পাতা:বিশ্বকোষ দ্বাবিংশ খণ্ড.djvu/৪৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হরমোহন চূড়ামণি [ ૪૧૭ ] হরস্বৎ সৌন্দর্ঘ্যে বাল্মিকীয়জয় বাঙ্গালী ভাষায় একখানি অপূৰ্ব্ব গ্রন্থ। । ইংরেজী, হিন্দী, মরাঠী, তেলগু ও সংস্কৃত ভাধায় বাল্মিকীর । জয়ের অনুবাদ চইয়াছে। তাছার ‘কাঞ্চনমালা’ ও ‘মেঘদূত’ , উৎকৃষ্ট গ্রন্থ । মেঘদূতে তিনি কালিদাসের প্রকৃত ভাব ও । সৌন্দৰ্য্য অতি সুললিত ভাষায় প্রকাশ করিয়াছেন। ঠাeার । ভাযাব ও একটু বিশেষত্ব আছে । তিনি বাঙ্গালা রচনায় সংস্কৃতপচল শকা প্রয়োগের পক্ষপাতী নহেন, কথিত ভাষার লালিত্য বক্ষণ করিয়া ভাব ও ভাষার সৌন্দর্য্যবিকাশ তাহার য়চনার লক্ষ্য। ৮রামগতি স্থায়রত্ন প্রভৃতির বাঙ্গলা-সাহিত্যেয় ইতিহাস | পাকিলেও তিনিই সৰ্ব্ব প্রথম র্তাহার Wernacular Litera tune প্রবন্ধে দেখাইয় দেন যে, বাঙ্গালাসাহিত্য কত বিস্তৃত ও i | প্রাচীন। তিনিষ্ট প্রথম প্রকাশ কয়েন যে, রাঢ়দেশে যে পৰ্ম্ম | ঠাকুরের পূজা প্রচলিত আছে, তাহ বঙ্গীয় বৌদ্ধধৰ্ম্মের অবশেয । এ দেশে যে তন্ত্রশাস্ত্র ও তাসখেলা প্রচলিত, তাঙ্গ ও ১২ শত বর্ষের অধিক প্রাচীন। তিনি প্রমাণ করিয়াছেন যে, হাজার | ন্য পুৰ্ব্বে ও বাঙ্গালী বৌদ্ধের কীৰ্ত্তন করিত। তিনিই সৰ্ব্বপ্রথম পৃদ্ধদে বের সময় হইতে মুসলমানআক্রমণকাল পর্য্যন্ত সমগ্র ভারতের হিন্দুরাজ্যসমূহের ধারাবাহিক ইতিহাস প্রকাশ করেন। ; প্রসিদ্ধ ডাক্তার বাজা রাজেন্দ্রলাল :মিত্রের পর বেঙ্গল গবমেণ্ট । ষ্ঠাহার উপর সংস্কৃত পৃথি সংগ্রহের ভার দিয়াছেন, এই পুথি- ; সংগ্রহকল্পে তিনি যে সকল বিবরণী প্রকাশ করিয়াছেন, তাহাতে যরোপীয় পুরাবিদগণও তাছার বিশেষ প্রশংসা করিতেছেন। ; এমৃ এ পাশ করিয়া তিনি প্রথমে হেয়ারস্থলের হেড পণ্ডিত, | “তৎপরে যথাক্রমে বেঙ্গল লাইব্রেরিয়ান, প্রেসিডেন্সী কলেজেয় ংস্কৃতাধ্যাপক ও শেষে সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষ হইয়াছিলেন। প্রেসিডেন্সী কলেজে থাকিতেই তিনি গবমেণ্ট প্রদত্ত ‘মহামহোপাধ্যায়” উপাধি লাভ করেন। হরপ্রিয় ( পুঃ ) হরপ্ত প্রিয় । ১ মহাদেবের প্রিয় । ২ ধুস্তরবৃক্ষ। হরফ ( আরবী ) ১ অক্ষর, বর্ণমালায় অক্ষর। ২ পদাতিক । হরবক্ত (পায়ণী) সকল সময়। হরবীজ ( ক্লী) হরপ্ত বীজং। ১ পারদ। ২ মহাদেবের বীর্যা। হরবোলা ( পারসী ) নানাভাধায় নানাপ্রকার শব্দ যে অনুকরণ করিতে পারে । হরভুজ ( ক্লী) জনপদবিশেষ। হরমোহন চূড়ামণি, নবদ্বীপের একজন প্রধান নব্য নৈয়ায়িক । প্রসিদ্ধ নৈয়ায়িক শ্রীরাম শিরোমণির জ্যেষ্ঠপুত্র ও মহামহোপাধ্যায় ভুবনমোহন