পাতা:বিশ্বকোষ অষ্টাদশ খণ্ড.djvu/৫৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিদ্যানিবাস [ • ] বিদ্যাপতি - যথেষ্ট সুবিধান করিয়াছিলেন। বিলাসের উপকরণ প্রব্যের সহিত শিল্পের উন্নতি অবশুম্ভাবী। বিছানগয়ে শিল্পবাণিজ্যের ও কৃষির যথেষ্ট উন্নতি হইয়াছিল। রাজ্যের সমৃদ্ধি ও লোক ংখ্যার"আধিক্যই উহার অকাট্য প্রমাণ । এই বিশাল নগরে চরিসহস্ৰ অতি সুন্দর ও বিপুল দেবমন্দির নিরস্তর অর্চনাবাস্তে মুখরিত হইত। এতদ্ব্যতীত ধৰ্ম্ম, চর্চার নিমিত্ত আর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কত মন্দির নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল, তাহার সংখ্যা করা ভার। বিদ্যানগরের রাজার পান্ধীর সংখ্যা झ्णि २०००० । नांदौ वांश्कन जरथा क७ झिल हेश इशङई তাহা অনুমিত হইতে পারে। বিদ্যানগরের বিশাল সমৃদ্ধি কবির কল্পনা বা উপন্যাসকখকের অসার জল্পনা নহে। ইহার প্রত্যেক কথাই প্রত্যক্ষদশী ঐতিহাসিকের সুদৃঢ় প্রমাণের উপর প্রতিষ্ঠিত। - বিদ্যানন্দ, ১ একজন স্বকবি। ক্ষেমেশ্রকৃত কবিকণ্ঠীভরণে ইহার উল্লেখ আছে। ২ একজন বৈরাকরণ । ভাবশ । ইহার নামোল্লেখ করিরছেন । ৩ জৈনাচাৰ্য্যভেদ । ৪ অষ্টসহস্রীপ্রণেতা, ইহার অপর নাম পাত্রকেশরী । বিদ্যানন্দ নাথ, লঘুপদ্ধতি ও সৌভাগ্যরত্নাকর নামক তন্ত্রগ্রন্থরচয়িত । বিদ্যানন্দনিবন্ধ, একখানি প্রাচীন তন্ত্রসংগ্রহ। তন্ত্রসারে এই গ্রন্থের উল্লেখ পাওয়া যায় । বিদ্যানাথ, ১ প্রতাপরুদ্রযশোদ্ভূষণ নামক অলঙ্কার ও প্রতাপরুদ্রকল্যাণ নামক সংস্কৃত গ্ৰন্থরচয়িতা। ইহাকে কেহ কেহ বিদ্যানিধি বলিয়াও থাকেন। কবি ওরঙ্গলের কাকতীয়বংশীর রাজা ২য় প্রতাপরুদ্রের আশ্রয়ে প্রতিপালিত (১৩১ খৃঃ)। ২ রামায়ণ-টীকাগ্রণেতা। ইহাকে কেহ কেহ তামিলকবি বৈদ্যনাথ বলিয়া সন্দেহ করেন। ৩ জ্যোৎপত্তিসার প্রণেতা। শ্ৰীনাথকুরির পুত্র। ইনি রাজা অনুপসিংহের প্রার্থনানুসারে এই গ্ৰন্থখানি রচনা করিয়াছিলেন । ৪ বেদান্তকল্পতরুমঞ্জরী: প্রণেতা । বিদ্যানাথ কবি,দোয়াববাসী একজন কবি। ১৬৭৩ খৃষ্টীলে জন্ম। বিদ্যানিধি, ১ অত্যচন্ত্রিক নামক নাটকগ্রণেতা। ২ একজন বিখ্যাত স্থায়বাগীশ । কাব্যচন্ত্রিকারচয়িত সুপ্রসিদ্ধ পণ্ডিত। বিদ্যানিধিতীর্থ, মাধ্বসম্প্রদায়ের একাদশ গুরু। রামচন্ত্র তীর্থের শিষ্য। ১৩৭৭ খৃষ্টাব্দে রামচন্দ্রেয় তিরোধান হইলে ইনি গদিলাভ করেন। ১৩৮৪ খৃষ্টাব্দে ইহার মৃত্যু ঘটে। স্মৃত্যুর্থসাগরে ইহার ও ইহার শিষ্যদিগের পরিচয় আছে। বিদ্যানিবাস, ১ দোলারোহণপদ্ধতি-প্রণেতা - ২ মুগ্ধবোধটকা- • রচয়িতা । ৩ নবদ্বীপবাসী একজন বিখ্যাত পণ্ডিত । 