পাতা:বিশ্বকোষ অষ্টাদশ খণ্ড.djvu/৬৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- বিন্ধ্যগিরি _t_૭રજ_] বিষ্কাগির শরণাপন্ন হইলেন এবং বিন্ধ্যের উন্নতি স্তম্ভন করিবার নিমিত্ত তাহাকে বিশেষ অনুরোধ করিলেন। তখন মহাদেব বলিলেন, বিন্ধ্যের উন্নতি খৰ্ব্ব করিতে আমাদের কাহারও সাধ্য নাই, চল সকলে মিলিয়া আমরা বৈকুণ্ঠনাথের শরণ লই। দেৰগণ বৈকুণ্ঠে আসিয়া বিষ্ণুর স্তৰ করিলে পর, তিনি তুষ্ট হইয়া জানাইলেন, বিশ্বসংসারনিৰ্ম্মাতা দেবী ভগবতীর সেবক অতুল প্রভাব অগস্ত্য মুনি এক্ষণে বারাণসীতে অবস্থান করিতেছেন। তিনি ব্যতীত কেহই বিন্ধের উন্নতির প্রতিরোধক হইতে পারিবে না। তখন দেবগণ বারাণসীতে আসিয়া অগস্ত্য আশ্রমে উপনীত হইলেন এবং তাহার কৃপাভিক্ষা করিলেন। তখন লোপামুদ্রাপতি অযোনিসম্ভব সেই মহামুনি কালভৈরবকে প্ৰণিপাতপূৰ্ব্বক বারাণসী পরিত্যাগ করিয়া দক্ষিণাভিমুখে চলিলেন। নিমেষমধ্যে তিনি বিন্ধ্য সমীপে উপস্থিত হইলেন। বিষ্ক্য মুনিবর অগস্তাকে সম্মুখে দেখিয়া যেন পৃথিবীর কাণে কাণে কিছু বলিবার উদ্দেশেই দণ্ডবৎ হইয়া অগস্ত্যকে প্রণাম করিলেন । মহাগিরি বিন্ধকে এইরূপে প্রণত দেখিয়া অগস্ত্য আনন্দ লহকারে বলিলেন, “বৎস! তোমার এই দুরারোহ প্রস্তর আরোহণ করিতে আমি নিতান্তই অক্ষম হইয়াছি, আমি যতদিন না ফিরিয়া আসি, ততদিন তুমি এই ভাবেই অবস্থান কর।” মুনিবর এই বলিয়া দক্ষিণদিকে প্রস্থান করিলেন। তিনি ঐশৈল দর্শন করিয়া মলয়াচলে গমনপূর্বক তথায় আশ্রম স্থাপন করিয়া অবস্থিতি করিতে লাগিলেন, তদবধি বিন্ধ্য আর মস্তক উত্তোলন করে নাই । এদিকে মনুপূজিত দেবী তগবতীও বিষ্কাচলে আসিয়া অবস্থিত হইলেন । তদবধি তিনি বিন্ধ্যবাসিনী নামে ত্রিলোকে পূজিত হইতেছেন। (দেবীভাগবত ১০৩-৭অঃ ) । বামনপুরাণে লিখিত আছে যে, কালে এই পৰ্ব্বত উচ্চ হইয়া ক্রমে স্বৰ্য্যমণ্ডলের গতিরোধ করে। তাহাতে স্বৰ্যদেব | ব্যাকুল হইয়া অগস্ত্য ঋষির হোমাবসান কালে তথায় উপস্থিত হন এবং ঋষিকে বলেন, হে কুন্তভব! বিন্ধীগিরির প্রভাবে আমার স্বর্গ যাতায়াতের পথ একেবারে রুদ্ধ হইয়াছে, অতএব যাহাতে আমি নিরাপদে স্বর্গাদিতে ভ্রমণ করিতে পারি, এরূপ উপায় কুরুন। দিবাকরের এই বিনীত বাক্যে মহর্ষি বলিলেন, আমি অল্পই বিন্ধ্যগিরিকে নিম্নশৃঙ্গ করিব । এই বলিয়া মহর্ষি দণ্ডকারণ্য হইতে বিন্ধ্যাচলে গমন করিলেন এবং তাহাকে বলিলেন, দেখ বিন্ধ্য ! আমি তীর্থযাত্রা করিয়াছি, তোমার অত্যুচ্চতা প্রযুক্ত দক্ষিণদিকে যাইতে পারিতেছিনা, অতএব তুমি অল্পই নীচতর হও। ঋষির এই অনুজ্ঞায় বিন্ধ্য গিরি নিম্নপৃঙ্গ হইলে অগস্ত্য পৰ্ব্বত পার হুইয়া দক্ষিণদিকে গিয়া 彎 