.> じの বিবিধ প্ৰবন্ধ । আশাস্থানীয় দেশীয় ছাত্রসমাজ পরের জন্য খাটিতে শিখিয়াছেন ; পরের -মঙ্গলের চেষ্টায় যথাসাধ্য পরিশ্রম করিতেছেন—ইহা আমাদের জাতীয় জীবনের আত্মত্যাগের প্রথম সোপান । সে দিন আমাদের গৌরবস্থানীয় ভলাণ্টিয়ারের। পরহিত-কামনায় সুখ শান্তি উৎসর্গ করিয়াছিলেন, তাই তিন লক্ষ যাত্রী-সমাকুল কলিকাতার রাজপথে শত শত যাত্রী গাড়ী চাপা পড়িয়া মরে নাই, গুণ্ডার হস্তে তাহদের মুষ্টিমেয় পাথেয় লুষ্ঠিত হয় নাই, আড়কাঠির মায়াজালে বন্দী হইয়া আসামে চা ক্ষেত্রে কাহারও নিৰ্ব্বাসিত হইবার সুবিধা ঘটে নাই ; এমন কি, এই সহরের কাপুরুস নরাধমেরও বিদেশাগত কোন সাধবীর অঙ্গস্পর্শ করিবার সুবিধা পায় নাই । লোকে যেমন মহা আগ্রহে পরম যত্নে স্ব স্ব জননী, ভগিনী, কন্যার সম্মান রক্ষা করে, সেদিন ভলান্টিয়ার বেশী দলবদ্ধ বাঙ্গালী যুবকেরাও বাঙ্গালী রমণীগণের মান সন্ত্রম রক্ষা করিয়া ছিলেন । তাহদের কার্য্যনিপুণতাবশতই সেদিন কোথাও কোন দুর্ঘটনা ঘটিতে পায় নাই। তাহাদের সতর্ক দৃষ্টি সকল সময় সৰ্ব্বত্র সমান সাবধানতার সহিত এই অসংখ্য জনসজোেয্যর শান্তি ও শৃঙ্খলার প্ৰতি ন্যস্ত ছিল । তাহদের তৎপরতায় কোন দিকে সামান্য বিশৃঙ্খলা পৰ্য্যন্ত ঘটে নাই । যে সকল যাত্রী জলে ডুবিয়া মরিতেছিল, ভলণ্টিয়ারের সলিল-সমাধি হইতে তাহাদিগকে রক্ষা করিয়াছেন ; যাহাঁদের পুত্ৰ কন্যা বা বৃদ্ধি জনক জননী হারাইয়াছিল, ভলাণ্টিয়ারের তাহাদিগের হারানিধি খুজিয়া দিয়াছেন ; তীৰ্থস্থানে আসিয়া যে সকল নিরাশয় নরনারী এই মাঘের দুরন্ত শাতে মাথ রাখিবার স্তান না পাইয়। দলবদ্ধভাবে পথে পথে ঘুরিয়া বেড়াইতেছিল, ভলাণ্টিয়ারেরা তাহাদিগকে আশ্রয় দিয়াছিলেন । অনেক তস্কর, বালক বালিকা ও রমণীর অঙ্গ হইতে সেই ভীষণ ভীড়ের মধ্যে অলঙ্কার, খুলিয়া লইয়া “r --سم حم পলায়নের চেষ্টা করিতেছিল, কিন্তু সহস্রচক্ষু ভলাণ্টিয়ারের দৃষ্টি
