পাতা:বিশ্বকোষ ঊনবিংশ খণ্ড.djvu/৬৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বল্পপুর বল্পপুর t ৬৭১ ] এইরূপ অঙ্গুলি কাটা হইয়াছিল। আকুল কাটিবার সময় চিতল নামক র্যঞ্জ সাহায্যে এক আঘাতে কাটাই রীতি। ७हे अडूठ क्लिग्नां गचएक छाशरमब भाषा ७कन्नै किश्वप्रखैौ আছে —পুরাকালে বৃক নামে এক রাক্ষস ছিল। সে বহু সহস্ৰ বৎসর কঠোর তপস্থা করিয়া মহাদেবকে তুষ্ট করে। রাক্ষসের তপে পরিতুষ্ট হইয়৷ মহাদেব রাক্ষসকে দেখা দিয়া বলেন, বৎস ! আমি তোমার তপস্তায় প্রত হইয়াছি, এক্ষণে যখাভিলষিত বর প্রার্থনা কর। রাক্ষস দেবাদিদেব মহাদেবের এবম্বিধ বাক্য শ্রবণ করিয়া বলিল, দেব ! যদি অধীনের প্রতি কৃপা করিয়া দর্শন দিয়াছেন, তবে আমায় এই বর দিন যেন श्रांभि भांश्वांग्र शङ लियांभांजरें ८णहे दाखिन् उन्ध्न शहेग्न माग्न । আশুতোষ রাক্ষসের অসদভিপ্রায় জ্ঞাত না হইয়া “তথাস্তু" বলিয়া প্রস্থান করিলে ছৰ্বত্ত বৃক দেবপ্রদত্ত এই অসাধারণ শক্তির পরীক্ষার্থ মহাদেবের পশ্চাৎ পশ্চাৎ ধাবিত হইল। শিব উপায়াস্তুর না দেখিয়া ক্রতপদে পলায়মান হইলেন, রাক্ষস তাহার পশ্চাদমুসরণ করিয়া ক্রমশঃ নিকটবৰ্ত্তী হইলে মহাদেব একটা বনে প্রবেশ করিলেন। রাক্ষস হাফাইতে হাফাইতে দৌড়িয়া আসিয়া বন সম্মুখস্থ ক্ষেত্রে এক কৃষককে দেখিতে পাইল এবং জিজ্ঞাসা করিল—শীঘ্ৰ বল, তুই এখান দিয়া কাহাকেও যাইতে দেখিয়াছিস্ ? ভীষণদর্শন সেই রাক্ষসকে দেখিয়া তখন কৃষক মনে মনে চিন্তা করিল, যদি আমি এই রাক্ষসকে মহেশ্বরের সংবাদ না বলিয়া দিই, তাহা হইলে এ এখনই ক্রোধের বশবর্তী হইয়া আমাকে সংহরিপূর্বক ভক্ষণ করিবে ; আর যদি শিব এই বিষয় জানিতে পারেন, তাহ হইলে আমায় হরকোপ|নলে দঙ্গীভূত হইতে হইবে ; সুতরাং কি কৰ্ত্তব্য অমুসরণ করিলে এই দারুণ বিপদ হইতে অব্যাহতি পাই। কৃষককে চিন্তাশীল দেখিয় রাক্ষসের দৃঢ় বিশ্বাস জন্মিল, সে নিশ্চয়ই মহেশ্বরের সংবাদ জানে। তখন সে পুনঃ পুনঃ হুঙ্কার দ্বারা কৃষককে ভয় প্রদর্শন করিতে লাগিল, কৃষক উপায়ান্তর না দেখিয়া চিৎকারপুৰ্ব্বক বলিল, “আমি মহাদেবের কোন সংবাদ রাখি না" পরক্ষণেই সে আস্তে আস্তে রাক্ষসকে মহাদেবের গুপ্তস্থান দেখাইয়া দিল । যখন রাক্ষস বৃক সেই বনে প্রবেশ করিয়া মহাদেবকে ধরিতে অগ্রসর হইল, এমন সময়ে, বিষ্ণু মহাদেবের উদ্ধারার্থে মোহিনীবেশ ধারণ করিয়া রক্ষণের সম্মুখে উপনীত হইলেন। যুবতীর মোহনরূপে মুগ্ধ হইয়া রাক্ষস মহাদেবের প্রতিহিংসা ভুলিয়া ধীরে ধীরে মোহিনীর অনুসরণ করিতে লাগিল, কিন্তু সেই বরবপু স্পর্শ করিতে পারিল না, রাক্ষসের প্রেমবিহ্বল ভাব দেখিয়া