পাতা:বিশ্বকোষ পঞ্চম খণ্ড.djvu/২৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* গর্ভাধাম [ २१{० ] গর্ভাধান ছয়মান্সের পর গর্ভপাত হইলে স্ত্রীদিগের দশ রাত্রি, সপিণ্ডদিগেয় সদাশৌচ ৷ e - গর্ভস্রাবিন্‌ (পুং গর্ভ আবর্তীতি ত্রু ছিণিনি। হিন্তাল বৃক্ষ, হেঁতাল গাছ। ( রাজনি•। ) গর্ডাগার (ক্লী ) গৰ্ভইব আগারম্। ১ গৃহের মধ্যভাগস্থিত বাসগৃহ। গৰ্ভএব আগারম ৷ ২ গৰ্ভস্থান। ৩ গৰ্ভাশয়। . গর্ভাঙ্ক ( পুং ) গর্ভস্থিতঃ অঙ্ক: । নাটকের অঙ্কের অন্তর্গত অপর অঙ্ক বিশেষ । 桑 “অঙ্কোদরপ্রবিষ্টে যে রঙ্গদ্বারামুখাদিমান। অঙ্কোইপয়: স গর্ভাস্ক; সবীজঃ ফলবানপি ॥”(সাহিত্যদর্পণ } গর্ভাদ (ত্রি) গৰ্ভমত্তি অঙ্গ ঘএ গৰ্ভভক্ষক। “গর্ডfদং কং নাশয় পৃশ্লিপণি সহস্ব চ।” (অথৰ্ব্ব ২২৫৩ ।) গর্ভাধান ( ক্লী ) গর্ভ আধীয়তে হনেন, আ-ধ্ব-করণে লুটু। ১ দশবিধ সংস্কারের প্রথম সংস্কার, চলিত কথায় ইহাকে পুনৰ্বিবাহ বলিয়া থাকে। প্রাচীন আৰ্য্য ধৰ্ম্মশাস্ত্রকারগণের মতে যদি প্রতিবন্ধক না থাকে তবে বিবাহিত স্ত্রীর প্রথম ঋতুতেই গর্ভাধানসংস্কার করা কর্তব্য। গোভিল যলেন—“যদা ঋতুমতী ভবতি উপরতশোণিতা তদ সম্ভযকালঃ” (২।৫৮) অর্থাৎ ঋতুমতী স্ত্রীর যথন শোণিতস্রাব বন্ধ হইবে, তখনই সঙ্গমকাল । সাখ্যায়ন ঋষির মতে “খতুকালে বৈ জায়া মুপেয়াৎ" (৩৩৪১ ) অর্থাৎ নবেঢ়ি বা চিরপরিণীত ভাৰ্য্যামাত্রেরই ঋতুকাল উপস্থিত হইলে অভিগমন করিবে । মনুসংহিতায় উক্ত হইয়াছে যে ."ঋতুকালাভিগামী স্তাৎ” (৩৪৫ ) ঋতুকালে অভিগমন করিবে । ইহা ছাড়া গৌতম, যাজ্ঞবল্ক্য প্রভৃতি সংহিভাতেও এইরূপ বিধানই দেখিতে পাওয়া যায়। প্রদর্শিত প্রমাণ দ্বারা প্রথম ঋতুতেই যে গর্ভাধান সংস্কার করিতে হইবে, এরূপ নিশ্চয় ন হইলেও সংগ্রহকারগণ অপর অপর বচনের সহিত সামঞ্জস্ত করিয়া প্রথমঋতুতেই গর্ভাধান সংস্কারের বিধান করিয়াছেন । ধৰ্ম্মশাস্ত্রের বিধিপালন না করিলে প্রত্যবার ব{ পাপ হয়, ইহা সৰ্ব্ববাদীসম্মত, যখন সাখ্যায়নীয় গৃহস্থ ও মুচু প্রভৃতি প্রার সকল ধৰ্ম্মশাস্ত্ৰেই ঋতুকালে গমন করিবার বিধান আছে, তখন প্রথম ঋতুতে যদি অতিগমন না করা ছর, তাহা হইলে শাস্ত্রীয় বিধান লঙ্ঘন করা হইল বলিয়া যে প্রত্যযায় বা পাপ হইবে, তাহার আর সন্দেহ নাই । পরাশর স্পষ্টীক্ষরেই বলিয়াছেন, ষে-- "ঋতুম্বাতাস্তু ৰে৷ ভাৰ্য্যাং স্বস্থঃ সন্নোপগচ্ছতি। বালকয়াপরাধেন বিখ্যতে নাত্র সংশয়ঃ ॥