বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিবিধ প্রবন্ধ (ভূদেব মুখোপাধ্যায়) দ্বিতীয় ভাগ.djvu/১৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় ভাগ । (సి যে, “ঐচ্ছিক পেশীগুলিতে যে সকল স্নায়ু আছে, তাহা উৰ্দ্ধভাগে বৃহন্মস্তিক্ষে পরিণত মৃতরাং ইচ্ছাবৃত্তির বশীভুত, আর অনৈচ্ছিক পেশী নিহিত স্নায়ুগুলির মুল পশ্চাদ্ভাগে দীর্ঘীভূত মস্তিষ্কে সেখানে ইচ্ছাবৃত্তির কার্য্যকারিত নাই”— হঠযোগ এই বৈজ্ঞানিক তথ্যের প্রতিও দৃকপাত করে না। বলে, “অনৈচ্ছিক পেশীর স্নায়ু দীর্ঘীভূত মস্তিষ্কে যাইবার পূৰ্ব্বে বৃহন্মস্তিষ্ক ভেদ করিয়া যায় তবে কেন ইচ্ছাবৃত্তির বশে আসিবে না ?—চেষ্টা করিতে করিতে নুতন স্নায়ুরও স্বষ্টি হইতে পারে ; এই জন্মেই না হউক, জন্মান্তরেও উদ্দেশু সিদ্ধ হইতে পরিবে,—পুরুষানুক্রমিক চেষ্টায় কতক ফল অবশুই পাওয়া যাইবে—কিন্তু চেষ্ট না করিলে ত কখনই হইবে না। ” এই সুদৃঢ় অধ্যবসায় অবলম্বন করিয়া হঠযোগ হৃৎপিণ্ডের এবং ফুস ফুসের অনৈচ্ছিক পেশীকে ঐচ্ছিক পেশী করিবার নিমিল্ল প্রয়াস পায়। এই প্ৰয়াসের নাম প্রাণায়াম’ ‘কুন্তক’ ‘সমাধি’ । এই অধ্যবসায়ের প্রতি নির্ভর করিয়া ‘হুণ্ঠযোগ’ পশ্বাদি সাধন ব্যাপারেও "প্রবৃত্ত হয়। বলে, “মনুষ্যশরীরে পশ্বাদি শরীরের অনেকশনেক চিকু:বিদ্যমান আছে-পগুদিগের অপেক্ষ মানুষ অনেকাংশে শ্রেষ্ঠ হইয়াও কোন কোন বিষয়ে নিকৃষ্ট হইয়া পড়িয়াছে—তাহ কেন হইতে দিব ? সম্যকৃরূপে মনুষ্যত্বের রক্ষা করিব এবং পশুদিগের ঐ উৎকৃষ্টগুণগুলিও পুনৰ্ব্বার আপনাদিগের আয়ত্ত করিব । যদি তাহাই না পারি, তবে মনুষ্য বুদ্ধিতে কাৰ্য্য কারণ জ্ঞান কি জন্ত উদ্ভূত হইল—মনুষ্যের ইচ্ছাবৃত্তিই বা কেন বলবতী হইয়া অপর সকল বৃত্তিকে আপনার আয়ত্ত করিতে সক্ষম হইল ? যদি পশুসিদ্ধিই অসাধ্য হয়, তবে ঈশ্বর সিদ্ধি কিরূপে সাধ্যায়ত্ত হইবে ?” হঠযোগের মূল কথা এই—s, “মানুষকে বড় হইতে হইবে, সৰ্ব্বশক্তিমান হইতে হইবে, কিন্তু'তাহ কি পূৰ্ব্বাজ্জিত গুণের লোপ করিয়া হইতে পারে, না সে সমুদয়ের রক্ষা এবং নূতন গুণের উপার্জন করিয়া হইতে পারে ? যদি প্রথম প্রণালীতে না হয় এবং দ্বিতীয় প্রণালীতেই কথঞ্চিৎ সম্ভবপর হয়, তবে দ্বিতীয় প্রণালী অবলম্বন করিয়াই চলা উচিত, এবং পশুদিগের মধ্যে যে সকল গুণ আছে মনুষ্যের নাই—সে গুণ গুলি অর্জন করিবার নিমিত্ত প্রয়াস পাওয়া উচিত।—চেষ্টার অসাধ্য ত কিছুই নাই!” হঠ ,ঘাগর এই যুক্তিমূলক যে অনুষ্ঠানপরম্পর তাহার নাম “পশ্বাদিসাধন” । 命 পাঠক একটু মনোযোগপুৰ্ব্বক হঠযোগের অধ্যবসায়টার প্রকৃতি চিন্ত৷ করবেন। তাহা করিলেই বুঝিতে পারিবেন, যে শাস্ত্র হইতে এই হঠযোগ