পাতা:বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় অপ্রকাশিত দিনলিপি.pdf/২২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৬শে ফেব্রুয়ারি, ১৯৩৪ । ১৪ই ফান্তুন, ১৩৪ • । সোমবার সকালে উঠে প্ৰথমে মাঠের দিকে বেড়াতে গেলুম তারপর ফিরে এসে “চালকীর দিদির সঙ্গে দেখা করলুম। বনগাঁয়ে এসে আহারাদি সেরে বেশ ঘুম দিলুম। সন্ধ্যার আগে বীরেশ্বরবাবুর সঙ্গে স্টেশন পৰ্য্যন্ত বেড়াতে গেলুম। খুব জ্যোৎস্না । গালুডির মত নয়,-তেমন অপূৰ্ব্বতা ও নই। বাংলাদেশ বেশ soft, বেশ pretty [-.] কিন্তু সে রকম নয় । রাত্রে মগ্নাথবাবুর বাড়ীতে আডা হোল । মুন্সেফ'বাবু এলেন-ভ্রমণের গল্প হোল। • ' ২৭শে ফেব্রুয়ারি, ১৯৩৪ । ১৫ই ফাস্তুন, ১৩৪০ । মঙ্গলবার বেশ ফান্থনের হাওয়া । সারাদিনই বাড়ীতে । বিকেলে খুকীকে নিয়ে নৌকোতে সাতভেয়েতলা গেলাম ছকু মাঝির নৌকোতে। খুব ঘেটু ফুল ফুটেচে। আসবার সময় বেশ জ্যোৎস্না । মন্মথ বাবুর আডাতে খুব গল্প হোল उts { ১৮শে ফেব্রুয়ারি, ১৯৩৪ । ১৬ই ফান্তন, ১৩৪ • । বুধবার সকালে কলকাতা এলুম। বরিশাল এক্সপ্রেস ১ঘণ্টা লেটু ছিল। ঘুমিয়ে প্রবাসীতে গিয়ে দৃষ্ট্রিপ্রদীপের Proof দেখলুম। তারপর বন্ধুর বাসায় গিয়ে রাত দশটা পৰ্যন্ত আডা। বাড়ী এলুম। মেঘ করচে। অনেকদিন পরে আমার ঘৱটা এবং কলকাণ্ড। শহরটা সম্পূর্ণ নতুন লাগচে । ভাল লাগচে না কিন্তু শহরের এই গোলমল । রাত ১১টা-এখনও খুব গোলমাল । অন্য জায়গা এতক্ষণ ঝিমিয়ে ঝিমিয়ে গিয়েচে । ২রা ফেব্রুয়ারি, ১৯৩৪ । ১৯শে মাঘ, ১৩ ৪ ৫ । শুক্রবার* সিং ভুম ও ময়ূরভঞ্জের সীমানায় একটা জঙ্গলাকুতি পাহাড়শ্রেণীর মধ্যে একটা পাহাড়ের মাথায় বসে এটা লিখচি ! আজি সকালে গালুড়ি থেকে বেরিয়েচিসারাদিন জঙ্গলে ঘুরচি, , পাটকিটা নামক একটা চারিধারে জঙ্গলে ঘেরা ও পাহাড়ে ঘেরা গ্ৰাম দেখে এলুম। তারপর কতকগুলো লোক টাটা কোম্পানীর খনিতে কাজ করে তারাই চনু বলে একজন ছোকরা দিয়েছিল পথ দেখাবার জন্যে। ফিরবার পথে এই জঙ্গলাবৃত প্ৰকাণ্ড পাহাড়টার ওপর একাই উঠেচি ১ বিভূতিভূষণের স্বহস্তে লিখিত তারিখ, “২রা ফেব্রুয়ারি । ১৯৩৪ ৷৷ শুক্রবার।” সিংস্কৃমি অঞ্চল পরিভ্রমণের সময় বিভূতিভূষণ ফেব্রুয়ারি মাসের ( ২রা থেকে ২৫শে পৰ্যন্ত )। এই অতিরিক্ত দিনলিপিটি লেখেন । Re