পাতা:বিশ্বকোষ ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৪২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

शिक्षॉब्र छै*हिङ श्ब्र मॉरें । uहें घल्लेनüी छड़छडी অতি বিস্তৃত ভাবে বর্ণিত আছে। কিন্তু চৈতন্যচরিতামৃত প্রভৃতি গ্রন্থে ইহার কোণ উল্লেখ মাই। এই সময়ে অনেকেই নিমাইয়ের নিকটে উপদেশ লইতে थाईंहङन । दिभंडद्र नकलहकहे दूश्ब्रांब्रनैौtब्रद्रহরেনাম হরেনাম হয়েনামৈব কেবলম্। কলে নাস্ত্যেব মাস্ত্যেষ নাস্তোব গতিরষ্ঠথা ॥৫ এই শ্লোকটী উপদেশ দিতেন। ইহাছাড়া তাছার প্রবর্ধিত ধৰ্ম্মের স্বত্রস্বরূপ অার একটা শ্লোকও বলিতেন— “তৃণাপি মুনীচেন তরোরিব সহিষ্ণুতা। অমানিনা মানদেন কীৰ্ত্তিনীয়ঃ সদা হরিঃ।” (পদ্মাবলী ২০ অ') এই শ্লোকটা নিমাইয়ের নিজকৃত বলিয়া প্রকাশ আছে। এই সময়ে শ্ৰীবাসের ঘরে দ্বাররোধ করিয়া কীৰ্ত্তন হইত। এই রকম এক বৎসর চলিয়া গেল। পাষণ্ডদল তথায় যাইতে না পারিয়া ইহাদের অনিষ্ট সাধনের অনেক চেষ্টা করিতে লাগিল । গোপাল চাপাল নামক জনৈক পাষণ্ড এক দিন রাত্রিকালে হরিদ্র, সিঙ্গুর, রক্তচন্দন ও মদ্য প্রভৃতি শ্ৰীবাসের গৃহদ্ধারে রাখিয়াছিল, তাহার মনের ভাব প্রাতে সকলে তাহ দেখিয়া ইহাদিগকে কপটাচারী মনে করিবে । তাহার কিছুদিন পরে নাকি গোপালের ভয়ানক কুষ্ঠরোগ হইয়াছিল । অার একদিন একজন সরল চিত্ত ব্রাহ্মণ প্রেমে মত্ত হইয়া কীৰ্ত্তন শুনিতে আসিয়াছিল, কিন্তু দ্বার রুদ্ধ থাকায় তাহার অদৃষ্টে কীৰ্ত্তন দেখা ঘটিল না । তৎপরে কোন দিন নিমাই সদলে গঙ্গণস্নান করিতে যাইতেছিলেন, সে সময়ে ঐ ব্রাহ্মণ নিমাইয়ের নিকট আসিয়া বলিল, “তুমি আমার মনোদুঃখ দিয়াছ। অতএব তোমার সংসার মুখ বিনষ্ট হউক ।” বিশ্বম্ভর এই শাপ শুনিয়া অতিশয় আনন্দিত হইলেন এবং ব্রাহ্মণকে ধন্যবাদ দিয়া গঙ্গীয় চলিয়া গেলেন । ইহার পরে নিমাইয়ের জাম্রলীলা । বৈষ্ণবকবিগণ বলেন যে বিশ্বম্ভর ভক্তগণের মনস্তুষ্টির জন্ত একদিন একটী অামের অঁটি রোপণ করিয়াছিলেন, দেখিতে না দেখিতে বেশ লম্বা চওড়া একটী গাছ হইল, আম হইল, পাকিল এবং ভক্তগণ ভঙ্গক্ষে লাকে ভালে চড়িয়া জাম ছিঁড়িয়া খাইতে বসিল, সকলেরই ভরপুর পেট হইল, জামটা কিন্তু ঠিক সেইরূপই থাকিয় গেল ! প্রত্যেক বৎসরের শেষে এইরূপ আজলীলা করা হইত । এতদিন দ্বার রুদ্ধ করিয়া গোঁয়ের ধৰ্ব্বসাধন হইতেছিল, বাহিরের লোকে ভিতরের তত্ত্ব কিছুই জানিতে পারেন नरेि ।। ५फलिन छांशांटदए* cऔक्रख निलाॉनक ७ इब्रिजांनएक झांकिग्नीं বললেন, “তোমরা--~~ দুইজনে ुरू দীপের প্রতি ঘরে ঘরে যাইয়। হরিনাম প্রচার করিতে আরম্ভ কর। যাহাকে দেখিবে, তাহাকে মিনতি করিয়া হরিনাম সাধন করিতে উপদেশ দিবে। ইহাতে ব্রাহ্মণ, চণ্ডাল বা স্ত্রীপুরুষ বলিয়া কোন ভেদ করিবে না, সকলেই সমান অধিকারী। দিনাস্তে প্রচারবৃত্তান্ত আমার নিকটে আসিয়া বলিয়া যাইও।” প্রচারের আদেশ শুনিয়া ভক্তমণ্ডলী মহা আনন্দলাভ করিলেন। • নিত্যানন্দ ও হরিদাস প্রচারক হইয়। ঘরে ঘরে হরিনাম প্রচার করিতে লাগিলেন । তাহার লোক দেখিলে—

  • বল কৃষ্ণ, গাও কৃষ্ণ, ভজহ কৃষ্ণেরে । কৃষ্ণ প্রাণ, কৃষ্ণ ধন, কৃষ্ণ সে জীবন, হেন কৃষ্ণ বল ভাই করি এক মন ।” এই বলিয়া উপদেশ দিতেন। যে হরিনাম প্রচারক্ষেত্র বৃদ্ধি পাইয় এক সময়ে ভারতের প্রায় সৰ্ব্বত্র ব্যাপিয়াছিল, তাহার সূত্রপাত এইরূপে হইল। জগাই মাধাই নামক দুইজন পাপাচারী ইহাদের উপদেশেই পরম বৈষ্ণব হইয়াছিল। জগাই মাধাই পরিত্রাণে বিশ্বস্তুরের কোন মাহাত্ম্য প্রকাশ নাই, কেবল নিতাইয়ের শক্তিতেই তাহীদের পরিত্রাণ হয় । ইহার প্রথমে নিতাইকে প্রহার করিয়াছিল গুনিয়া বিশ্বম্ভর অতিশয় ক্রুদ্ধ হইয় তাহাদিগকে দণ্ড দিতে উষ্ঠত হন, পরে নিত্যনন্দের আমুনয়ে ক্ষান্ত হইয়াছিলেন। ইহারা বিনীতভাবে বৈষ্ণবধৰ্ম্মে দীক্ষিত হইলে গৌরচন্দ্র ইহাদের প্রতি অতিশয় সদ্ব্যবহার করিয়াছিলেন । ইহার পরে কিছু দিন পর্য্যস্ত আর কোন বিশেষ ঘটনা ঘটে নাই । একদিন অদ্বৈতের সহিত কেঁদেল করিয়া নিমাই জলে ঝাপ দিয়াছিলেন । এই সময়ে নিমাইয়ের জলে কাপ দেওয়া একটী রোগ হইয়াছিল। এক দিন গৌরাঙ্গ সঙ্কীৰ্ত্তনাস্তে গঙ্গাস্নান করিকে যাইতেছেন, এমন সময়ে একজন মান্ত ব্ৰাহ্মণপত্নী তাহার সম্মুখে পতিত হইয়া “তুমি আমাকে উদ্ধার কর” বলিয় তাহার পদ ম্পর্শ করিল। ইহা দেখিয়া গৌরাঙ্গ স্তম্ভিত হইলেন, তাহার মুখখানি মলিন হইয়া আসিল। কিছুকাল পরে তিনি প্রাণত্যাগ করিবেন বলিয়া গঙ্গায় ঋম্প প্রদান করিলেন । পরিশেষে নিতাই তাহাকে উীরে উঠাইয়াছিলেন । চেতন হইলে নিমাই আপনার লঘুতা ও গুরু ব্রাহ্মণপত্নী তাহার পদম্পর্শ করিয়া প্তাহাকে কৃষ্ণের নিকট অপরাধী করিয়াছে’ ইত্যাদি বলিয়। অনেক জাক্ষেপ করিতে লাগিলেন। শুক্লাম্বর নামক জনৈক বৈষ্ণব ব্রহ্মচারী নবদ্বীপে বাস করিতেন। বিশ্বম্ভর উহাকে বড় শ্রদ্ধা করিতেন, শুক্লাম্বরও মনে প্রাণে গোঁয়াজের ভক্তি করিত। এক দিন গৌরাঙ্গ নিতাই প্রভৃতির সহিত গুরুগম্বরের