পাতা:বিধবাবিবাহের নিষেধক.pdf/১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিধবtধৰ্ম্মরক্ষা । ۹وسی ধৰ্ম্মকেই স্বীকার করেন অর্থাৎ যেসকল ধৰ্ম্মকে সৰ্ব্বদেশীয় সমুদয় ধাৰ্ম্মিকই ধৰ্ম্ম বলিয়া স্বীকার করেন, ইংরাজি নিপুণ অনেক হিন্দু সন্তান তন্মাত্রকেই ধৰ্ম্ম বলিয়া সমাদর করেন, এ ভিন্ন আমাদের হিন্দু সমাজে যে সকল চিরাচরিত ধৰ্ম্ম চর্চা আছে, যথা দ্বিজগণের সন্ধ্যাবন্দনাদি করা, শূদ্রের দ্বিজসেবাকরা, সৰ্ব্বজাতিরই পিতৃলোকের শ্রাদ্ধ তৰ্পণাদি করা জাতিভেদ বিবেচনা করিয়া আছার ব্যবহারে সতর্ক থাকা, এসকলকে ইংরাজি নিপুণ হিন্দুরা, প্রায় ধৰ্ম্মবলিয়া স্বীকার করেন না। তাহার কারণ ঐসকল ধৰ্ম্মের প্রকাশক বেদাদি বাক্যকে সত্য বাক্য বলিয় তাহার। বিশ্বাস করেন না। তাহাতেই তাহার শাস্ত্র বিধির উল্লঙ্ঘন করিয়া ও স্বেচ্ছাক্রমে আহার ব্যবহার করিয়া থাকেন কিন্তু যে সকল হিন্দুরা বেদ প্রভূতি শাস্ত্রে দৃঢ় বিশ্বাস করেন র্তাহারা কৃষ্ট সাধ্যহইলেও শাস্ত্র বিধির উল্লঙ্ঘন করেন না, এমন কি বহুতর ধন জনে সম্পন্ন অথচ সুবুদ্ধিমান হিন্দু ধাৰ্ম্মিকরা উত্তম উত্তম আহার দ্রব্য পরিত্যাগ করিয়। কখন হবিষ্যান্ন কখন উপবাসে কলষাপন করত ধৰ্ম্মসেবা করিয়া থাকেন । কোন কোন সময়ে রমণীয় শয্যা বসন ভূষণ কি পরমাসুন্দরী নিজবনিতা ইহাকেও পরিত্যাগ করিয়া কুশময় শয্যায় শয়ন, কাষায় বস্ত্র পরিধান অথবা কৌপীন পরিধানে কাল যাপন করেন, কিন্তু যাহাঁদের বেদাদি শাস্ত্রে বিশ্বাস নাই, বেদাদি প্রসিদ্ধ পরলোকের সুখ দুঃখেও তাহদের সুতরাং বিশ্বাস নাই। যদি পরলোকে বিশ্বাস না থাকিল তবে পরলোক চেষ্টী আৰ্য্যগণের কষ্ট কম্পন। দেখিলে অবশ্যই তঁহাদের মনে হয় যে, হায় । এব্যক্তি কি নিৰ্ব্বৈাধ, অকারণে এই দুঃখরাশি ভোগ করিতেছে, এই ভাবিয়.অবশ্যই তাহাদের হৃদয় দয়ার্দ্র হয় এবং দয়ার্দ্র হৃদয় হইয়। অবশ্যই তাহারা ঐ আৰ্য্য ধৰ্ম্মশীল ব্যক্তিদিগকে যে কোন কৌশলে ঐ কষ্ট কর ধৰ্ম্মচার হইতে নিবৃত্ত করিবার চেষ্টা করেন, শ্ৰীযুক্ত ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয় বিদ্যাবিভব, দয়া, দক্ষিণ্য, সৌজন্য প্রভৃতি সৰ্ব্বগুণেরই অাকর, কিন্তু র্তাহার বেদাদি শাস্ত্রে বিশ্বাস নুই, কি আছে, তাহা জ্ঞাত্ব নছি ; যদি বিশ্বাস না থাকে তবে হিন্দু বিধবাদিগন্ধুে