আমার নিকট নাই, তাহা আমি ছিঁড়িয়া ফেলিয়াছি। তিনি আমাকে চক্দিঘীতে যাইবার কথা লিখেন। আমি চক্দিঘীতে যাই। কিন্তু আষাঢ় মাসে কি অন্য কোন মাসে এবং কোন্ তারিখে গিয়াছিলাম, তাহা আমার স্মরণ নাই। আমি ঠাকুর প্রসাদ নামধারী কোন লোককে জানি না। একটা লোক আমাকে চক্দিঘী লইয়া যাইবার জন্য এক খানি চিঠি লইয়া আসে। ঐ চিঠি দিবার দুই তিন দিবস পরে আমি চক্দিঘী যাই।
ইহার পরেও ৩ এ নং কাগজে দেখিয়া সাক্ষী বলেন,—আমি জানি না, এই কাগজের উপর লেখা কাহার হস্তের। আমি সারদা বাবুর বাঙ্গালা হস্তাক্ষর দেখি নাই। যখন আমি চক্দিঘী গিয়াছিলাম, তখন ১৮৬০ খৃষ্টাব্দের ২৭ ধারা মতে এবং ১৮৫৮ খ্রীষ্টাব্দের ৪০ ধারামতে সাটফিকেট লওয়া হয় নাই। যখন আমি চক্দিঘীতে গিয়াছিলাম, তখন আমি রাজেশ্বরীকে প্রথমে কিছু বলি নাই। তিনি আমাকে জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন যে, আপনি উইলের খসড়া দেখিয়াছিলেন, এবং এক্ষণে উইলের নকল দেখিয়াছেন। প্রথমে এই এই হাল উইল আমার স্বামীর ইচ্ছামত হইয়াছে কি না? তাহাতে আমি উত্তর দিয়াছিলাম, দুটা একটা বিষয়ে একটু তফাৎ আছে। তদ্ভিন্ন আর সমস্ত বিষয় তাঁহার ইচ্ছামত হইয়াছে। ইহার পরে তিনি পুনর্ব্বার আমাকে জিজ্ঞাসা করেন যে, নানালোক এ বিষয়ে নানাকথা কহিতেছে, এখন আমার কি করা উচিত? তাহাতে আমি উত্তর দিয়াছিলাম, আপনার স্বামী যেরূপ বলিয়া গিয়াছেন, সেইরূপ করাই উচিত। লোকে যাহা বলে, সেইরূপ করা উচিত নয়।
উপরে যাহা বলা হইল, ইহা তাঁহার সহিত কথা কহিবার ফল।