যুবতীর দয়ার উন্ত্ৰেক হইল। তখন সে বলিল, আমি ব্রাহ্মণ কস্তা, কিরূপে তোমার স্থায় অপূক্তদেহ বাক্ষসের প্রার্থমা পূর্ণ করিতে পারি। তুমি জগ্রে সন্ধা বানাদি দ্বারা পুতদেহ হও, তবে তোমার বাসন পূর্ণ হইতে পারে এবং তুমি আমাকে স্পর্শ করিতে পার। বিষ্ণুর ছলনা রাক্ষস বুঝিতে পারিল না। নারীর রূপে মুখ হইয়া সে স্বীয় দক্ষিণহস্তের প্রভাব ভুলিয়া গেল। সন্ধা করিবার সময় রাক্ষস অঙ্গস্তাসকালে স্বীয় অঙ্গাদিতে যথাক্রমে দক্ষিণহস্তের অঙ্গুলি স্পর্শ করিতে লাগিল। অনন্তর যেমন মস্তকে হস্ত স্থাপন করিযে, অমনি ভস্মসাৎ হইয়া গেল । তদনন্তর মহাদেব সেই গুপ্ত স্থান হইতে বহির্গত হইয়া বিষ্ণুর নিকট স্বীয় কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনপূৰ্ব্বক অকৃতজ্ঞ ও বিশ্বাস ঘাতক কৃষকের অপরাধের বিচারে প্রবৃত্ত হইয়া আদেশ করিলেন, যে অঙ্গুলি দ্বারা তুই আমার গুপ্ত স্থান নির্দেশ করিয়া দিয়াছিল, তোর সেই আঙ্গুলি আমি নষ্ট করিয়া দিব । এই বলিয়া মহাদেব তাহার অঙ্গুলি কাটিতে উষ্ঠত হইলেন। এমন সময়ে অকস্মাৎ কৃষকপত্নী স্বীয় স্বামীর অন্নব্যঞ্জনাদি লইয়া সেই ক্ষেত্রে আসিয়া উপস্থিত হইল, সে মহাদেবকে তদবস্থ দেখিয়া স্বীয় স্বামীর অঙ্গুলি রক্ষার্থ মহাদেবের চরণতলে নিপতিত হইল এবং বিশেষ অনুনয় বিনয়ের পর বলিল, হে প্রভো ! যদি আপনি আমার স্বামীর অঙ্গুলি নষ্ট করিয়া দেন, তাহা হইলে অন্নাভাবে এই দরিদ্র পরিবার মৃত্যুমুখে পতিত হইবে, সুতরাং র্তাহার পরিবর্তে আমি ছুইটী অঙ্গুলি দিতে প্রস্তুত আছি ! মহাদেব কৃষকরমণীর এই প্রকার পতিভক্তি দেখিয়া বলিলেন, তোমার এরূপ স্বামিভক্তিতে আমি প্রত হইয়াছি। আজ অবধি তোমার বংশে যে সকল রমণী জন্মগ্রহণ করিবে, সেই আমার মন্দির সমক্ষে তাহার ইট অঙ্গুলী বলি দিয়া তোমার এই অসাধারণ পতিভক্তির মহিমা ঘোষণা করিবে । তাই অদ্যাবধি সেই রমণীর বংশীয়া কস্তারা অঙ্গুলি দান করিয়া আসিতেছে। তাহার রাজবিধির নিষেধ না মানিয়া দণ্ড গ্রহণ করিতে ববং ইচ্ছুক, তথাপি দেবদেশ লঙ্ঘন করিতে ইচ্ছুক নহে । এখনও মহিমুরে প্রায় ২ সহস্র পরিবার ঐরূপ অঙ্গুলিদান করিয়া থাকে। বল্লপুর, মাঙ্গাজপ্রেসিডেন্সীর সলেম জেলার অন্তর্গত একটী গওগ্রাম। কোল্লিমলয় পৰ্ব্বতোপরি স্থাপিত নামকল নগরী হইতে ১৬॥• মাইল পশ্চিমোত্তরে অবস্থিত। এখানে তোক্রিয়ুর উপত্যকার সন্মুখস্থ কনারমুখে আরপল্লেশ্বর স্বামীর মন্দির ও পুখুর। ঐ পুখুরে কতকগুলি মাছ আছে। প্রত্যহ ঘণ্ট বাজাইয়া ঐ মাছগুলিকে থাপ্ত দেওয়া হয় । ঘন্টাশৰ হইলেই মাছগুলি বাধের তীরে আসিয়া উপস্থিত হয়। এই জন্ত অনেকে ঐ মন্দিরকে