XVIII 論総ー পুনৰ্ব্বার ধরাধরকুে বলিলেন, গুন বিন্ধ্য। যাবৎ আমি তীর্থপর্যটন করিয়া প্রত্যাবৃত্ত না হই, তাবৎ তুমি এইরূপ নিম্নভাবে অবস্থান করিবে। যদি ইহার ব্যত্যয় কর, তবে আমার নিকট অভিশপ্ত হইবে । এই কথা বলিয়া ঋষি তথা হইতে প্রস্থান করিয়া দক্ষিণ দেশের অন্তরীক্ষ প্রদেশে আশ্রিমনিৰ্ম্মাগান্তে তথায় স্বীয় সহধৰ্ম্মিণী লোপামুদ্রাসহ বাস করিতে লাগিলেন। তখন বিন্ধা মুনির প্রত্যাগমন আশা পরিত্যাগ করিল এবং তদীর শাপভয়ে ভীত হইয়া তক্রপ অবনতভাবেই রহিল। দানবদলনার্থ এই বিষ্কাগিরির সৰ্ব্বোচ্চ শৃঙ্গে দুর্গাদেবীও অবস্থিত হইলেন। অন্সরোগণের সহিত দেব, সিদ্ধ, ভূত, নাগ ও বিদ্যাধর প্রভৃতি সকলে একত্র স্তবাদিদ্বারা তাহাকে অস্থর্নিশি সন্তুষ্ট করিলেন এবং তাহারা নিজেরাও দুঃখশোকবিবর্জিত হইয়া তথায় অবস্থান করিতে লাগিলেন। ( বামনপু ১৮ অ” ) কাশীখণ্ডে লিখিত আছে,—মহর্ষি নারদ নৰ্ম্মদাসলিলে অবগাহনাস্তে ওঁকারেশ্বর মহাদেবের পূজা করিয়া বিন্ধ্যসকাশে উপনীত হইলেন। বিন্ধ্য অষ্ট্রোপকরণনিৰ্ম্মিত অর্ঘ্য দ্বারা যথাবিধি পুঙ্গাপূৰ্ব্বক স্বাগতাদি জিজ্ঞাসা করিলে মুনিবর দীর্ঘনিশ্বাস সহকারে বিন্ধকে বলিলেন, বিন্ধ্য ! এই পৰ্ব্বতগণের মধ্যে এক শৈলশ্রেষ্ঠ সুমেরুই তোমাকে অবমাননা করে। ইহাই আক্ষেপের বিষয়। অন্যান্য কথার পর এই কথা বলিয়া নারদ প্রস্থান করিলে বিন্ধ্য সুমেরুর প্রতি অস্থয়াপরবশ হইয়া যাহাতে দিবাকর গ্রহনক্ষত্রগণসহ সুমেরু পর্য্যস্ত প্রদক্ষিণ করিতে না পারেন, তাহার প্রতিবিধান জন্ত স্বীয় দেহ বৰ্দ্ধিত করিয়া স্বর্যের গমনাগমন পথ অবরোধ করিলেন। ইহাতে স্বর্গমর্ত্যের যাবতীয় লোক যারপর নাই ব্যাকুল হইয়া উঠিল। দেবগণ জগতের শান্তির জন্য ব্ৰহ্মার নিকট এবিষয়ের প্রস্তাব করিলে তিনি বলিলেন যে, অগস্ত্য ঋষি ব্যতিরেকে অন্ত কাহারও স্বারা ইহার প্রতিকারের প্রত্যাশা নাই ; অতএব তোমরা অবিলম্বে বিশ্বেশ্বরের অবিমুক্তক্ষেত্রে গিয়া সেই মিত্রাবরণতনয় মহাতপস্বী অগস্ত্যের নিকট এতদ্বিষয় বিজ্ঞাপন কর । ব্ৰহ্মার পরামর্শে ইন্দ্র প্রমুখ দেবগণ বারাণসীধামে আসিয়া অগস্ত্যসন্নিধানে বিন্ধীগিরিকৃত আকস্মিক উৎপাতের বৃত্তান্ত জানিয়াই তন্নিবারণ জন্য সামুনয়ে অনুরোধ করিলেন। অগস্ত্যও অবিলম্বে তাহার প্রতিবিধান ক্ষু বিষ্কাচাভিমুখে গমন করিলেন। বিষ্কাগিরি অনলসদৃশ মুনিকে দেখিয়া অতি সম্বন্তভাবে স্বীয় শরীর অবনত করিয়া বিনয়নম্রবচনে বলিলেন, প্রভো! আপনি প্রসন্ন হইয়া যাহা আজ্ঞা করিবেন, কিঙ্কর তৎসম্পাদনে প্রস্তুত। ইহা শুনিয়া অগস্ত্য বলিলেন, বিন্ধ্যগিরে । বাস্তবিক তুমিই সাধু। তুমি আমার পুনরাগমন কাল পর্যন্ত