পাতা:বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় অপ্রকাশিত দিনলিপি.pdf/২৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নাচ শিখে এসেছে-বন্ধুম, নাচ দেখাবি ? সে বলে-না। তারপর তাকে কাছে ভাকৰায় পরও এসে অনেকক্ষণ রইল। লক্ষ্মীভাক্তার এসে গল্প করলে । আমি কালো নাইতে গেলুম। বাধাল ধরে স্নান করতে লাগিলাম। পাগলা জেলে সঁাতায় দিয়ে বঁধালের কাছে এল। আমি বঁধালের ওপরের নীল আকাশ, এক ঝাড় বঁাশ, ঝোপের দিকে চেয়ে গুনগুন গাইতে লাগলুম-“বসিয়া বিজনে, কে [কেন। একা মনে পানিয়া ভারনে চললে গৌরী।*।। বসতে বলতে এমন আনন্দ-পেলুম! চিরন্বন্দরের সঙ্গে, নীয় সঙ্গে, প্ৰকৃতির সঙ্গে ভুবনে ভুবনে কি আশ্চৰ্য্য আনন্দ সম্বন্ধ রয়েচে। ওদের মুখের হাসি-সে। চিরসুন্দরের দান-বৃষ্টি-এই নীল আকাশ, এই সুন্দর জল, বঁাশবন, তার মধ্যে স্নেহ প্ৰেম, সেবা দয়া-এর আছে বলেই এ পৃথিবীই সুখ । আগুন আনতে গেলুম দুপুরে খুড়ীমার কাছে। খুকু বকুলতলায় বই পড়চে-আমায় দেখে হেসে বল্পে-বই পড়চি । তারপর এসে আগুন দিয়ে গেল । সন্ধ্যায়। কঁচি কাটা থেকে এসে, কাপড় ছাড়াচি- ও আবার এল। পাচীর কাছে গিয়ে বসে তিনজনে গল্প করলুম। ঝিম্ ঝিম বৃষ্টি। রাত্রে আমি খুকু, কালো খুড়ীমা তাস খেলসুম। ২০শে জুন, ১৯৩৪ । ৫ই আষাঢ়, ১৩৪১ ৷ বুধবার মনের পূর্বের মত দুশ্চিন্তা নেই। আমার একটা মীমাংসা হয়েচে। অনেক ভাববার পরে কাল বই খানার সম্বন্ধে একটা পথ বার করেচি । সকালে আমরা নাইতে গেলুম। খুকু ঘাটে গিয়ে দেখি নাইচে । তাকে. সঁতার দিতে বলে-সে বেশী জলে যায়। তাকে গোটাকতক বার ডুব দেওয়ালেসে ভয় পেয়ে জল থেকে উঠতে রাজী হোল। একসঙ্গে আমরা ঘাট থেকে এলাম। বৈকালে খুব মেঘ। আমরা খাব রাপোতাই পৰ্য্যন্ত হেঁটে গেলাম। খুক বর্ষায় ঝোপ ঝাপ, তার তলা অন্ধকার, রাঙা ব্যাঙের ছাতা গজিয়েচে । বড় বড় বট গাছ-ছায়ানিবিড় ঘন কালো মেঘ আকাশে । খুব বেলা থাকতে বাড়ী ফিরে এলাম। বসে আছি, রাঙা রোদ উঠল বঁাশবনের মাথায়, নারিকেল গাছের DDE SS tL DB z EDBDB BDBD DBBD TK BYtB DDYSS DDBBB DLEL কতক্ষণ গল্প করলাম। পাকা আমি খেলাম, খুকু নিয়ে এল। ভারী, সুন্দর আমি । রাত্রে গল্প হোল-ছাদে বসে তাস খেলা হোল-আমি আর খুকু, কালো আর খুড়ীমা। রাত্রে কি বেজায় গুমটি গরম। ১ নজরুল-গীতি ২ বনগী । R