পাতা:বিশ্বকোষ ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৩৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

झेिनेि

డాa

লোক জালিলে তাহাকে গুড়, রস বা আখ দিতে হইবে, কাছাকেও নিরাশ করিয়া রিক্তহস্তে ফিরাইলে অধৰ্ম্ম হয়। তাহার পর যখন গুড় হইবে, তখন শুরু, পুরোহিত, নাপিত, ধোপা, লকলকে গুড় দিতে হয়। এইরূপ অবিশ্রাঙ্ক, ব্যয়ের পর জাংশ মাত্র কৃষকের ভাণ্ডারে যায়, ইহাতে অনেক সময় झषाकब्र णांछ इ७ब्र पूरब्र थाकूक, फ्रांप्नग्न थब्राहे फेरै न । এই কারণে অনেকে আখের চাল করিতে চায় না । তাহার উপর কৃষক অশিক্ষিত। পিতৃপিতামহদি প্রদর্শিত প্রাচীন প্রণালীর অতিক্রম করিয়া নূতন প্রণালী অবলম্বন করিতেজানে না বা চাহে না । মুতরাং এদেশে ওড় ও তাহার সঙ্গে সঙ্গে চিনির ব্যবসায়ও যে অধঃপতন হইৰে তাছা আশ্চৰ্য্য নহে। অতএব শিক্ষিত ব্যক্তিদিগের এ বিষয়ে মনোযোগ দেওয়া আবগুক হইয়াছে, ইহাতে তাহদের লাভও আছে, তাহাতে দেশের উপকারও আছে । খৃষ্টীয় পঞ্চদশ শতাব্দীতে স্পেনবাসিগণকর্তৃক কানেরি-দ্বীপপুঞ্জে ইক্ষু চাস আরম্ভ হয়। ইতিপূৰ্ব্বে ১৪২ খৃষ্টাব্দে পর্তুগীজগণ সিসিলী দ্বীপ হইতে মেদিরা ও সেন্ট টমাস দ্বীপে ইহার চাস করে। ১৫৯৬ খৃষ্টাব্দে কানেরি দ্বীপ হইতে ইহ সানডোমিঙ্গে দ্বীপে প্রচলিত হয়। ১৫৮০ খৃঃ অব্দে ওলন্দাজগণ ত্ৰেজিলে সর্বপ্রথম ইক্ষুর চাস ও চিনির কারখানা স্থাপন করেন, কিন্তু শীঘ্ৰ তথা হইতে পর্তুগীজদিগের দ্বারা বিতাড়িত হইয়া পশ্চিমভারতীয় দ্বীপপুঞ্জে কারখানা করেন। ইংরাজগণ ১৭৪৩ খৃষ্টাব্দে বার্বার্ডোজ দ্বীপে এবং ১৬৬৪ খৃঃ অঙ্গে জামেকা দ্বীপে চিনির কারখানা করিলেন বটে, কিন্তু শীঘ্রই চিনির ব্যবসা লইয়া ইংরাজ, ফরাসী ও পর্তুগীজদিগের মধ্যে ভয়ানক আড়াআড়ি চলিতে লাগিল । ইংরাজের নানা উপায়ে খরচ কমাইরা সৰ্ব্বাপেক্ষ স্থলভ মূল্যে চিনি বিক্রয় করিতে লাগিলেন। কিন্তু ১৭২৬ খৃষ্টাব্দে ফরাসীগণ সানডোমিঙ্গোর কারখানার প্রভূত উন্নতি সাধন করিয়া ইংরাজদিগের সহিত টক্কর দিয়া যুরোপে বিস্তর চিনি চালান দিতে লাগিলেন । এইরূপে ভারতবর্ষ হইতে ইক্ষুর চাস য়ুরোপ ও অামেরিকায় প্রচলিত হইয়াছে। খৃষ্টীয় অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষভাগে রাজনৈতিক বিপ্লৰে সানডোমিঙ্গোর ফরাসী-চিনির कांग्नथांमt डेलििब्रां दांब्र । शृङब्रां९ हे शब्रांछ यादनार्द्रौप्तिदशद्र চিনির কাটতি অত্যন্ত বাড়িয়া উঠে। এ সময় চিনি অতিশল্প মহাৰ্থ হয়, এমন কি এই সময় ইংলণ্ডে অতি কদৰ্য্য চিনিরও লের প্রায় ৭০ আনায় বিক্রয় হইত। তাহাতে ভারতবর্ষ হইতে | চিমি রপ্তানী ক্ষরিষার জন্ত সকলেই ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানিকে ᎳᎥ bro) [ రిaసి } केिमेि अछूटङ्गांध करङ्गम । ठक्ष्म छांब्रउँौद्र क्लिनि ५उ अधिक পরিমাণে বিলাতে রপ্তানী হইতে লাগিল যে আমেরিকার চিনি ব্যবসায়ী ইংরাজগণ দেউলিয়া হইবার উপক্রম হইল। কর্তৃপক্ষ আমেরিকার কারখানা সকলের এইরূপ গুরবস্থা দেখিয় তাহদের মুখ চাহিয়া গুদ্ধের হার কমাইরা দিলেন, কিন্তু তারতীয় চিনির শুষ্ক অত্যন্ত বাড়িয়া গেল। তৎকালে দাসত্ব-প্রখার প্রতি সাধারণের ভয়ানক বিশ্বেষ থাকার, ক্রীত স্বাস দ্বারা প্রস্তুত আমেরিকার উৎকৃষ্ট চিনিও পরিত্যাগ করিয়া লোকে তারতের চিনি ব্যবহার করিত । এই সমস্ত চিনি বাঙ্গাল হইতে রপ্তানি হইত। ১৭৫৫ খৃষ্টাব্দেও বাঙ্গাল হইতে • • • • • মণ চিনি বিলাতে প্রেরিত হয় । এক্ষণে বাঙ্গাল হইতে চিনি রপ্তানির কথা দূরে থাকুক, খরচের উপযুক্ত পরিমাণ চিনিও এখানে উৎপন্ন হয় না । নানাস্থান হইতে চিনি, গুড় প্রভৃতি বাঙ্গালায় আমদানি হইয়া থাকে । আজকাল আমেরিকার নানাস্থানে, মরিসস, ওটাছিট, শিঙ্গাপুর প্রভৃতি দ্বীপে প্রভূত পরিমাণে চিনি উৎপন্ন হইতেছে । বলা বাহুল্য এই সকল কারখানার অধিকারীগণ সকলেই য়ুরোপীয় । ইক্ষুরস হইতে চিনি প্রস্তুত পৰ্য্যন্ত সমস্ত কাৰ্য্যই বৃহৎ বৃহৎ কল দ্বার সম্পন্ন হয় । উদ্ভিদতত্বজ্ঞ পণ্ডিত সাহায্যে জমিতে চাস ও সার দেওয়া এবং উপ যুক্ত ইক্ষু রোপিত হয়। আমাদের দেশীয় কলে ইক্ষু হইতে শতকরা ৫০ ভাগের অধিক রস বাহির হইতে পারে না, কিন্তু য়ুরোপীয়গণের উৎকৃষ্ট কল সাহায্যে শতকরা ৭৫ ভাগ রস বাহির হয় । ভারতবর্ষে যুরোপীয় প্রণালীতে ইক্ষু চাস ও চিনি প্রস্তুত করণের চেষ্টা অনেকবার করা হইয়াছে। ১৭৭৬ খৃষ্টাব্দে কলিকাতার বণিকদল প্রথম এই উদ্যম করেন । গৰগঁর জেনারেল ঐ কোম্পানিকে সাহায্য করিতে স্বীকৃত হন । র্তাহারা প্রথমে কতক ভূমিতে ইক্ষু রোপণ করেন, কিন্তু ক্রমাগত রুই কাটে এরূপ অনিষ্ট করে যে কোম্পানিকে ঐ উদ্দেশ্য পরিত্যাগ করিতে হয়। র্তাহারা তৎপরে দেশীয় কৃষকগণের নিকট হইতে ইক্ষু লইয়া কিছুদিন চিনি করেন, পরে বিশেষ লাভ না থাকায় ঐ ব্যবসা পরিত্যাগ করিতে বাধ্য হইয়াছেন। ইহার পর এ বিষয়ে প্রথম উদ্যমকারীগণকে বিশেষ সতর্কত ও সহিষ্ণুতার সহিত কাৰ্য্য করিতে হইবে । বণিকসমিতির দশ দেখিয়া কাহারও হতাশ হইবার বিশেষ কারণ নাই, বরং র্তাহাদের কিরূপ সাবধান হইতে হইৰে তাহাই বুঝা যায়। চিনি প্রস্তুত করিবার কৌশল নানা প্রকায় প্রচলিত আছে। বিদেশীয় কলে প্রস্বত চিনিতে হিন্দুধৰ্ম্মবিগস্থিত কোন কোল