বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিপ্লবী কানাইলাল - জ্যোতিপ্রসাদ বসু.pdf/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

চিঠি পাইয়াই তল্লি-তল্প। গুছাইয়া রওনা হইলাম। বাগানে ফিরিয়া আসিয়া দেখিলাম একেবারে “সাজ সাজ” রব পড়ি, গিয়াছে।...সে সময় কিংসফোর্ড সাহেব একে একে সব স্বদেশ কাগজওয়ালাদের জেলে পুরিতেছেন। পুলিসের হাতে এক তরফা মার খাইয়া দেশ শুদ্ধ লোক হাঁপাইয়া উঠিয়াছে। যাহার কাছে যাও, সেই বলে—“না এ আর চলে না। ক’বেটার মাথা উড়িয়ে দিতেই হবে।” তথাস্তু...

 ‘পরামর্শ করিয়া স্থির হইল যখন সাহেবদের মধ্যে ছোট লাট আণ্ড্র ফ্রেজারের মাথাটাই সব চেয়ে বড়, তখন তাঁহারই মুণ্ডপাতের ব্যবস্থা আগে থেকে করা দরকার। কিন্তু লাটসাহেবের মাথার নাগাল পাওয়া ত সহজ কথা নয়। ডিনামাইট কার্টিজ লাটসাহেবের গাড়িব তলায় রাখিয়া দিলে কাজ চলিতে পারে কি না তাহা পরীক্ষার জন্য চন্দননগর ষ্টেশনের কাছাকাছি রেলের উপর গোটা কয়েক ডিনামাইট কার্টিজ রাখিয়া দেওয়া হইল। কিন্তু উড়া তো দূরের কথা— ট্রেণখানা একটু হেলিলও না। শুধু কার্টিজ ফাটার গোটা দুই ফট্ ফট্ আওয়াজ শূন্যে মিলিয়া গেল, লাটসাহেবের একটু ঘুমের ব্যাঘাত পর্যন্ত হইল না। দিনকতক পরে শোনা গেল যে, লাট সাহেব রাঁচি না কোথা হইতে কলিকাতায় স্পেশ্যাল ট্রেণে ফিরিতেছেন। মেদিনীপুরে গিয়ে নারায়ণগড় ষ্টেশনের কাছে ঘাঁটি আগলানো হইল। বোমাবিদ্যায় যিনি পণ্ডিত তিনি পরামর্শ দিলেন যে, রেলের জোড়ের মুখের নীচে

৪৮