পাতা:বিবিধ-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৯৩৯).pdf/৪০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SSV) दिदिक्ष eर्थवक-चौब्र खांभ অল্প। অধিকাংশ লোকের আর যাহারই অভাব থাক না কেন, চাউলের অপ্রতুল নাই। পেট ভরিয়া প্ৰায় সকলেই ভাত খাইতে পায়। কিন্তু পেট ভরিয়া ভাত খাইতে পাইলেই আহার হইল না। শুধু ভাতে জীবন রক্ষা হইলেই হইতে পারে—কিন্তু সে জীবনরক্ষা মাত্র। শরীরের পুষ্টি হয় না। চাউলে বলকারক স্নার পদাৰ্থ শতাংশে সাত ভাগ আছে মাত্র। চরবি-যাহা শরীরপুষ্টির পক্ষে নিতান্ত প্ৰয়োজনীয়, চাউলে তাহা কিছু মাত্র नांदे । শুধু ভাত খায়, এমন লোক অতি অল্প না হউক, 6दौ8 नश। दांछव्लिांद्र उक्षिकभ লোকে ভাতের সঙ্গে একটু ডালের ছিটা, একটু মাছের বিন্দু, শাক বা আলু, কঁচকলার কণিকা দিয়া ভোজন করে। ইহার নাম “ভাত ব্যঞ্জন”। এই ভাত ব্যঞ্জনের মধ্যে ভাতের ভাগ পনের আনা সাড়ে উনিশ গণ্ডা-ব্যঞ্জনের ভাগ দুই কড়া । সুতরাং ইহাকেও শুধু ভাত বলা যাইতে পারে। বাঙ্গালার চৌদ্দ আন লোক এইরূপ শুধু ভাত খায়। তাহাতে কোন উপসর্গ না থাকিলে জীবনরক্ষা হইতে পারে-হইয়াও থাকে। কিন্তু এরূপ শরীরে রোগ অতি সহজেই প্ৰাধান্য স্থাপন করে,-( সাক্ষী মালেরিয়া জ্বর)- আর এরূপ শরীরে বল থাকে না । সেই জন্য বাঙ্গালীর বাহুতে বল নাই। এই সকল ভাবিয়া চিন্তিয়া অনেকে বলেন, যত দিন না বাঙ্গালী সাধারণতঃ মাংসাহার করে, তত দিন বাঙ্গালীর বাহুতে বল হইবে না। আমরা সে কথা বলি না । মাংসের প্রয়োজন নাই, দুগ্ধ, ঘূত, ময়দা, ডাল, ছোলা, ভাল শবাজী, ইহাই উত্তম আহার। দৃষ্টান্ত-পশ্চিমে হিন্দুস্থানী। নৈবেদ্যে বিন্ধপত্রের মত ভাতের সঙ্গে ইহাদের সংস্পৰ্শমাত্রের পরিবর্তে, অন্নের সঙ্গে ইহাদের যথোচিত সমাবেশ হইলেই বলকারক আহার হইল। বাঙ্গালী যদি ভাতের মাত্রা কমাইয়া দিয়া এই সকলের মাত্রা বাড়াইতে পারে, তবে এক পুরুষে নীরোগ, দুই তিন পুরুষে বলিষ্ঠকায় হইতে পারে। আমি এই সকল কথা রামধন পোদকে বুঝাইতেছিলাম-কেন না, রামধন পোদের সাতগোষ্ঠী বড় রোগ। রামধন আমার কাছে হাত যোড় করিয়া বলিল, “মহাশয় যা আজ্ঞা করলেন, তা সবই যথার্থ-কিন্তু ঘি, ময়দা, ডাল, ছোলা। বাবা, এ সুকল পাব কোথায়? এমনই যে শুধু ভাতের খরচ জুটিয়ে উঠতে পারি না।” কথাটা দেখিলাম সত্য। আমি রামধনের টেকিশালে টেকির উপর বসিয়াছিলামউঠানে একটা ঘেও কুকুর পড়িয়াছিল বলিয়া আর আগু হইতে পারি নাই--সেইখান হইতেই রামধনের বংশাবলীর পরিচয় পাইতেছিলাম। রামধন একটি একটি করিয়া