বিভূতি-রচনাবলী পথের ধাৱে একটা কামায়ের দোকানে দশ-বায়ো জন লোক বলে আছে—তার মধ্যে বিরাশি বছরের সেই হরমোতীও বসে আছে। বহু বছর আগের মোল্লাহাটী কুটীয় সাহেবদের গল্প সে করলে।” (বিভূতি-রচনাবলী, তৃতীয় খণ্ড, পৃ. ৫২৭) { ৬। ---"দুপুরের পর ইন্দু, আমি, গুটুকে কুঠীর মাঠের পথ দিয়ে মোল্লাহাটি গেলুম। ইন্দু গেল আমাডোবে। আমিও গুটিকে মোল্লাতাটি কুঠী ও নীলের হাউজঘর দেখি এতকাল পয়ে । কি সুন্দর শুম শোভা, অনুন্নত খেজুৱা গাছ, জলি ধানের ক্ষেত পথের দুপাশে, একটা সমাধি দেখলুম। বাওড়ের ধারে মোল্লাহাটিতে ‘’ (বিভূতি-রচনাবলী, চতুৰ্থখণ্ড, পৃ. ৪৪৯)। ৭ । “বিভূতিভূষণের অপ্ৰকাশিত দিনলিপিতেও ইছামতী’ উপন্যাস রচনা সম্পর্কে কিছু কিছু উল্লেখ পাওয়া যায়। ১১৬১৯৩৩ খৃষ্টাব্দের “অপ্ৰকাশিত দিনলিপি’তে পাওয়া যায় : “বারাকপুর। বহু পুরাতন গ্রাম বটে। রায়েরা এই গায়ের অ্যাদি বাসিন্দা। ওদের ঘরের দৌহিত্র আনন্দরাম ও দুঃখীরাম রায়েরা। রায়েদের ঘরের দৌহিত্র বঁাড়িয্যেরা। সুবৰ্ণ পুরেয় ভবানী বাড়ুৰ্য্যে আনন্দ রায়ের তিন পিসীকে বিবাহ করেন। তার ছেলে কাণ্ঠিক বন্দ্যোপাধ্যায় ।”
- 寮
১৩৭১ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে ‘কথা সাহিত্য” মাসিক পত্রিকায় ‘কিয়েক দিনের স্মৃতিচিত্রে নামে বিভূতিভূষণের অপ্রকাশিত দিনলিপির কয়েকটি পাতা প্ৰকাশিত হইয়াছিল। তাঁহাতেও মোন্নাহাটি নীলকুঠির কথা পাওয়া যায় : “মধ্যে একদিন ক্যাপ্তেন চৌধুরীর গাড়ীতে আমরা মোল্লাহাটি ডাক বাংলাতে বেড়াতে ধাই।। নীলকুঠির সেই পুরনো সমাধিটার পাশে একটা ফুলে ভািঙ্ক বকাইন গাছ দেখে সেদিন খুবই বিস্মিত হয়েছিলাম। এ-গাছ। এখানে কোথা থেকে এল ? নীলকুঠির সাহেবরা এনেছিল নিশ্চয়।” ( কথা সাহিত্য, পৌষ ১৩৭১ ) { ১৯৪৩ খ্ৰীষ্টাব্দে বারাকপুরে অবস্থান কালে বিভূতিভূষণ 'হে অরণ্য কথা কণ্ড’ দিনলিপির DB KuK BD SASASDDDS DDtu BBDOOD gDBtOLS DBD D L0LEB সামনে সুপরিস্ফুট। নীল আকাশেয় দেবতার উদ্দেশে প্রার্থনা করি।-এই পটভূমি নিয়ে এদেশের একখানা Epic উপন্যাস লিখবো। আমি। নীলকুঠির পুল থেকে শুরু করবো।” ( বিভূতি-রচনাবলী, সপ্তম খণ্ড, পৃ. ৩৯৪ ) { ‘ইছামতী’ প্ৰকাশিত হওয়ার কিছু পরেই বৰ্ত্তমান নিবন্ধকারের উক্ত গ্ৰন্থ সম্বন্ধে বিভূতিভুষণের মুখে কিছু কিছু ৰুক্তিব্য শুনিবার সৌভাগ্য ইইয়াছিল। এই সম্পর্কে ইছামতী ও বিভূতিভূষণ’ নামক একটি নিবন্ধও বৰ্ত্তমান নিবন্ধকার রচনা করিয়াছিলেন। প্রয়োজনীয় অংশ। উক্ত নিবন্ধ হইতে তুলিয়া দিতেছি ঃ "বিভূতিভূষণের ইছামতী’ উপন্যাস। তঁর জীৰিত অবস্থায় প্রকাশিত সৰ্ব্ব শেষ রচনা। বিভূতিভূষণের দেহান্ত ঘটে ১৯৫০ সনের ১মভেম্বর আর ‘ইছামতী’ প্ৰকাশিত হয়। ১৯৫০ সনের জানুয়ায়ী মাসের গোড়ায় দিকে। ‘’ইছামতী’ যেদিন প্ৰকাশিত হয়-“সেদিন তিনি বালীগঞ্জ