বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় অপ্রকাশিত দিনলিপি.pdf/১১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হেঁটে সন্ধ্যার সময় বেলেডাঙায় গঙ্গাচরণের দোকানে এলুম। সেখানে বিশ্ৰাম করে জল খেয়ে দুজনে বারাকপুরে। কালোদের বাড়ী রাত্রে খেলুম। খুকু আমার গলা শুনেই বেরুতে যাচ্চিল। শেষে বল্পে আমায় তো বিভূতি-দা ডাকে নি, ख्थांश् िषांदृद1 नl | ১০ই জুন, ১৯৩৩ ৷৷ ২৭শে জ্যৈষ্ঠ, ১৩৪ • । শনি সকালে উঠেই দেখি ভববন্ধুমামা এসেচে। ও ভববন্ধু তিনজনে খুব আডা । তারপর বাড় । পিসিমার বাড়ী খাই। দুপুরে কালো ও নদির সঙ্গে ব। কার। দুপুরের পর আমাদের বঁাশবাগানের পথে আমি কুডুতে দেখি-কত প্ৰাচীন খাবর ১ । পুরোনো ধরণের মাটির ঘট একটা খানিকটা বায় হয়ে আছে। তারপর বিকেলে তিনজনে নদীতে বেড়াতে গেলুম সবাইপুরের ঘাট পৰ্য্যন্ত । কি যে সুন্দর লাগিছিল-ত বলবার কথা নয়। সত্যই আমাদের গ্রামটা ও চতুস্পার্শ্ববৰ্ত্তী পল্পীগুলি প্ৰাকৃতিক সম্পদে অতুলনীয়। এ সম্ভব হয়েচে- কি জন্যে তাও আমি আবিষ্কার করেচি। অল্প জায়গার মধ্যে গাছপালার বৈচিত্র্য অনেক বেশী। বিশেষ করে কুঁচধন, সঁইবাবলা, শিমুল, বাবলা, নলবন ও উলুখড়া-সকলের ওপর বঁাশবন আমাদের দেশে নদীর ধারে অত্যন্ত ঘন সন্নিবিষ্ট । নদীর ধারের বঁাশবনের শোভা সত্যই 'অপরূপ । রাত্রে খুব গল্প ও আডিডা। খুকুকে গল্প শোনালাম । ১১ই জুন, ১৯৩৩২৮শে জ্যৈষ্ঠ, ১৩৪ • । রবিবার সকালে স্নান কৰ্ত্তে ওপাড়ার ঘাটে। সৌন্দৰ্য্যে মুগ্ধ হয়ে গেলুম। সকালে নিথর কালে নদীজলে, ওপারের উলুবনের দিকে চোখ রেখে পাখীর গান শুনতে শুনতে স্নান কৰ্ত্তে যা আরাম ও শান্তি। তারপর সার্থক দাদার বাড়ীতে চা খেলুম। যতীশ কাকার সঙ্গে একটু গল্প করলুম। ফণিকাক অনেক পুরোনো কথা বল্পে। কালোর ঠাকুরদাদার পুরানো ডায়েরীতে গ্ৰাম সম্বন্ধে ১২৯২-৯৫ সালের অনেক খবর পেলাম। দুপুরে রামপাদ ও পুটিদিদি ও খুকু তিনজনে এল। খুব গল্প। বৈকালে হাটে গেলাম। ভাণ্ডার কোলায় নিমন্ত্রণ হবে শুনছিলাম-কিন্তু হোল না। হাট থেকে আসবার সময় দ্বারিঘাটার কাছে বিস্তৃত আকাশের সে যে কি বর্ণবৈচিত্ৰ্য, মেঘণ্ডুপ রঞ্জিত অশুদিগন্ত । তাড়াতাড়ি বাড়ী এসে কুঠীর মাঠে গেলুম। রাত্রে অ্যামাচরণ দা বক্সে-এ গ্রাম টালতলায় আমি, ফণিমামা ১ খাবর’ শব্দের অর্থ পোড়া মাটির খোলা বা টালি। শব্দটি এসেছে কৰ্পর/*খপর থেকে। So I