প্রকোষ্ঠটী পূর্ব্ববৎ সজ্জিত আছে এবং অনেকেই তীর্থস্থান মনে করিয়া সেটি দেখিতে যান। রমকৃষ্ণ অতি মধুরস্বরে গান গাহিতে গাহিতে বা উপদেশ দিতে দিতে অনেক সময় ভাবে বিভোর হইয়া সংজ্ঞাশূণ্য হইতেন। ১৮৮৬ খৃষ্টাব্দে ১৬ই আগষ্ট এই মহাত্মার মর্ত্তলীলা শেষ হয়। বঙ্গের অনেক শিক্ষিত লোক ইঁহাকে অবতার স্বরূপে ভক্তি শ্রদ্ধা করিয়া থাকেন। ইঁহার আবির্ভাব ও তিরোভাবের দিন পর্ব্বদিন জ্ঞানে ইঁহাদের দ্বারা ঐ ঐ দিবলে মহোৎসব সম্পাদিত হয়। রামকৃষ্ণের নামযুক্ত অনেক গুলি সদনুষ্ঠান ভারতের নানা স্থানে হইয়াছে; সেখানে দুঃখী ও পীড়িতগণ সাহায্য পায়। একজন অপেক্ষাকৃত শিক্ষাবিহীন পূজারী ব্রাহ্মণ যে ভারত ও জামেরিকাবাসী শিক্ষিত সম্প্রদায়ের মনের মধ্যে এমন দৃঢ়ভাবে স্থান অধিকার করিতে পারিয়াছেন, ইহাতে স্বভাবতঃই মনে হয় যে, রামকৃষ্ণ পরমহংস অসাধারণ পুরুষ ছিলেন। চরিত্রের নির্ম্মলতা, সাংসারিক প্রলোভনের অতীত স্বভাব এবং ভগবদ্ভক্তির ঐকান্তিকতা ষে ইঁহার অসাধারণত্বের মূল ভিত্তি ছিল, সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নাই।
রাজকৃষ্ণ রায়।
জন্ম ১২৬২ সাল। শৈশবে মাতৃপিতৃহীন হইয়া ইনি মাতৃত্বসার যত্নে প্রতিপালিত হন। কিন্তু মাতৃত্বসার অবস্থা ভাল মা থাকায় ইঁহাকে অতি কষ্টে দিনপাত এৰং শিক্ষালাভ করিতে হইয়াছিল। ২১ বৎসর বয়সে ইনি আলবার্ট প্রেসের ম্যানেজার হন। পরে ইনি স্বয়ং “বীণা প্রেস” নাম দিয়া একটী