পাতা:বিশ্বকোষ দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ईन्छूद्र ১ লালন, ২ পুত্রক, ৩ কৃষ্ণ, ৪ হংসির, ৫ চিক্কির, ৬ ছুচুলার, ৭ অলস, ৮ কথায়দৰ্শন, ৯ কুলিঙ্গ, ১• অজিত, ১১ চপল, ১২ কপিল, ১৩ কোকিল, ১৪ অরুণসঙ্গ, ১৫ মহাকৃষ্ণ, ১৬ শ্বেত, ১৭ মহাকপিল, ১৮ কপোত । মুশ্রতের মতে, ১ লালনের বিযে লালাশ্রাব, হিঙ্কা ও বমন হয়, তাহাতে নটে-শাকের কন্ধ মধু দিয়া সেবন করাইবে। ২ পুত্রকের বিষে শরীর অবসন্ন ও পাণ্ডুবৰ্ণ হয়, ইন্দুর ছানার মত গ্রন্থি জন্মে। তাহাতে শিরাব ও ইহুদী শিলার বাটিয়া মধুযোগে খাইতে দিবে। ৩ কৃষ্ণ ইদুরের বিষে সচরাচর (বিশেষতঃ মেঘাচ্ছন্ন দিনে) রক্ত বমন হয়। ইহাতে শিরীষ ফলের ও কুড়ের রস কিংশুক ভস্মযোগে পান করাইবে। ৪ হংসির বিষে অন্নে অরুচি, ভূস্তন, শরীর লোমাঞ্চ ও দন্তহৰ্ষণ হয় । তাহাতে রোগীকে প্রথমে বমন করাইয়া আরথধাদি পান করাইবে । ৫ চিক্কিরের বিষে মাথার যাতনা, শোফ, হিক্কা ও বমি হয় । ইহাতে ঝিঙে, ময়নাফল ও অঙ্কোটের কাথ পান করাইয়। বমন করাইবে। পূর্বের মত চিকিৎসা করিবে । ৬ ছুছুন্দর (ছ চার) বিষে মলভঙ্গ ও গ্রীবা স্তম্ভিত হয়, সৰ্ব্বদাই হাই উঠে । ইহাতে গোরক্ষ, যবক্ষার ও বৃহতীর ক্ষার সেবন করাইবে । ৭ অলসের বিষে গ্ৰীবাস্তম্ভ, বায়ুর উৰ্দ্ধগতি, দংশস্থানে ব্যথা ও জর হয়। ইহাতে ঘৃত ও মধু সহযোগে মহাগদ চাটিতে দিবে। ৮ কবায়-দন্তের বিষে নিদ্রা, হৃদয়ে শেষ ও শরীর কৃশ হয়। ইহাতে শিরীফের সার, ফল ও ছাল মধু দিয়া চাটিতে দিবে। ৯ কুলিঙ্গের বিষে দংশস্থানে ব্যথা, ফুলা ও দীর্ঘ রেখা হয়। ইহাতে শ্বেত ও কৃষ্ণ নিসিন্দা, মুগানি, মালানি মধু সংযোগে খাইতে দিবে। ১• অজিতের বিষে বমী, মুচ্ছৰ্ণ, হৃদয়ে বেদন এবং চক্ষু কৃষ্ণবর্ণ হয় । ইহাতে মনসার আঠার সহিত কাল তেউড়ি পিষিয়া মধু সংযোগে চাটিতে দিবে। ১১ চপলের বিষে তৃষ্ণ বমী ও মৃচ্ছ হয়। তাহাতে দেবদারু ও ত্রিফল মূলের সহিত মধু সংযুক্ত ত্রিফল চাটিতে দিবে। ১২ কপিলের বিষে দংশিত স্থানে ক্ষত হয়, শরীরে গ্রস্থি জন্মে এবং জর হয়। ইহাতে ত্রিফল, অপরাজিত ও পুনর্ণব মধু সংযোগে চাটিতে দিবে। [ રહ8 ] ইন্দুর ১৩ কোকিলের বিযে শরীরে উগ্ৰগ্ৰন্থি জন্মিয় থাকে, अठिभग्न छद्र ७ गांझ् -इग्न.। ऐशtcऊ cछक ७ नैौणशां८इद्र কাখে স্তুতপাক করিয়৷ পান করাইবে । ১৪ অরুণেয় বিষে বায়ু কুপিত হইয়া বাত জল্প, ১৫ মহীকৃষ্ণ বিষে পিত্ত জষ্ঠ, ১৬ শ্বেতের বিষে কফ জন্ত, ১৭ মহাকপিলের বিষে রক্ত জন্য এবং ১৮ কপোতের বিষে উক্ত চারি প্রকার দোষে নানা প্রকার পীড়া হয়। এই পাচ প্রকার ইদুরের বিষ শাস্তির জন্ত স্বশ্ৰত এই ঔবধটা ব্যবস্থা করিয়াছেন-দধি, দুগ্ধ ও স্থত প্রত্যেকে झरे সের, পরে করঞ্জ, সোদাল, ত্রিকটু, বৃহতী প্রত্যেক ১ ভাগ এবং শালপানী দুই ভাগ লইয়। এইগুলির কাথ করিবে । তেউড়ী, তিল, গুলঞ্চ, বঙ্গ, মৃত্তিকাযুক্ত গুগগুল, কপিখ ও দাড়িমের ছাল এইগুলি পিষিয়া পূৰ্ব্বোক্ত কাখের চতুর্থাংশ’ থাকিতে সকল এক সঙ্গে মিশাইয়৷ মৃদ্ধ অগ্নিতে পাক করিবে । এই ঔষধ অমোঘ । বাৰ্ব্বরীতে এক প্রকার ইন্দুর দেখা যায়, তাহাদের দেখিতে বেশ । তাঁহাদের কৃষ্ণবর্ণ শরীরে সাদা সাদা রেখা টান । ইন্দুরের শুক্রে বিষ । বস্ত্রাদিতে ইদুরের মূত্র লাগিলে সেই স্থান ক্রমে পচিয়া যার । ইন্দুরকে সামান্ত জন্তু ভাবিয়া অবজ্ঞা করা উচিত নয়। যে বাণিজ্য ও কৃষি-কার্য্যের উন্নতির জন্য বর্ষে বর্ষে কত প্রকার নিয়ম উস্তাবিত হইতেছে, এই সামান্ত জন্তু হইতে তাহার কত অনিষ্ট হইতেছে, তাহ নির্ণর করিয়া উঠা ভার । এই সামান্য জীবের ভয়ঙ্কর হিংস্ৰক প্রকৃতির প্রমাণও পাওয়া গিয়াছে। ইহার। আপনাদের স্বজাতীয়ের সহিত বিবাদ করিয়া পরস্পর যুদ্ধ করে, এই যুদ্ধে বাহারা বিনষ্ট তাহারা অপরের ভক্ষ্য হইয়া থাকে। এরূপ শত শত ইন্দুর একত্রে যুদ্ধ করিতে দেথা গিয়াছে। নরওয়ে দেশে এক জাতীয় ইন্দুর আছে, তাহার। আরও তরনিক। যদি কেহ ঐ ইন্দুর ধরিযার জন্ড কল পাতিয়া রাখে, আর ঐ কলে ইন্দুর ধৃত হয়, তাহা হইলে অপর ইন্দুরের ঐ স্থত ইঙ্গুরকে মারিয়া ফেলে ও তাছার সমস্ত রক্ত পান করে।