পাতা:বিশ্বকোষ ঊনবিংশ খণ্ড.djvu/৩১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লোণিতক করিয়া থাকে । নিকটবৰ্ত্তী ধাকেয়াল নামক স্থানে একটা গগুশৈল আছে। উহার বিস্তৃতি ও লোণাস্তুদের বেড় প্রায় সমান। লোকে ঐ শৈলকে লবণাসুর-ভবনের আচ্ছাদনপ্রস্তর বলিয়া মনে করে। বিষ্ণুকর্তৃক ঐ প্রস্তর পাদাঙ্গুল স্পর্শে উৎক্ষিপ্ত হইয়া এখানে নিক্ষিপ্ত হইয়াছিল। এই হ্রদের প্রাকৃতিক সৌন্দৰ্য্য বড়ই মনোরম, ইহার চারিদিকে বৃত্তাকারে ৪০৯ ফিটু উচ্চ পৰ্ব্বতসামু বিরাজিত। এই সামুদেশে অসংখ্য মন্দির ও কীৰ্ত্তিস্তম্ভ ধ্বংসাবস্থায় পতিত রহিয়াছে, এখন সে সমুদায় প্রায় জঙ্গলে আবৃত। উহার উপরের পাড়ের পরিধি প্রায় ৫ মাইল এবং জলের সমীপবৰ্ত্তা স্থানের পরিধি প্রায় ৩ মাইল। এতদ্ভিন্ন পাড়ের খাড়াইএর কোণ ৭৫ হইতে ৮৯° । হ্রদের গভীরতা ও তাহার ঢালু পাড়ের অবস্থা পৰ্য্যবেক্ষণ করিয়া ভূতত্ত্ববিদগণ বলিয়া থাকেন যে, উহ এক সময়ে কোন আগ্নেয়গিরির মুখ ছিল। পার্শ্ববর্তী পৰ্ব্বতের প্রস্তররাশি আজিও তাহার সাক্ষ্য দিতেছে। ঐ ঢালু পাড়ভূমি বনসমাকীর্ণ হইলেও, স্তরবিশেষে বিভিন্ন জাতীয় বৃক্ষ উৎপন্ন হওয়ায় উহার সৌন্দৰ্য্য আরও চিত্তাকর্ষক হইয়াছে। সৰ্ব্বনিম্নস্তরে প্রায় ৬০০ গজ বিস্তৃত বেষ্টনী মধ্যে কেবল তেঁতুল ও বাবলা গাছেব সার দেখা যায়। তাহার উপরে সেগুণ গাছের বন, মধ্যে মধ্যে অন্যান্য গাছও আছে। হ্রদের দক্ষিণস্থ পৰ্ব্বতপৃষ্ঠে একটী ক্ষুদ্র গৰ্ত্ত বা প্রস্রবণ আছে। ঐ স্থান হইতে নিরস্তর সুমিষ্ট জলরাশি উদগত হইয়া স্রোতোবেগে হ্রদগর্ভে আসিয়া পড়িতেছে। ঐ প্রস্রবণের সম্মুখে একটা মন্দির আছে। হ্রদের ঢালু দেশের বনপ্রদেশ ও জলগর্ভের মধ্যবৰ্ত্তী স্থানে একটা বিস্তৃত কর্দমাক্ত ভূমিভাগ দৃষ্ট হয়। বৰ্ষাঋতুতে উহা জলমগ্ন হইয়া যায়,কিন্তু অপর সময়ে জল শুকাইয়া বা সরিয়া গেলে চতুষ্পার্শ্বে ই একটা বিস্তীর্ণ ক্ষেত্র পতিত থাকে, উহাতে কখনও কোন শস্যাদি উৎপন্ন হয় না। হ্রদের জল লবণমিশ্রিত থাকায় ঐ কর্দমাক্ত ক্ষেত্রও লবণরসসিক্ত হইয়া থাকে। এই জন্য সামান্ত শুকাইয়া আসিলে উহা সাদা দেখায়। তখন ঐ মৃত্তিক হইতে লবণ সংগ্রহ করা হইয়া থাকে। তথাকার লবণে শতকরা ৩৮ ভাগ অঙ্গারাম, ৪০৯ ক্ষার (Soda ), ২০৬ জল ও ৫৫ কঠিন পদার্থ এবং সামান্ত মাত্রায় সলফেট পাওয়া যায়। এই ক্ষার সাবান প্রস্তুত কার্য্যেই ব্যবহৃত হয়। লোনিক (স্ত্রী) লোণীশাক, খুদেলুণী, বনলুণী । ( পর্যায়যু ) ২ চাঙ্গেরী, আমরুল। ৩ চক্রিক, চুকাপালং। (বৈদ্যকনি” ) লোণিতক, একজন প্রধান কবি। ইহার অপর নাম লোতক। Crità ( ?) trotefror, (Portulaca quadrifida) XVII { లిరి ] লোধরান বড় বা বন লুণী, খুদেলুণী। হিন্দী—লুণিয়াশাক বা লুণিয়া, যুৱক, তৈলঙ্গ—পইলকুর, বম্বে-কুৰ্কী, তামিল—কোরিলকীরই। ইহা দুই প্রকার ক্ষুদ্র ও বৃহৎ । ক্ষুদ্রের গুণ-রূক্ষ, গুরু, বাতশ্লেষ্মহর, অশোয়, দীপন, অল্প ও মন্দাগ্নিনাশক । বৃহতের গুণ-অম্ল, উষ্ণ, বাতবৰ্দ্ধক, কফপিত্তনাশক, বাগ দোষনাশক, ব্রণ, গুল্ম, শ্বাস, কাস ও প্রমেহনাশক, শোথনাশক এবং নেত্ররোগে হিতকর । লোণী, যুক্তপ্রদেশের মিরা জেলার গাজিয়াবাদ তহসীলের অন্তর্গত একট প্রাচীন নগর। এখন স্ত্রীভ্রষ্ট ও জনশূন্ত হইয়া পড়িয়াছে। দিল্লীশ্বর পৃথ্বীরাজের প্রতিষ্ঠিত একটা প্রাচীন চুর্গের ভগ্নাবশেষ অস্কাপিও সেই কীৰ্ত্তিষ্কৃতি বহন করিতেছে। মোগলসম্রাটুগণ মৃগয়ায় বহির্গত হইয়া প্রায়ই এখানে আদিতেন। র্তাহীদের প্রাসাদ শ্ৰীহীন অবস্থায় পতিত রহিয়াছে । ১৭৮৯ খৃষ্টাব্দে সম্রাট মহম্মদশাহ এখানে একটা উপবন ও দীর্ঘিকা স্থাপন করান। ঐ নীর্থিক ও উপবনে জল আনাইবার জন্ত প্রথমে তাঁহারই উদ্যোগে পূৰ্ব্ব-যমুনা-খাল কাটা হইয়াছিল। বাহাদুর শাহের মহিষী জিনাৎ মহল উলীপুরে প্রাচীর-পরিবেষ্টিত ও প্রবেশদ্বারাদি-পরিশোভিত একটী মৃন্দর উদ্যান নিৰ্ম্মাণ করাইয়াছিলেন । , উহার মধ্যে উজ্জ্বল লোহিতবর্ণ প্রস্তরনিৰ্ম্মিত গুন্ধেজশোভিত প্রসিদ্ধ বারদোয়ারী বিদ্যমান । এতদ্ভিন্ন তথায় মোগল-রাজবংশধরগণের আরও অসংখ্যকীৰ্ত্তি পরিলক্ষিত হইয়া থাকে। সিপাহী যুদ্ধের পর ইংরাজরাজ এই নগর মোগলাধিকার হইতে কাড়িয়া লন। এই স্থান এখন সৌন্দৰ্য্যহীন । লোত, (পুং ক্লা) লুনাতীত লু (হসিমৃগ্রিণিতি। উণা ৩৮৬) ইতি তন্‌। ১ স্তেয়ধন। ২ লোপ্ত, লোত্র, লুম্প। ৩ নেত্রান্ধু। ৪ চিহ্ন। ৫ লবণ ৬ অশ্রুপাত । লোত্র (ক্লী) লুনাতীতি লু (সৰ্ব্বধাতুভাষ্ট্রন। উণ, ৪ । ১৫৮) ইতি ট্রন, যা লা (অশিত্রাদিভ্য ইত্রোত্রে। উ4, ৪। ১৭২) ইতি উত্র। লোত, নেত্রজল । লোদী, প্রাচীন রাজবংশভেদ। ২ দিল্লীর স্বনামপ্রসিদ্ধ মুসল মান রাজবংশ । [ ভারতবর্ষ দেখ । ] লোথ (পুং ) কুধ-অচ, রন্ত লঃ স্বনামখ্যাত বৃক্ষ। লোধরান, পাবপ্রদেশের মুলতান জেলার অন্তর্গত একটা তহসীল। অক্ষা” ২৯’২১৪৫% হইতে ২৯’২৯৪৮ উঃ এবং দ্রাঘি” ৭১°৪ হইতে ৭১%১' পূঃ মধ্য। ভূপরিমাণ ৭৮১ বর্গমাইল । এই দেশভাগ শতদ্রনদীকূলে অবস্থিত । অধিকাংশ স্থানই পৰ্ব্বত ও বালুকাময় হওয়ায় এখানে শস্তাদি উৎপাদনের বিশেষ সুবিধা নাই। গম, জুয়ার, বজরা, তুলা, যব ও নীল এখানকার প্রধান পণ্য দ্রব্য। লোধরান নগরে একজন তহলীলদার থাকেন। তিনি এখানকার দেওয়ানী ও ফৌজদারী বিভাগের

  • s