৯২ বিধবtধৰ্ম্মরক্ষা । পুস্তকের প্রমাণ দেখাইয়াছেন, তুষ্যত্ব, তাহাই স্বীকার করিলাম কিন্তু কেহ কেহ কোন সময়ে যদ্যপি ও নিষিদ্ধাচরণ করেণ তাহ। হইলেই কি সে আচার সদাচার হইবে, ন৷ কি নিষেধের বচন অগ্রাহ হইবে ইহা কদাচই হইতে পারে ন৷ অতএব পরাশর সংহিতাতে যে অশ্বমেধ উক্ত হইয়াছে তাহা কদচই কলি, ধৰ্ম্ম হইতে পারে ন! ঐ কলি নিষিদ্ধ ধৰ্ম্ম সুতরাং সত্য, ত্রেতা, দ্বাপুর এই যুগত্রয়ের হইল একথা না বলিলে পুরাণ এবশ পরাশর সংহিত। উভয় সংস্থাপন কোন মতেই হইতে পারে না তবে তিনি যে অমুক অমুক ব্যক্তি কলিতে করিয়াছে এই বলিয়৷ কতকগুলি বাক্যব্যয় করিয়া পুরাণের নিষেধ নিষেধ বলিয়। গণ্য ছিল না বলিয়াছেন ইহার দ্বারায় হিন্দু সমাজের প্রতি বলা হইল যে তোমরা ও পুরাণের নিষেধকে মান্য করিবে না কিন্তু হিন্দু সমাজ আদ্যাপি ও এতদূর বিক্ষিপ্তচেত হন না যে বেদব্যাসের প্রণীত পুরাণ শাস্ত্রকে অমান্য করিয়া বিদ্যাসাগর মহাশয়ের অজ্ঞ। মাত্রেই বিধবার বিবাহু, অশ্বমেধ, গোবধ, প্রভৃতির অনুষ্ঠান করিতে পারবেন । তাহ কদাচই পরিবেন না । বেদ, স্মৃতি, এবং পুরাণ, ইহাদের ব্যবস্থা ভেদ কিছুই নাই মনোগত হিন্দুদিগের সম্বন্ধে ইহার সকলই সমান মাননীয় বেদে নিষিদ্ধ, স্মৃতি নিষিদ্ধ কি পুরাণ নিষিদ্ধ ব্যবহার কোন কালে কোন দেশে কোন কোন ব্যক্তি যদি করিয়া থাকেন তাহা হইলেই কি সে ব্যবহার সদব্যবহার হইবে কোনও মতেই হইবে না । তালমতিশয়েন সমাপ্তশ্চায়ং শাস্ত্র বিচারঃ । তার অধিকে প্রয়োজন নাই এই শাস্ত্র বিচার সমাপ্ত হইল । বর্তমান সময়ে বিধবা বিবাহ উপযুক্ত কি অনুপযুক্ত ইহার যৌক্তিক বিচার ত্রযুক্ত ঈশ্বর বিদ্যাসাগর মহাশয় আর্য্য বিধবাদের বিবাছার্থে যে চেষ্ট পাইতেছেন ঐ চেষ্টাকে আপাতত অত্যন্ত হিতকর বোধ হইতেছে ঐ ব্যবহার না থাকাতে কতশত ভ্রুণহত্যা হইতেছে কতই ব্যভিচার দোষ ঘুটিতেছে ঐ ব্যবহারকে নিষিদ্ধ ও বল। খাইবে না নারদ পরাশর প্রভৃতি মহর্ষিদিগের প্রণীত স্মৃতি শাস্ত্রে
