন্তু ভাগ্যবলে! পেয়ে সে মহাপর্ব্বতে,
যে জন আশ্রয় লয় সুবর্ণ চরণে,
সেই জানে কত গুণ ধরে কত মতে
গিরীশ! কি সেবা তার সে সুখ-সদনে!—
দানে বারি নদীরূপ বিমলা কিঙ্করী;
যোগায় অমৃত ফল পরম আদরে
দীর্ঘ শির তরুদল, দাসরূপ ধরি’;
পরিমল ফুল-কুল দশ দিশ ভরে’
দিবসে শীতলশ্বাসী ছায়া, বনেশ্বরী
নিশায় সুশান্ত নিদ্রা, ক্লান্তি দূর করে।”
১২৭৩ সালে ফাল্গুন মাসে (১৮৬৭ খৃষ্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাসে) মাইকেল, বিলাত হইতে কলিকাতায় আগমন করেন। তখনও তিনি নিঃস্ব। তাঁহাকে এক রকম নিরন্ন বলিলেও বোধ হয়, অত্যুক্তি হয় না। মাইকেল বিলাত হইতে আসিবার পূর্ব্বে বিদ্যাসাগরকে পত্র লিখিয়াছিলেন। বিদ্যাসাগর মহাশয়, তাঁহার জন্য একটা ত্রিতল বাড়ী সাজাইয়া গুছাইয়া রাখিয়াছিলেন। মাইকেল আসিয়া কিন্তু একটা হোটেলে থাকেন। বিদ্যাসাগর মহাশয় তাঁহাকে সেই হোটেল হইতে তুলিয়া লইয়া আসেন। “বারিষ্টারি” কার্য্যে প্রবেশ করিবার পক্ষে মাইকেলের একটা অন্তরায় উপস্থিত হইয়াছিল। বিদ্যাসাগর মহাশরের সাহায্যে সেই