殘 ভাষাপরিচ্ছেদপ্রণেতা বিশ্বনাথ এবং তত্ত্বচিত্তামণিদীধিতিব্যাথ্যারচয়িত রুদ্রের পিতা। ই হার পিতার নাম ভবানন্দ সিদ্ধান্তৰাগীশ । বিদ্যানিবাস ভট্টাচাৰ্য্য, সচ্চরিতমীমাংসীগণেতা। বিদ্যামুলোমালিপি (স্ত্রী) লিপিবিশেষ (ললিতবিস্তর)। বিদ্যাপতি, মিথিলার এক জন অদ্বিতীয় ব্রাহ্মণ কৰি ও বহু গ্ৰন্থরচক্ষিতা । তাহার পদাৰলী কেবল মৈথিল-সাহিত্য বলিয়া নছে, তাছা আজি বঙ্গীয় কাৰ্যকাননের অপূৰ্ব্ব মধুচক্র। [বাঙ্গালা-সাহিত্য ৯৯ পৃষ্ঠায় পদাবলীর সমালোচনা দ্রষ্টব্য। ] বিষ্কাপতি উপযুক্ত পণ্ডিতবংশেই জন্ম গ্রহণ করেন। তাহার পূর্ব পুরুষগণ সকলেই বিম্বা ও যশস্বী ছিলেন। তাহার পূৰ্ব্ব পুরুষগণের বীজ পুরুষ হইতে পুত্রপৌত্রাদি ক্রমে বংশধারা লিখিত হইতেছে— ১ বিষ্ণুশৰ্ম্ম, ২ হল্লাদিত্য, ৩ ধৰ্ম্মাদিত্য, ৪ দেবাদিত্য, ৫ বীরেশ্বর, ৬ জয়দত্ত, ৭ গণপতি, ৮ বিদ্যাপতিঠাকুর, ৯ হরপতি, ১• রতিধর, ১১ রঘু, ১২ বিশ্বনাথ, ১৩ পীতাম্বর, ১৪ নারায়ণ, ১৫ দিনমণি, ১৬ তুলাপতি, ১৭ একনাথ, ১৮ ভাইয়া, ১৯ নায়ু ও ফনিলাল। নামুলালের পুত্র বনমালী ও ফনিলালের পুত্র বদরীনাথ এখন জীবিত । বিদ্যাপতি ঠাকুরের পিতা গণপতি ঠাকুর মিথিলাপতি গণে, শ্বরের এক জন পরম বন্ধু ও সংস্কৃত শাস্ত্রবিৎ মহাপণ্ডিত ছিলেন। গণপতি মৃতবন্ধু নৃপতির পরিত্রিক মঙ্গলের জন্ত র্তাহার রচিত “গঙ্গাগুক্তিতরঙ্গিণী” উৎসর্গ করিয়া যান। বিদ্যাপতির পিতামহ জয়দত্তও এক জন অসাধারণ পণ্ডিত ছিলেন । তিনি ‘যোগীশ্বর বলিয়া পরিচিত। জয়দত্তের পিতা বীরেশ্বর নিজ পাণ্ডিত্যগুণে মিথিলাধিপতি কামেশ্বরের নিকট যথেষ্ট বৃত্তি পাইয়াছিলেন। এই বীরেশ্বর রচিত প্রসিদ্ধ বীরেশ্বরপদ্ধণ্ডি" অনুসারে আজও মিথিলার ব্রাহ্মণের ‘দশকৰ্ম্ম করিয়া থাকেন । বিদ্যাপতির খুল্লপিতামহ চণ্ডেশ্বর মহারাজ হরিসিংহ দেবের মহামহত্তক সান্ধিবিগ্রহিক ছিলেন । তিনি ‘স্মৃতিরত্নাকর নামে ৭ খানি স্মৃতিনিবন্ধ রচনা করেন। এ ছাড়া বীরেশ্বরের পিতা দেবাদিত্য, পিতামহ ধৰ্ম্মাদিত্য ও তৎপিতা হরাদিত্য প্রভৃতি সকলেই মিথিলার রাজমন্ত্রিত্ব করিয়া গিয়াছেন। বিদ্যাপতির প্রথম উৎসাহদাত প্রতিপালক খিলাধীশ শিবসিংহ দেব। তাছার একটা মৈথিল পদে শিবসিংহের কাল ও গুণের পরিচয় দিয়া গিয়াছেন-~ “অনল রন্ধুকর লক্‌খণ ণরবই সৰু সমুদ কর জগিনি সসী। চৈতকারি ছঠি জেঠা মিলিও বার বেহল্পই জাউলসী ৷ দেবসিংহ জং পুহমী ছড়ড়ই অদ্ধাসন জুররাজ সন্ধ ॥ দুহু মুরতান নিন্ধৈ অব সোত্মউ তপনহীন জগ ভয় ॥