বিধবা ধৰ্ম্মরক্ষা । & যথ।—%ধৰ্ম্মে রক্ষতি ধাৰ্ম্মি কী-২” ধৰ্ম্মই ধাৰ্ম্মিক দিগকে রক্ষা করেন-- হে আৰ্য্যগণ ! আপনার যদিও ঐ ব্যবস্থা স্বীকার করেন ন৷ তথাপি সন্দিগ্ধচেতা হইয়াছেন ইহার সন্দেহ নাই ; অতএব কিঞ্চিৎ পরিশ্রম স্বীকার করিয়া আমার এই পুস্তকের আদ্যোপান্ত অবলোকন করিবেন তাহা হইলেই ঐ স^শয়ের নিরাকরণ হইবে । আমি বাল্যাবধি একাল পর্য্যন্ত কিছুদিন অধ্যয়ন করিয়াছি, এক্ষণে অধ্যাপনা করাইতেছি, বঙ্গীয় ভাষার অধিক সমালোচনা, করি না তজ্জন্য বোধ হয় আপনাদের শ্রবণ সুখ বিশেষ ৰূপে হইবে না, তবে ধৰ্ম্মের তত্ব জ্ঞানেচ্ছ,ব্যক্তিরা শ্রবণ সুখের অপেক্ষা করেন না, এই সাহসেই লিখিতে প্রবৃত্ত হইলাম । বিদ্যাসাগর মহাশয় যে সকল অনিষ্ট ঘটনা দেখাইয়। বিধবা বিবাহকে কৰ্ত্তব্য কৰ্ম্ম বলিয়াছেন আমি তদপেক্ষায় ভুরি ভূরি অনিষ্ট ঘটনা দেখাইয়া বিধবা বিবাহের অকৰ্ত্তব্যতা দেখাইব, কিন্তু অগ্রে সে সকল যুক্তি-কথার আবিষ্কার করিতে ক্ষান্ত থাকিলাম, কারণ, বেদ পরায়ণ আৰ্য্যগণ বেদ এবং বেদানুগত শাস্ত্রকেই সৰ্ব্বাপেক্ষা শিরোধাৰ্য্য করেন, শাস্ত্র বিরুদ্ধ বিষয়কে যুক্ত সঙ্গত হইলেও স্বীকার করেন না। কিন্তু শাস্ত্র সিদ্ধ ব্যবহারকে যুক্তি বিরুদ্ধ হইলে অম্লান বদনেই স্বীকার করেন। অতএব বিধবাবিবাহকে শাস্ত্র বিরুদ্ধ অকৰ্ত্তব্য কৰ্ম্ম বলিয়া অগ্ৰেই প্রতিপন্ন করা হইতেছে উপসংহারে যুক্তি প্রদর্শন করাইব। বিদ্যাসাগর মহাশয় যে সমুদয় শাস্ত্রকে অবলম্বন করিয়া বিধবা বিবাহকে শাস্ত্রানুমত কৰ্ত্তব্য কৰ্ম্ম বলিয়া ব্যবস্থা প্রকাশ করিয়াছেন, সেই সকল শাস্ত্র তাহার কৃত অর্থের সহিত আলোচনা করিলে, ভঁtহার কৃত অর্থ গুলিকে যদি অযথা অর্থ বলিয়। আপনার নিশ্চয় জানিতে পারেন, তবে তাহার প্রকাশিত ব্যবস্থাকুেও অব্যবস্থা বলিয়। জানিতে পারিবেন, অতএব বিদ্যাসাগর মহাশয়ের লিখিত পুস্তকাংশ ক্রমে ক্রমে উদ্ধৃত এবং আলোচিত হইতেছে। যে স্থানে এই চিহ্ন থাকিবে তদবধি বিদ্যাসাগর মহাশয়ের লিখন, আবার সমাপনে f এই চিকু থাকিবে । - -
- "কলিযুগে বিধবাবিবাহ শাস্ত্র বিহিত কর্তব্য কুৰ্ম্ম স্থির.
