পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দ্বাদশ খণ্ড).djvu/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইছামতী নেবার পাত্র ছিলেন না, তবে কাৰ্য অন্তে কেউ একটা ক্লষ্ট মাছ, কি বড় একটু মানকচু কিংবা দু’ভাড় খেজুরের নলেনগুড় পাঠিয়ে দিলে ভটম্বরূপ, তা তিনি ফেরৎ দেন বলে শোনা যায় নি। রাজারামের স্ত্রী জগদম্ব এক সময়ে বেশ সুন্দরী ছিলেন, পরনে লালপোড়ে ঠাতের কোরা tDS DBD DBDD EukJS DKBB DBDB S Di ttS DEBB BDB DBDBBDBD BzS দোহার চেহারার গিন্নিবান্নি মানুষটি। জগদম্বা এগিয়ে এসে বললেন- এখন বাইরে বেরিও না। সন্দো-আহ্নিক সেয়ে নাও ves রাজারাম হেসে স্ত্রীর ছাতে ছোট একটা খালি দিয়ে বললেন-এটা রেখে দাও । কেন, কিছু জলপান আছে বুঝি ? - আছেই তো । মুডি আর ছোলা ভেজেচি। —বাঃ বাৰু, দাড়াও আগে হাত পা ধুয়ে নিই। তিলু বিলুনিলু কোথায় ? --তরকারি ফুটচে। --আমি আসচি। তিলুকে জল দিতে বলে। সমৰ্পণ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পর রাজারাম আহিক করতে বসলেন রোয়াকের একপ্ৰান্তে। তিলু এসে আগেই, সেখানে একখানা কুশাসন পেতে দিয়েছিল। অনেকক্ষণ ধরে সন্ধ্যাআহ্নিক করলেন-ঘণ্টাখানেক প্ৰায়। অনেক কিছু স্তব-স্তোত্র পড়লেন। এত দেরি হওয়ার কারণ এই, সন্ধ্যা-গায়িত্রী শেষ করে রাজারাম বিবিধ দেবতার স্তুবপাঠ করে থাকেন। দেবদেবীর মধ্যে প্রতিদিন তুষ্ট রাখা উচিত মনে করেন লক্ষ্মী, সরস্বতী, রক্ষাকালী, সিদ্ধেশ্বরী ও মা মনসাকে। এদের কাউকে চটালে চলে না। মন খুঁত-খুঁত করে। এঁদের দৌলতে তিনি করে থাচ্চেন। আবার পাছে কোন দেবী শুনতে না পান, এজন্যে তিনি স্পষ্টভাবে টেনে টেনে স্তব উচ্চাৰণ করে থাকে? তিলু এসে বললো-দাদা, ডাব খাবে এখন ? -না। মিছরির জল নেই ? -ििद्व चद्ब्र cनशे प्ां । -ডাব থাক, তুষ্ট জলপান নিয়ে আয়। তিলু একটা কঁাসার জামবাটিতে মুড়ি ও ছোলাভাজা সর্ণের তেল দিয়ে জবঞ্জবে করে মেখে নিয়ে এলো-সো জামবাটিতে অন্তত আধা কাঠা মুড ধরে। বিলুনিয়ে এলো একটা কাসার থালায় একথালা খাজা কঁঠালের কোষ। নিলুনিয়ে এলো এক ঘটি জল ও একটা পাথরের বাটিতে আধা পোয়াটাক খেজুৱা গুড । রাজারাম নিলুকে সম্বেহে যললেন-বোস নিলু, কাটাল খাবি ? --না দাদা। তুমি খাও, আমি অনেক খেয়েচি । -বিলুনিবি ? -fR Nits 1971