পাতা:বিরাজবৌ-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১২ বিরাজ-বেী [ চতুর্থ অঙ্ক ভোলেন না । তাই নিঃসন্তান আমাকে তোমার মতন একটি মেয়ে দিয়েছেন। সেই মেয়েকে উপোসী রেখে আমি মুখে ভাত তুলব— আমি কি পাষাণ মা ?--লোকে বলে ব্ৰহ্মশাপ না হলে সর্পাঘাত হয় না— (হঠাৎ কাতরস্বরে ) বেীমা, মা আমার, তুমি বিশ্বাস কর আমাকে, আমার পীতাম্বরের ওপর আমার একবিন্দু রাগ ছিল না। তাকে আমি সৰ্ব্বাস্তঃকরণে ক্ষমা করেছিলুম, বিশ্বাস কর তুমি । মোহিনী । অমন করে বলে আমাকে অপরাধী করবেন না বাবা । সংসারে কারও ওপরই যে আপনার রাগ নেই, তা কি আমি জানি না ? যদু আসিয়া হ’ক দিল নীলাম্বর । আমার নিজের অপরাধের সীমা নেই, শাস্তিও তারই পাচ্ছি, আমি রাগ করব কণর ওপর ? পীতাম্বর যাই করুক, সে ষে ছোট ভাই, তা আমি একটা দিনও ভুলি নি যদু, একটা দিন ভুলি নি । মোহিনী। বইটা তুলে রেখে দিই বাবা । মহাভারত লইয়া মোহিনী ঘরের ভিতর গেল যদু। তাই যদি ভুলবেন, তা হ’লে আর বড় ভাই হবেন কেন ? কী বলব বড়বাবু ওসব কিছু নয় । যাকে ভগবান টানেন তাকে কে রাখবে কন ত । নীলাম্বর। বড় হতে পারলুম কোথায় রে ? সে ত দাদা বলে এই পা দুটোর ওপর মুখ গুজে পড়ে রইল, বললে—রোজা, ওষুধ, মন্তরতস্তর কিছু চাই নে দাদা, শুধু তোমার পায়ের ধুলো মাথায় দাও, এতে যদি না বাচি ত বঁচিতেও চাই নে । সেই দাদা তার কী করলে ? কী করতে পারলে ? উক্ষগত জঞ্জতে কণ্ঠ রুদ্ধ হইয়। আসিল