পাতা:বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় অপ্রকাশিত দিনলিপি.pdf/১২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মোটরে গোপালনগর গেলুম। কাছারীতে খগেন মামা’ এসেচেন-ওখান থেকে 'নৌকাতে আমি, নুটু, জিতেন, বন্ধু বাওড় দিয়ে কাচিকাটার পুলে গেলুম। সেখানে কচুড়িপানা। [ কচুরিপানা' ] তোলা হোল। আমি কেবল বন্ধুর বাড়ীতে এক কাপ চ খেয়েছিলুম। তারপর আবার নৌকা করে মর গাঙ বেয়ে কাটাখালির পুলে গেলুম-জ্যোৎসু উঠেচে-বড় সুন্দর দৃশ্য [। ] ক’তকাল যে যাইনি এদিকে [-.] বাল্যে সেই যীশু এদিকে আসতুমি পূজোর সময় বাচ খেলতে। ওখান থেকে বারাকপুর এলুম। খুকু পিাড়িতে আলপনা দিচ্চে-আমি যেতেই বন্ধে আজ থেকে আমার আহ্লাদ চাকুরী হােল। আমি পিাড়িতে খানিকটা "আলপনা দিয়ে দিলুম। তারপর আবাম, এলুম বেলেডাঙায়-সেখান থেকে ‘নৌকাতে গোপালনগর। জিতেনের ওখানে আমি, সাহেব, নুটু ও বলু খাওয়া গেল। তারপর রাত্রে বনগা এসে বলুর বেীকে ওপরে গিয়ে অনুযোগ করা গেল ‘সেদিন কেন ওরা ছবিঘরে যায়নি । ৩রা জুলাই, ১৯৩৩ । ১৯শে আষাঢ়, ১৩৪০ । সোমবার সকালে হাজারির মোটরে বারাকপুর এলুম। সবাই মিলে নদীতে স্নান কৰ্ত্তে ‘গেলুম-আমি, কালো ও রামপদ। কচুরী পানার দাম বড় ভেসে ভেসে যাচ্চে। “স্মান করে বড় তৃপ্তি হোল । তবে বর্ষায় আমাদের দেশে বড় কাদা হয়, মাঠে ভাটুইত হয়, বঁাশতলা অন্ধকার দেখায়-মশা তত অবশ্য পেলাম না। বরং গরমকালে এর চেয়ে মশা দেখেচি । ন’ দিদিদের বাড়ীতে সাধারণ পাকশালা "খোলা হয়েচে-বিয়ের কাজকৰ্ম্ম যারা করচে-সবাই এখানেই খাচে । আমি, কালো ওখানেই খেলুম। কাটাল বেশ ভাল খাওয়া গেলা-পায়েসটা আখের গুড়ের বলে সুবিধে হয় নি। দুপুরের পরে আমি ও কালো বিয়ের বাজার কৰ্ত্তে নৌকো করে বনগায়ে রওনা হলুম। পথে ভয়ানক মেঘ করে বৃষ্টি এল-তার আগে ছিল গরম। কি অপরূপ নীলকৃষ্ণ ঘন মেঘরাশি চালাতে পোতা বঁাকের দিক থেকে উড়ে এল। তারপর ঝমােঝম বৃষ্টি ও হাওয়া । ছাই নেই বলে ভিজতে লাগ লুম। বনগা হাটে কাদা হাবড়। অতি কষ্টে বাজার সেরে বন্ধুর বাসায় চা খেলুম তারপর নৌকো করে অন্ধকার রাত্রে ঝড় বৃষ্টির মধ্যে দিয়ে তিনঘণ্টার ১ খগেন মুখোপাধ্যায়, রানাঘাটবাসী ; মহানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম जौ cश्शाचिनी cलदौग्र छांदे। ২ মানুর বিবাহ উপলক্ষে । ৩ চোরকাটা । te