ৰিধৰtধৰ্ম্মরক্ষণ । `న এখন বিবেচনা করুণ মনুর লক্ষণে দ্বিবচনান্ত ক্রিয়া, কর্তৃবিশেষণ হওয়াতে মাতা পিতা উভয়ে দান করিলেই দত্তক হইবে, আর পরাশরের লক্ষণে এক বচনান্ত ক্রিয়া, কর্তৃ বিশেষণ হওয়াতে পিতা অথবা পিতার অবর্তমানে কেবল মাতা দান করিলে ও দত্তক পুত্র হইবে, হিতকর দত্তক ধৰ্ম্মকে কলি যুগে ততোধিক হিতকর করিবার জন্য মনুর দত্তক লক্ষণে নির্ভর না করির পরাশর স্বতন্ত্র দত্তকের লক্ষণ করিলেন কিন্তু প্রথমোক্ত ঔরস পুত্ৰ এব৯ শেষোক্ত কৃত্রিম পুত্র এই দুয়ের কিছুই লক্ষণ করিলেন না ইহাতে সুস্পষ্ট ৰূপে পরাশরের এই অভিপ্রায় বোধ হইল ধৈ মনু যে যে লক্ষণ করিয়া ঔরস শব্দের এবং কৃত্রিম শব্দের অর্থ নিশ্চয় করিয়াছেন তাহাই অামার সম্মত কিন্তু দত্তক পদার্থে কলিযুগে স্বতন্ত্র মত আছে, অতএব স্বতন্ত্র লক্ষণ করিলাম। লোকে ব্যবহারও এই যে একজন বক্তৃতা করিবার সময়ে যে সকল শবদ প্রয়োগ করেণ তন্মধ্যে যদ্যপি কোন শব্দের কৃতন অর্থ করিতে হয় তবেই তাহ! স্বতন্ত্র করিয়া প্রকাশ করেণ, তার যে সকল শব্দের কোন অর্থ প্রকাশ করিলেন না তাহার প্রচলিত অর্থেই শ্রেতু গণের অর্থ নিশ্চয় হয়। একটা শব্দের দুই তিন প্রকার অর্থ দুই তিন জন ঋষিতে বলিলে তন্মধ্যে কোন অর্থ সৰ্ব্ব সাধারণের গ্রাহ্য হইবে এ বিষয়ে শাস্ত্রোক্ত প্রমাণ যথা । * দাঢ়ীৰ্থঃ দৃশ্যতে রূঢ়ে মানবং লিঙ্গ মেবচ। ৰূঢ় শব্দের অর্থের দৃঢ় করণ বিষয়ে মনুর বাক্যই অবলম্বনীয় দৃশ্য হইতেছে বৃহৎ পরাশর সংহিতার এই বচনাংশকেই অবলম্বন করিয়া বিদ্যাসাগর মহাশয় স্বকৃত বিধবা বিবাহ পুস্তকে শব্দার্থের সন্দেহ স্থলে মনুর নিৰূপিত অর্থকেই গ্রহণ করিতে কহিয়াছেন । বিশেষতঃ ঔরস শব্দের মনু যে প্রকার অর্থ কহিয়াছেন বৌধায়ন স্থত্রে ও সেই প্রকার কথিত হইয়াছে যথ। । সবর্ণায়াং সংস্কৃতায়াং স্বয়মুৎপাদিত মৌরসং বিদ্যাৎ ॥-8 | . স্বয়^ কর্তৃক সংস্কৃত সজাতীয় স্ত্রীতে স্বয়^ রুস্তৃক উৎপাদিত yষ পুত্র তিনি ঔরস পুত্র । o o অতএব ঔরস শব্দের অগ্নে দ্বৈধই নাই এইজুন পরাশর যে ঔরত্র
- বৃহৎ পরাগর সংহিত।
