বিদ্যালয়ে পাঠার্থ প্রেরণ করেন, রামগোপাল তাঁহাদের অন্যতম। ইনি বঙ্গদেশীয় ব্যবস্থাপক সভার সভ্য ছিলেন এবং অনেক কমিটী ও দেশহিতকর অনুষ্ঠানের সহিত সংসৃষ্ট ছিলেন। শক্তিশালী ৰাঙ্গালী রাজনৈতিকগণের মধ্যে ইনি তৎসময়ে শীর্ষস্থান অধিকার করিয়াছিলেন। ১৮৫৩ খৃষ্টাব্দে ভারতবাসীদিগকে সিবিল সার্ব্বিসে লওয়া উচিত কিনা এই বিষয় লইয়া বিলাতের পাৰ্লিয়ামেণ্টে আন্দোলন উপস্থিত হইলে, রামগোপাল যে যুক্তিপূর্ণ সুদীর্ঘ বক্তৃতা দেন, তাহা পাঠ করিয়া ইংলণ্ডের লোকেরা চমকিত হইয়াছিলেন এবং উহা সুবিখ্যাত বাগী বার্কের বক্তৃতার সহিত তুলনা করিয়াছিলেন। ইঁহার দানশক্তিও যথেষ্ট ছিল। মৃত্যুর পূর্ব্বে আপনার তিন লক্ষ টাকার সম্পত্তির মধ্যে দাতব্য চিকিৎসালয়ে ২০ হাজার এবং বিশ্ব-বিদ্যালয়ে ৪০ হাজার টাকা দান করেন। বন্ধুগণের নিকট প্রায় ৪০ হাজার টাকা পাওনা ছিল, তাহার খতপত্র ছিঁড়িয়া ফেলিয়া এই টাকাও ছাড়িয়া দেন। বাঙ্গালা ১২৭৫ সালে (১৮৬৮ খৃঃ ১৫ই জানুয়ারী) ৫৪ বৎসর বয়সে ইঁহার দেহত্যাগ হয়।
প্যারিচাঁদ মিত্র।
‘আলালের ঘরের দুলাল' প্রভৃতি গ্রন্থ প্রণেতা। ১২২১ সালে শ্রাবণ মাসে কলিকাতা নিমতলার মিত্রবংশে ইনি জন্মগ্রহণ করেন। ইঁহার পিতার নাম রামনারায়ণ মিত্র। প্যারিচাঁদ বাঙ্গালা ও পারসী ভাষায় অভিজ্ঞতা লাভ করিয়া:৯ বৎসর বয়সে