বিদ্যারভুের জ্যেষ্ঠ সহোদর। ১৭৮৫ শকে ( ১৮৬৩ খৃষ্টাব্দে ) ইনি জগদীশের সামান্ত-লক্ষণ পরিচ্ছেদের ‘সামান্তলক্ষণা-ব্যাখ্যা’ নামে একখানি সুন্দর টীকা রচনা করেন । পিতার মৃত্যুর পর ইনিই নবদ্বীপের প্রধান নৈয়ায়িকের পদলাভ করিয়াছিলেন এবং ই হার মৃত্যুর পর চ'চার ভ্রাতা ভুবনমোহন এইপদে প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিলেন। হরয়াণ (পুং ) শক্ৰজীবিতেশ্বর্যাদিহরণশীল যান। “রজভং হরয়াণে” ( ঋক্ ৮।১৫।১২ ) 'হাযাণে শক্ৰজীবিতৈশ্বৰ্য্যাদিহরণশীলযানে এতাদৃশে স্বসামণি’ ( সায়ণ ) হররাত, কুষ্মাণ্ডদীপকরচয়িত । হররূপ (পুং ) ইরস্ত রূপমিব রূপং যন্ত । শিব। ( শঙ্করত্ন” ) হরশেখর t স্ত্রী ) হয়ন্ত শেখরং আবাসত্বেনাস্ত্যস্ত। ইতি অচ, টাপ, । গঙ্গা । গঙ্গা শিবজটায় অবস্থান করেন, এই জন্য ইহার এই নাম হইয়াছে । ( হেম ) হরস ( ক্লী ) ইরণশীল। “জোয সবিতৃগন্ত তে হরঃ" ( ঋক \ ১০।১৫৮২ ) ইরঃ রসহরণশীলং’ ( সায়ণ } হরসমুদ্র, মাদ্রাজপ্রদেশে বেল্লরি জেলাস্থ একট প্রধান গ্রাম । রায়দুর্গের ১৯ মাইল উত্তরপূৰ্ব্বে অবস্থিত। এখানে শঙ্করপল্লীঃউপবনের নিকট: মন্দির প্রতিষ্ঠানির্দেশক ১৫৭৬ শকে উৎকীর্ণ একখানি শিলালিপি আছে । হরসাগর, পাবনাজেলায় প্রবাহিত একট প্রসিদ্ধ নদ । করতোয়t বা ফুলঝর নদী ইহারষ্ট শাখা। এই নদীতে বারমাসই একশত মণ বোঝাই নৌকা বাতায়াত করিতে পারে। ইষ্ঠারই তীরে প্রসিদ্ধ শাহজাদপুর সহর । হরসিংহ, কর্ণাটকরাজবংশীয় একজন নৃপতি। ১৩২৪ খৃষ্টাব্দে মিথিলা পরিত্যাগ করিয়া নেপালে গিয়া রাজত্ব করিতে থাকেন। ২ মিথিলার ব্রাহ্মণবংশীয় এক জন নৃপতি । ইনি হরিসিংহ নামেও পরিচিত। ইহারই উৎসাহে মন্ত্রী চণ্ডেশ্বর স্মৃতিরত্নাকর রচনা করেন। [ স্থতিশব্দে বিস্তৃত বিবরণ দেথ। ] ৩ এতাবার একজন স্বাধীনচেতা হিন্দু-নৃপতি । ১৩৯২ খুষ্টাব্দে ৩য় মহম্মদশাহ এতাবাপতিকে পরাজয় করিয়া এতাবাদুর্গ ধ্বংস করেন। হরসিংহ কাঠেহরে আসিয়া রক্ষা পান। ১৪১৩ খৃষ্টাব্দে দৌলতখান লোদী কাঠেহরে উপস্থিত হইলে হরসিংহ তাহার আনুগত্য স্বীকার করেন। ইহার অল্পকাল পয়েই হয়সিংহ স্বাধীনতা ঘোষণা করিলেন। তাহাকে শাসন করিবার জন্ত ১৪১৮খুষ্টাৰে খিজির খাঁ তাজুল মুলক্রকে পাঠাইয় দেন। তাজুল কাঠেহরে উপস্থিত হইলে তাহার সহিত হরসিংহেয় ঘোরতর যুদ্ধ হয়, অবশেষে কাঠেহরপতি পরাস্ত হইয়া আত্মরক্ষায় জন্ত কুমায়ুনের পাৰ্ব্বতfপ্রদেশে পলায়ন করেন । হরসূনু (পুং ) রত হয়। হরপুত্র স্থল, কাজিকে। । হরস্বৎ (ত্রি ) বেগবৎ, বেগবিশিষ্ট। “স্তং মমঞ্জ, চুন ৰয়স্বতী ( ঋক্ ২।২০।ণ্ড ) ইরস্বতী বেগবতী” ( সায়ণ )