পাতা:বিশ্বকোষ দ্বাবিংশ খণ্ড.djvu/১০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বলুপ্তি উহাকে অজ্ঞানের বৃত্তি বলিয়। নির্দেশ কয়েম । এই অবস্থা উiহাদের মতে আনন্দময়কোষ । চিত্ত জাগ্রদবস্থায় আৰু ইজিয়ের, স্বপ্নকালে মেধ্য নাড়ীতে এবং স্বমুপ্তিকালে পুীতৎ নামক নাড়ীতে অবস্থিত থাকে । ( পাতঞ্জলদং ) শাস্ত্রে স্বযুপ্তির সহিত মুক্তির তুলনা করা হইয়াছে, অর্থাৎ স্বযুপ্তিকালে যেমন কোনরূপ জ্ঞান থাকে না, তদ্রুপ মুক্তি হইলে বহির্বিষয়ক কোন প্রকার জ্ঞানই থাকে না । বেদান্তদর্শনে এই স্বযুপ্তির বিষয় বিশেষরূপে আলোচিত হইয়াছে, আমরা অতি সংক্ষেপে তাছা লিখিতেছি । জীবের তিনটী অবস্থা, জাগ্রৎ, স্বপ্ন ও স্বযুপ্তি। জাগ্রাবস্থায় সকল প্রকার জ্ঞান থাকে। স্বপ্লাবস্থায় বাহকরণ অর্থাৎ বহিরিপ্রিয়সকল নিৰ্ব্ব্যাপার হয়, তখন আর কোনরূপ ইজিয়ঞ্জাল থাকে না। শিব, শাস্ত ও অদ্বৈত প্রাপ্ত হয়। এ বিষয়ে শ্রতি বলিয়াছেন,—যে প্রকারে জীব সুপ্ত হয়, সেই প্রকারে এই জীব যখন স্বপ্ত হয়, সমস্ত অর্থাৎ বাহকরণ তখন ব্যাপারশূন্ত হইয়া থাকে, সম্প্রসন্ন অর্থাৎ মনোলগ্ন হেতু শিব, শাস্ত ও অদ্বৈত হয় । জীব তখন নাড়ীস্থানগত থাকেন। অন্ত শ্রীতিতে লিখিত আছে যে, সেই সকল নাড়ীর দ্বার প্রত্যবসর্পণপূর্বক পুরীভৎ নামক নাড়ীতে শয়ন করেন, আবার জন্ত স্থানে লিখিত আছে যে, জীব বখন মুস্ত হন, কোন প্রকার স্বপ্ন দর্শন করেন না, তখন অতিৰ্হিত লীড়ীস্থানে থাকেন । অনস্তর প্রাণের সহিত একত্ব প্রাপ্ত হন। আবার শ্রত্যস্তরে এইরূপ শুনাযায়, যে হৃদয়ভ্যন্তর আকাশরুপ ব্ৰহ্ম জীব স্বযুপ্তিকালে এই আকাশে শয়ন করেন। আরও দেখিতে পাওয়া যায়, “হে সৌম্য শ্বেতকেতো ! সেই সময় জীব সৎসম্পন্ন অর্থাৎ ব্ৰহ্মসম্পন্ন হন। তখন আর জীবের বাহ ও আভ্যন্তর কোন জ্ঞানই থাকে ন” ইত্যাদি সকল শ্রুতির তাৎপর্যার্থে সংশয় এই যে, শ্রত্যুক্ত নাড়ী, পুরী তৎ ও ব্রহ্ম এগুলি কি পরস্পর নিরপেক্ষৰূপে বা পৃথক পৃথক্ রূপে স্বযুপ্তিস্থান। জীব কি ঐ সকল পৃথক পৃথক, স্থানে বিকল্পে মুগু হন, অথবা নাড়ীপথে পুরাততে গমন করিয়া ব্রহ্মে শয়ান হন । জীব জুমুপ্তির উদ্দেশে নাড়ী, পুরাতত, ও পরমাত্মা এই তিনের বিকল্পিত বা অন্ততম স্থামে উপসর্পিত হন। অর্থাৎ জীব স্বযুপ্তির জম্ভ একযোগে নাড়ী প্রভূতিতে উপগত হন। বিকল্পে অর্থাৎ ফখন নাড়ীতে ও কখন পুীতত প্রভূতিতে উপগত হম না । কেন না প্রতি ঐক্কপ হওয়ার কথাই বলিয়াছেন, আমরা সতে অর্থাৎ ব্রন্ধে একীভূত হইয়াছি। নাড়ী, পুনীতৎ ও ব্রহ্ম এই তিমই মুম্বুপ্তিস্থান বলিয়া কথিত হইয়াছে সত্য, কিন্তু তন্মধ্যে নাড়ী ও পুীতৎ এই দুইট স্বযুপ্তিস্থান ব্ৰহ্মপ্রাপ্তির দ্বারস্বরূপ। বস্তুতঃ ব্ৰহ্মই স্থযুপ্তির অনপায়ী