* cत बाडि क्रूर भन्नैौप्च्न थाकिबास शङ्कमजै डोर्याएरु अष्टि --- -- গমন না করে, তাহার বালক হত্যার পাপ হইয়া থাকে । ইহাতে স্পষ্টই বুঝিতে পারা যায় যে, কোন প্রতিবন্ধক না থাকিলে প্রথম ঋতুতেই গর্ভাধান সংস্কার করা কর্তব্য, না করিলে পাপী হইতে হয়। আখলায়নগৃহপরিশিষ্টে প্রথম ঋতুতেই গর্ভাধানের কথা আছে। “অথৰ্ত্তমত্যাঃ প্রাজাপত্যযুতে প্রথমে ইমুকূলে ছনি স্থঙ্কতিয়ান্ধারন্ধঃ প্রাঙ্গাপত্যস্ত স্থালীপাকস্ত হত্বৈত আজ্যাহতীজু হুয়াৎ।” ( মাশ্বলায়নগৃহপরিশিষ্ট । ) 参 বিবাহের পর ঋতুমতী পত্নীর প্রথম ঋতুতেই শুভদিনে গর্ভাধান কার্যের অনুষ্ঠানে প্রবৃত্ত হইয় প্রজাপতি দেবতার উদ্দেশে চকুপাক করিয়া ঘৃতাহুতি প্রদান করিবে । গৃহপরিশিষ্টের এই বিধান অনুসারে স্পষ্টই বোধ হয় যে বিবাহের পর প্রথম ঋতুতেই গর্ভাধান সংস্কার কর্তব্য। এই গর্ভাধান প্রথা হিন্দুসমাজে চিরদিনই প্রচলিত ; দেশভেদে ইহাই পুনর্বিবাহ, পুষ্পোৎসব, ফলশোভন, ফুলচেীক প্রভৃতি ভিন্ন ভিন্ন নামে অভিহিত হইয় থাকে সকল দেশে সকল শ্রেণীর श्रृिताई' বিশেষ প্রতিবন্ধক না থাকিলে প্রথম ঋতুতে গর্ভাধান সংস্কার করিয়া আসিতেছেন। প্রাচীন স্মৃতিসংগ্রহকারগণ ও তৎপরবর্তী রঘুনন্দন ইহার সকলেই প্রথম ঋতুতে গর্ভাধানের বিধান করিয়াছেন। সুশ্রত মুনির মতে বালিকার গর্ভাধান নিযিদ্ধ । “উনযোড়শবর্ষীয়ামপ্রাপ্তঃ পঞ্চবিংশতিম্। যদ্যাধত্তে পুমান গৰ্ভং কুক্ষিস্থঃ সবিপদ্যতে ॥ জাতো বা ন চিরংজীবেৎ জীবেদব দুৰ্ব্বলেন্দ্ৰিয়ঃ। তস্মাদত্যস্তুবালায়াং গর্ভাধানং ন কারয়েৎ ॥” (সুশ্রুত স্বত্রস্থান) পঞ্চবিংশতি ঘর্ষের নুন্নবয়স্ক পুরুষ উনষোড়শবর্ষীয় স্ত্রীর গর্ভাধান করিলে সেই গর্ভ পেটেই বিনষ্ট হয়, অথবা জাত, বালক অধিকদিন জীবন ধারণ করে না, যদি কোনরূপে বেঁচে থাকে, তবে অতিশয় দুৰ্ব্বল হইয়া যায়। এই কারণে অত্যন্ত বালিকারমণীর গর্ভাধান করিবে না । কেহ কেহ বলেন যে—ভিযকৃশাস্ত্র বা জ্যোতিষশাস্ত্রের সিদ্ধান্ত ধৰ্ম্মশাস্ত্রবিরুদ্ধ হইলে তাহা গ্রহণ করিবে না । অতএব সুশ্রীতের এই মতটী ধৰ্ম্মশাস্ত্রবিরুদ্ধ বলিয়া আদরণীয় নহে । আবার কাহারও মতে দেশভেদে ও কালতেদেই মুশ্রীতের মত চলিত ছিল, সকল দেশে ও সকল সময়ের জন্য উহা অাদরণীয় নহে । এই প্রকার অপর অপর স্থানে ও পূর্ব প্রদর্শিত ধৰ্ম্মশাস্ত্রবিরুদ্ধ যে হুই একটা মভ লক্ষিত হয়, হিন্দুগণ তাহার অল্পরূপ তাৎপৰ্য্য যা অল্প সময়ের জন্তু ধ্যাখ্যা করিয়৷ থাকেন । [ বিযtহ দেখ। ]