হয় এবং ইনি আদালতের আশ্রয় লইঙে বাধ্য হন, কিন্তু মোকদ্দমা উঠিবার আগেই কর্তৃপক্ষীয়গণ ইঁহাকে পরীক্ষাত্তীর্ণের তালিকাভুক্ত করিয়া লন। ১৮৭১ খৃষ্টাব্দে ভারতে আসিয়া ইনি সিলেটের আসিষ্টেণ্ট ম্যাজিষ্ট্রেটস্বরূপে কার্য্য করেন। আদালতের নথী কাটাকাটি করিয়াছেন, এই হেতুবাদে ইঁহার নামে অভিযোগ উপস্থিত হইলে বেঙ্গল গভর্ণমেণ্ট তদন্ত করিয়া ইঁহাকে নিয়ম বিরুদ্ধ কার্য্য করার জন্য মাসিক ৫০৲ টাকা বৃত্তি দিয়া কর্ম্ম হইতে অপসারিত করেন। শুনা যায়, এই বৃত্তি ইনি গ্রহণ করেন নাই। বিদ্যাসাগর মহাশয় ইঁহাকে ১৮৭৬ খৃষ্টাব্দে কলিকাতা মেট্রোপলিটন ইনষ্টিটিউসনে ইংরাজি সাহিত্যের অধ্যাপনায় ২০০৲ শত টাকা বেতনে নিযুক্ত করেন; তাহার পর নব প্রতিষ্ঠিত সিটী কলেজে কিছুদিন অধ্যাপনা করিয়া ১৮৮১ খৃষ্টাব্দে ইনি ফি চার্চ ইনষ্টিটিউশনে ইংরাজি সাহিত্যের প্রধান অধ্যাপকের পদে অধিষ্ঠিত হন। এইখান হইতে ১৮৮২ খৃষ্টাব্দে বহুবাজারে নিজ প্রতিষ্ঠিত একটী বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করিবার জয় গমন করেন। এই বিদ্যালয় কালে রিপন কলেজ নামে প্রসিদ্ধি লাভ করিয়াছে। অল্পদিন হইল এই কলেজটী সুরেন্দ্রনাথ সাধারণের হস্তে দিয়াছেন। ইঁহার অধ্যাপনায় ছাত্রগণ এত মুগ্ধ যে, ছাত্রসমাজ ইহাকে গুরুর ন্যায় শ্রদ্ধা তক্তি করে। ইনিও ছাত্রমণ্ডলীকে পুত্ত্রে ন্যায় স্নেহ করেন। ১৮৭৬ খৃষ্টাব্দে ২৩শে জুলাই আনন্দমোহন বসুর সহযোগিতায় ইনি Indian Association নামক সমিতি স্থাপিত করিয়া এখন পর্যন্ত অতিশয় যোগ্যতায় সহিত ইহার সম্পাদকের কার্য করিতেছেন। ১৮৭৮ খৃষ্টাব্দে ইনি ‘বেঙ্গলি' পত্রের স্বত্ব কিনিয়া লন এবং ইহার সম্পাদনাযভার গ্রহণ
পাতা:বিদ্যাসাগর (বিহারীলাল সরকার).pdf/৭৫১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭১৪
বিদ্যাসাগর।