মুখ্য ও অদ্বিতীয় স্থান। আরও দেখ, নাড়ীই হউক বা পুীতৎই [ పిఆ- ] স্বযুম্ন। হউক, যাহা জীৰোপাধির আধার বলিয়া স্বীকার্য হইবে, অবশুই তাহাতে ইঞ্জিয়গণ বিদ্যমান থাকিবে । কিন্তু উপাধি সম্বন্ধ ব্যতীত জীবের স্বতঃ আধারভ। অসম্ভৰ । কারণ জীব উপাধিশুস্ত হইলেই ব্ৰহ্মাভিন্ন হয় এবং ব্ৰহ্মও স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠিত থাকেন। স্বপ্ন ও জাগ্ৰসৰস্থায় উপাধি সম্পর্ক থাকায় পল্পরূপাপত্তির স্তায় থাকেন। কিন্তু স্বযুপ্তিতে তাহার অভাব হয়। তাছাই তাহার স্বরূপ প্রাপ্তি ও সৎসম্পন্ন হওয়া এবং ইছাই শ্রীতির তাৎপৰ্য্য, আত্মাই একমাত্র স্বযুপ্তিস্থান । কারণ শ্রতি স্বযুপ্তি অধিকারে নিত্য নিয়মিতরূপে আত্মা হইতে প্রবুদ্ধ জাগ্রদবস্থা হওয়ার উপদেশ দিয়াছেন। যেমন অগ্নি হইতে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র লিঙ্গ বাছিন্ন হয়, সেইরূপ আত্মা হইতে এই সমুদার প্রাণ বহিরাগত হয় । জীব ব্ৰহ্ম হইতে আসিয়াও জানিতে পারে না যে, আমরা ব্ৰহ্ম হইতে আসিয়াছি । জীব স্বযুপ্তিকালে প্রতিদিনই ব্ৰহ্মলোক লাভ করিতেছে, অথচ জ্বানে না যে, আমরা ব্ৰহ্ম লাভ করিতেছি। পূৰ্ব্ব প্রবোধে সে তাহাই হয় । সিংহ, ব্যাঘ্ৰ, বুক, বল্লাহ, কীটও পতঙ্গ যে যেরূপ ছিল, পর প্রবোধে সে তাহাই হয় । যে শরীরে সুপ্ত সেই শরীরেই জাগ্রত। বীজাণ্ডুয় সমান স্বযুপ্তি ও জাগ্রৎ এই ফুয়ের মধ্যে একই উপাধি বিদ্যমান, সুতরাং সেই একই জীব উভয়াবস্থায় অবস্থিত। অর্থাৎ যিনিই সুপ্ত হন, তিনিই জাগ্ৰদবস্থা প্রাপ্ত হইয় থাকেন । যখন স্বযুপ্তি হয় তৎকালে বখন কোনরূপই জ্ঞান থাকে না, তখন জাগ্রদবস্থায় তাহার কোনরূপ স্মরণ অসম্ভব। এইজন্ত শাস্ত্রে স্বযুপ্তিকে মোক্ষেয় সহিত তুলনা করা হইয়াছে। জীবের যখন মুক্তি হয়, তখন মুখতুঃখাদিল্প অত্যন্তাভাব হয়, স্বযুপ্তিতেও মুখস্থঃখের অত্যস্তাভাব হয় । জীবের জাগ্ৰং, স্বপ্ন ও স্বযুপ্তি ছাড়া আরও একটা অবস্থা বর্ণিত হইয়াছে, তাহার নাম মুগ্ধাবস্থ । ইঞ্জিয়গণ শ্রান্ত হইলে অর্থাৎ তাহাদের কাৰ্য্য করিয়া অসক্ত হইলে তাহদের বিশ্রামের জন্ত স্বযুপ্তি হইয়া থাকে। স্বযুপ্তির পয় তাহার স্বস্থ হইয়া পুনরায় স্ব স্ব কাৰ্য্য করিতে থাকে । ( বেদাস্তদ- ৩জ” ) 叠 স্বষুপুঃ (ত্রি) স্বপিতুমিচ্ছ স্বপন্সন, সমস্তাহ নিজ যাইতে अडिजांशैौ । স্বযুমৎ (ত্রি) সোমযুক্ত বা শোভন গ্ৰসৰযুক্ত। “দক্ষয় সুষুম্বাৰু আদৰ্শ” ( ঋৰু ১ণ ॥১ ) ‘স্বযুদ্ধা স্ব স্থাতে ইতি স্বযুঃ সোমঃ তেন ভান শোভনপ্রসবো বা’ ( সারণ ) (ত্রি ) ১ স্বযুদ্ধ বা স্বধন, ( ঋক্ ১•১see ) স্বষুম্ন। (স্ত্রী) शई हठादाऊर्णशर बाब्रडौछि ब्रा-रु । नॉफ़ौष्ठण,इफा, পিঙ্গল ও সুষুম্বা এই তিনটি প্রধান নাড়ী। এই নাজী মেরুর