পাতা:বিশ্বকোষ ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৫৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তদায়তিঃ পরিখ্যাত চৈকবিংশতিক্ত্যিবৈঃ । এবং সুদর্শনে জ্ঞেয়: সৰ্ব্বলিঙ্গাকরে মহান ।” (নীলাদ্রিমহোদয় ৩৮ অঃ । ) যে বৎসর আষাঢ়মাসে মলমাস হইবে, ঐ বৎসর রাজার আদেশে রাজার প্রতিনিধি স্বরূপ কোন ব্যক্তি বৈশাখমাসে শুভদিনে শুভলগ্নে বিদ্যাপত্তিবংশীয় ও বিশ্বাবস্থবংশীয় নিষ্ঠাপর ব্যক্তিগণ রাজপুরোহিত, চতুৰ্ব্বেদজ্ঞ ব্রাহ্মণ ও শিল্পনিপুণ বৰ্দ্ধকীগণের সহিত নানাবিধ পূজোপকরণ লইয়। পবিত্র অরণ্যে প্রবেশ করিয়া চতুঃশাখাযুক্ত, সরল, কীটপতঙ্গাদির দংশনবর্জিত, আয়ত নিম্ব বৃক্ষ সংগ্ৰহ করিবে, তাহার মূলদেশ গোময়জল দ্বারা পবিত্র করিয়া বৃক্ষমূলে চন্দ্রনাদি দ্বারা অস্থলেপন করিবে। গরুড়ারূঢ় ভগবানের ধ্যান, নানাবিধ উপচারে অৰ্চনা, বেদপাঠ, মন্ত্ররাজ জপ ও প্রভুর নাম কীৰ্ত্তনপূর্বক উপবাস করিয়া তিন দিন বা একদিন অতিবাহিত করিবে । পরদিন প্রাতঃকালে প্রতিকৃত্য সন্ধ্যাবন্দনাদি নিত্যকৰ্ম্ম সমাপনপূৰ্ব্বক প্রথমে গণেশ, ছৰ্গা, শঙ্কর, রবি, বিষ্ণু ও বরুণের পুজা করিয়া স্বস্তিবাচনপূর্বক সঙ্কল্প করিবে । পরে আচাৰ্য্যবরণ ও ব্রহ্মবরণ করিয়া মন্ত্ররাজ দ্বারা হোম করিবে, ঐ হোমের পর “পাতাল নরসিংহেন” ইত্যাদি মস্ত্রে দুই হাজার বার আহুতিপ্রদান, অযুত বা নিযুত সংখ্যক সমিধু ছোম, তাহার পর ভক্তিপূৰ্ব্বক পুর্ণাহুতি দিয়া আচাৰ্য্যকে দক্ষিণা দিবে, আচাৰ্য ঐ বৃক্ষের মূলদেশে প্রভূর মন্ত্ররাজ জপ করিয়া গন্ধপুষ্পাদি দ্বারা কুঠারের অর্চনা করিবে । বেদপাঠক ব্রাহ্মণগণ বৃক্ষের চতুষ্পার্শ্বে বেদধ্বনি করিতে থাকিবেন, আচার্য স্বরং ঐ বৃক্ষচ্ছেদন করিলে বৰ্দ্ধকিগণ উহাকে খণ্ড খণ্ড করিয়া লইবে । প্রথমতঃ দুই খগু করিয়া এক খণ্ড হইতে জগন্নাথের মূর্তির জন্য এবং বলদেব ও সুভদ্রা মূৰ্ত্তির জন্ত দুই খও করিবে, পরে অপর এক খণ্ড হইতে মাধবমূৰ্ত্তির জন্ত এক খণ্ড, স্থদর্শনচক্রের জন্তু এক খণ্ড এবং সকলের জন্ত অতিরিক্ত দুই খণ্ড সমষ্টিতে দ্বাদশ খণ্ড করিয়। ঐ খণ্ডগুলিকে প্রথমে চতুরস্ৰ করিয়া লইবে। ঐ বৃক্ষের শাখা পত্র ও বন্ধলাদি সমস্ত একটা গর্তে পুতিয়া ঢাকিয়া রাখিবে। পরে রমণীয় বস্ত্র ও পটুস্থত্রাদি দ্বারা ঐ থওগুলিকে আচ্ছাদন ও বন্ধন করিয়া চারি চাকার গাড়ীতে উঠাইয়া ছত্র ধারণপূর্বক চামরাদির ব্যজন করিতে করিতে চলিয়া আসিবে, তারপর প্রতিদিন নানাবিধ ভোগাদি উপচারে ত্রৈকালিক অৰ্চনাদি করিবে । মন্দিরের উত্তরাংশে রমণীয় গৃছে ঐ থও সকল রাখিয়া শুভদিনে শুভলগ্নে মূৰ্ত্তি নিৰ্ম্মাণ আরম্ভ করাইবে। আরম্ভের সময় বরুণের পুজ এবং বিশ্বাবসুর বংশীয় দ্বিজাতি ও বিদ্যাপতি বংশীয় जर्मब्रांध সময়ে শিল্পীগণকেও মালাচঙ্গনাদি দ্বারা সন্তুষ্ট করিতে হয়।... ছয়টা তিল পর পর সংলগ্ন কন্ধিয়া সাজাইলে যতটুকু দৈৰ্ঘ্য হয়, ঐ পরিমাণের নাম এক যব, ঐরূপ চাৰি ধবে এক মুষ্টি, ছয় মুষ্টিতে এক হাত, চারি হাতে এক ধন্থ। ইহার ১৬শ ভাগের ২ ভাগ পরিত্যাগ করিয়া ১৪শ ভাগে যে পরিমাণ হয়, ঐ পরিমাণে জগন্নাথদেবের পাদপীঠ হইতে শিখা পৰ্য্যস্ত নিৰ্ম্মাণ হইবে। ভুজন্বয়ও ঐ পরিমাণে আয়ত। ঐ পরিমিত মুপ্তির ৩২শ অংশের এক অংশে চক্রাকার কপালদেশ নিৰ্ম্মাণ করিতে হয়। মস্তক হইতে মুখ পৰ্য্যস্ত ১৪শ অংশে বিভক্ত হইবে। পরে বার যরে চতুৰ্ব্বন্ধ, ৯ অষ্টমাংশে ৯ যব পরিমিত হৃদয়স্থান, সাৰ্দ্ধ দশ যবে মধ্যস্থান এবং ছয় ভাগে পাদদ্বয় ও সাৰ্দ্ধ দশ যবে পরিধানক নিৰ্ম্মিত হইবে । পরে ছাপ্পান্ন যবে ভূজস্বয় এবং করপাশ্ব ও ভুজ চতুর্বন্ধ প্রমাণানুসারে করিতে হইবে । হস্তদ্বয়ে চারি যব পরিমিত ছুইটী শূল চিহ্ন নিৰ্ম্মিত হইবে । পাশ্ব ও ভুজের আয়ত চারি যব, নাসিকার অধোভাগ বার যব, শ্ৰীমুখের আয়তন ত্রিশ ষব । ব্রহ্মস্থাপনার্থ ১৪শ যব পরিমিত হৃদয়স্থান কৰ্ত্তব্য । এই প্রকারে জগন্নাথদেবের মূৰ্ত্তি করিতে হয়। বলদেবের মূৰ্ত্তি শস্বাকৃতি, ৮৫ যবে সম্পূর্ণ হইবে, তন্মধ্যে ৩১ যবে শ্ৰীমুখ হইবে। মুখের উদ্ধে ৫ যব পরিমিত ফণা থাকিবে । একাদশ যবে চতুৰ্ব্বন্ধ, নয় যবে হৃদয় স্থান, সাৰ্দ্ধ দশ যবে পরিধাপন এবং সাদ্ধ অষ্টাদশ যবে পদদ্বয় নিৰ্ম্মিত হইবে । ২৪ যবে ভুজস্বয় বিভাগ এবং চতুৰ্ব্বন্ধ বিভাগ করিতে হয় । স্কন্ধের উপরিভাগে অৰ্দ্ধ যব পরিমাণে দুটি দুটি করিয়া ফণা প্রস্তুত করিবে, পাশ্ব ও ভুজ মুখের আয়াম এক বিংশতি যব, নাসিকার অধোদেশ অষ্ট যব, ললাট সাৰ্দ্ধ অষ্টাদশ যব পরিমিত হইবে, এই প্রকারে বলদেবের মূৰ্ত্তি নিৰ্ম্মাণ করিতে হয়। সুভদ্রা-মূৰ্ত্তির পরিমাণ সাৰ্দ্ধ দ্বিপঞ্চাশৎ যব, আকৃতি পয়ের তুল্য। মুভদ্রার মুখ ১৭ যব আয়ত, ১৫ যব বিস্তুড়, কেশকলাপ সাৰ্দ্ধ তিন যব পরিমিত, হৃদয়স্থান ৩ যব, মধ্যস্থান ১২ যব, পদদ্বয় ১৭ যব, পাশ্ব ও ভুজ সাৰ্দ্ধ সপ্তদশ যব পরিমাণে প্রস্তুত হইবে । এই প্রকারে সুভদ্রার মূৰ্ত্তি রচনার পর সুদৰ্শন ও গদা একবিংশতি যব পরিমিত করিতে হয়।’ (নী ম' ) পাগুরা বলিয়া থাকেন যে নব কলেবর নিৰ্ম্মিত হইলে প্রধান পাও জগন্নাথের পূর্বদেহন্থ বিষ্ণুপঞ্জর লইয়া নব মূৰ্ত্তির হৃদয় মধ্যে স্থাপন করেন। কিন্তু কোন প্রাচীন গ্রন্থে ঐ বিষ্ণুপঞ্জরের উল্লেখ নাই। - এখন যেরূপ নবকলেবর হইয় থাকে, তাহাই নীলাত্রি