পাতা:বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় অপ্রকাশিত দিনলিপি.pdf/১২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৭ই জুন, ১৯৩৩ ৷৷ ৩রা আষাঢ়, ১৩৪০ । শনিবার সকালে মোটরে চালকী গেলুম ভজার* সঙ্গে। আমি দিদিদের বাড়ী চা খেলাম। এদিন বিকেলে টুরুর সঙ্গে বসে নানা গল্প করা গেল। অনেক রাত্রে নুটু চালকী থেকে খাট নিয়ে এল। দুপুরে শুয়ে মনে হল এই তো গ্রীষ্মাবকাশ। শেষ হয়ে গেল-এবার যেন বড় তাড়াতাড়ি কাটল । বারাঁগুরের মায়ায় এবার আমি মজে ছিলুম। সে দিন ফণি কাকা ও গজনী' গাড়ী ৰূরেীNৱনৰ্গাঁয়ে এল-আমার মনে হোল একবার গেলে হোত। আজ সকালে tিায়েরই শুস্থাত্রী নিয়ে মোটর বাস গেল বেলেডাঙায় না। সুন্দরপুরে, আমার মনে হোল-এক সঙ্গে গিয়ে একবার বারাকপুর ঘুরে এলে হোত । বনগাঁটা আমার অতি বিশ্ৰী লাগে-কিন্তু বারাকপুরের কথা আমি ভুলতে পারি নে-ওখানকার জীবন, সম্পূর্ণ ভিন্ন জীবন । মনে হোল বারাকপুরের কাছে বিদায় মেওয়া হোল না। এবার যাবার আগে-সেখানকার মাঠ বনের কাছে, ইচ্ছামতী নদীর কাছে, বঁাশ বাগান আমবাগানের কাছে, সেখানকার পার্থী ফুল-ফল, গাছপালা, ফুটন্ত সেঁন্দালফুলের বন-এ সকলের কাছে। ১৮ই জুন, ১৯৩৩ ৷৷ ৪ঠা আষাঢ়, ১৩৪ • । রবিবার সকালে উঠে যাওয়ার আয়োজন করলুম। বন্ধুদের বাড়ীতে চা খেলুম-বন্ধুর বেী সিঙাড়া নিয়ে এল। কল্যাণী* আমার সঙ্গে যাবে। দুপুরের গাড়ীতে আমরা এলাম। পথে আম কঁঠালের ব্যাপারীরা বেজায় ভিড় করলে। মেসে এসে দেখি লাইটের তার কেটে দিয়েচে । মুজাপুরের এখানে এলেই মনটা নতুন হয়ে যায়এতটা কঁকা জায়গায় একটা নতুন অনুভূতি হয়। কল্যাণীকে বলুর ওখানে নিয়ে গেলুম। সেখান থেকে তিনজনে Captain Symons এর বাড়ী গেলুম। প্রিটোরিয়া স্ট্রীটে । Symons রাত্রে খাওয়ার জন্যে থেকে যেতে বললে।” খুব গল্পগুজব হোল-Symons এর মেম বড় আমুদে লোক। ডিনারের পর অনেক রাত পৰ্য্যন্ত Symons সিনেমা দেখালে-তারপর রাত ১১৪ টার সময় আমরা চলে এলুম। আমি রাত্রে বন্ধুর মেসেই* শুয়ে রৈলাম। কেন না জানিনে দোর খোলা পাবো। কিনা আত রাত্রে। ১ . ভজা মুচি, বারাকপুরবাসী। ২ হেমন্তকুমার মুখোপাধ্যায়, বারাকপুরবাসী । ७ दन्शें । কল্যাণী মুখোপাধ্যায়, ডাঃ সুরেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের মেয়ে । বিভূতিভূষণের মেসের কাছেই ছিল। (জ. ২৪, ৬, ১৯৩৩)