বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিভূতি রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).djvu/৪৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্মৃতির রেখা vey জ্যোৎস্বাস্তুরা রাতে পুটুলি হাতে এইমাত্র এসে পাটনায় পৌঁছান গেল। বৈকুণ্ঠবাবুর সাজানো অফিস থিয়ে টেবিলটাতে বসে লিখছি। গঙ্গায় খুব বড় একটা স্টীমান্ন, নাম মঙ্গ:- ফয়পুর-তাতেই পার হওয়া গেল। এপারে ওপারে কি ভয়ানক ভিড় ! গঙ্গার ধারে দীৰ ঘাটে ও প্যালেজ ঘাটেই এক এক মেলা বসে গিয়েছে। জ্যোৎস্নালোকিত গঙ্গাবক্ষে হু হু LLt BL LDD KK LL sOB BB YBB D sLB Bz SZz DYYS ওপারে নুন্দরী ইটালীতে। মাঝের ভূমধ্যসাগরের চলোৰ্ম্মি-চঞ্চল নীল বারিৱাশিতে কতকাল আগেকার কত মীলনয়ন কনক-কেশিনী সুন্দরীর ছবি যেন দেখলাম, কত ক্লিওপেট্রা, কত হাস্যমুখী তরুণী, ইটালীয় মেয়ে, গ্রীসের মেয়ে, রোমের মেয়ে। লোকের ভিড়ে ষ্টীমারে ঘাটে নামা যায় না, মালগাড়ীর মধ্যে ওয়েটিং-রুম, টিকিট দেওয়ার ঘর-যেন যুদ্ধের সময়ের বন্দোবস্তু। আসবার সময় কেবলই মনে হতে লাগল-এই বিদেহ-মিথিলা । এই ছাপন্ন জেলা হলেও কালকান্থমেদ গাছের একটা ছায়ান্ডয়া ঝোপ দেখে বাংলাদেশের কথা একবায় একটু মনে হোল-অবশ্য ঐ পৰ্য্যন্তই মিল। এদেশের শ্যামলতাশূন্য ভূমিত্রীর মধ্যে কি আর মরকতঙ্গামহীয় তুলনা হয় ? সেই মাকাললতা দোলা বৈকালের-ছায়া-পড়া ঝোপঝাপ, নীতীর, পাখীর ডাক, ঘন বন, লতাপাতার কটুতিক্ত সুগন্ধ, বনফুলের সৌরভ। দীঘাঘাট থেকে গাষ্ঠী ছেড়ে আসবার-সময় মনে পড়ল-গিরীনদাদার মুখে শুনতাম জীঘাঘাটের ওপারে প্যালেজ ঘাট । কখন দেখিনি। এতকাল পরে সে সাধ মিটলো। আরও মনে পড়ল, গিরীনদাদা তার পরিবারবর্গ নিয়ে বহুকাল আগে-আজ একুশ বছর আগে- এই পথে প্ৰথম বারাকপুর গিয়ে বাড়ী তৈরী করেন। তারপর আমাদের যে মুগ্ধ শৈশব কেটেছে, কৈশোর কেটেছে-প্ৰথম যৌবন, বনগ্রামের বোড়িং, গর্দভ উপাধি, বেচু চাটুয্যের স্ট্রট, মনোমোহন সেনের লেন, পানিস্তর, কত কাণ্ড ঘটে গিয়েছে। এখন তিনি কি করছেন ? গজায় আসতে আসতে স্টীমারে চা খেতে খেতে ভাবছিলান বহুদূরে টাপাপুরের ঘাটটার কথা । সেই পুকুরঘাটের বাধা পৈঠায় এই জ্যোৎস্নালোকে এখন কি হচ্ছে ? সময়ের গতি আগে থেকে কত সামনে চলে এসেছে যে ! আজি যদি এক্ষুণি আবার সেখানে যাই ? সেই বাড়ী আছে, সেই পুকুরঘাট আছে, সেই মরদের আছে কিন্তু সে মানুষ কৈ ? পাটনা যেন হয়ে গিয়েছে বাড়ী। পাটনায় এসে বড় স্টেশনে গিয়ে ব্যক্তিয়ায়পুরের গাড়ীর সময় জিজ্ঞাসা করে নিলাম। বৈকুণ্ঠবাৰু ও তার চাপরাসী প্লাটফৰ্ম্মে পাঞ্জাব মেল ধরবার জন্যে দাঁড়িয়ে দেখলাম। তারপর পুটুলি হাতে জ্যোৎস্নাভিরা রাজপথ দিয়ে হেঁটে আসতে আসতে মঙ্গে হােল কি ভবঘুরেই হয়ে পড়েছি! কোথায় বাড়ীম্বর আর কোথায় সারণ জেলা, পাটনা জেলা, গয়া জেলা করে কত দিনটা কাটলো , সেই আদিনাথ পাহাড়, আগরতলা, কুমিল্লা, উজীয়পুর, সেই রাত্রে খালে বেড়ান, ইসলামিকাটি, সেই জয়পুর ডাকবাংলা-চানন নদী, শালবন । শাটনা লৈ প্রেসের কাছে এসে কল্পনায় আমাদের গ্রামের বাষ্ঠীতে ফিরে গেলাম। --e ጓዙ—–ሻl የ --দোয় খুলে গেলা-'কে বিস্তৃতি ?”