পাতা:বিশ্বকোষ ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/৬৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জয়দেব করিতে যাইতেছিলেন, তিনি শুনিলেন, কে যেন কূপ মধ্য হইতে “কৃষ্ণ” “কৃষ্ণ” করিতেছে। স্বয় শুনিয়া কুপের নিকট জালিয়। জয়দেবকে দেখিতে পাইলেন এবং তাছাকে কুপ হইতে তুলির অতি সমাদরে শিবিকায় করিয়া রাজপ্রাসাদে জানিলেন। এখানে জয়দেবের কথামত রাজা প্রত্যহ বৈষ্ণব ভোজন করাইতে লাগিলেন। একদিন সেই ডাকাতের বৈষ্ণব সাজিয়া ছদ্মবেশে রাজভবনে উপস্থিত হইল। জয়দেব তাহদিগকে দেখিয়াই তাহদের শুশ্রষার জন্য বিশেষ বন্দোবস্ত করিয়া দিলেন । দিগের আরও ভয় হইল । তাহারা ভাবিল, হয়ত এইরূপ অাদর দিয়া শেষে সকলের প্রাণবধ করিবে । তাহারা পলাইবার চেষ্টা করিল। কিন্তু জয়দেবের অনুমতি ভিন্ন কেহ তাহাদিগকে ছাড়িল না। জয়দেব তাহাদের অভিপ্রায় বুঝিয়া বহু অর্থ ও সঙ্গে লোকজন দিয়া বিদায় করিলেন। কিছু দূরে গিয়া তাহার রাজকৰ্ম্মচারীদিগকে চলিয়া আসিতে বলিল, আরও কহিল—“আমরা এক রাজার বাড়ী চাকর ছিলাম, সেই রাজা ঐ বাবাজীকে মারিতে আদেশ করেন, আমরা বা বাঞ্জীর হাত পা কাটিয়া ছাড়িয়া দিই। এখানে আসিয়া ভ গু মহাস্ত হইয়াছে, কিন্তু পাছে তাহার কথা প্রকাশ হইয়া পড়ে, সেই জন্তু সে অর্থ দিয়া আমাদিগকে বিদায় করিল ।” এই কথা বলিতে না বলিতে দুবৃৰ্ত্ত ডাকাতগণ তৎক্ষণাৎ ভূতলশায়ী হইল। ভৃত্যগণ আসিয়৷ এই অপুৰ্ব্ব ঘটনা রাজার নিকট জানাইল । তথন জয়দেব ডাকাতদিগের ব্যবহারের কথা প্রকাশ করিয়া রাজার সন্দেহ ভঞ্জন করিলেন । শেষে বলিলেন, “পরহিংসা করা কর্তব্য নহে। তুষ্ট লোককেও দয়া করা উচিত । সেই জন্তই দুঃদিগের কোন অনিষ্টাচরণ না করিয়া অর্থ দিয়া তাহাদিগকে সম্মানিত করিয়ছি।” এদিকে রাজপত্নীর সহিত পদ্মাবতীর বেশ প্রণয় জন্মিয়ছিল । এক দিন রাণী তাহার ভ্রাতার মৃত্যুতে ভ্রাতৃপত্নীর সহগমনের কথা শুনিয়া রোদন করিতেছিলেন । তাহ শুনিয়া পদ্মাবতী বলেন যে পতির মৃত্যুতে পতিপ্রাণ রমণীর প্রাণ থাকে না। সে কথা রাণীর মনে জাগিয়া থাকিল । তিনি একদিন পদ্মাবতীকে পরীক্ষা করিবার জন্য জয়দেবের মৃত্যুর কথা রটাইলেন । পতিপ্রাণা পদ্মাবতী সে দুঃসহ সংবাদ শুনিবামাত্র প্রাণ পরিত্যাগ করিলেন । তখন সাধক জয়দেব আসিয়া তাহার কাণে কৃষ্ণনাম দিয়া তাহাকে পুনর্জীবিত করিলেন । এবার জয়দেবের বৃন্দাবনদর্শনে ইচ্ছা হইল । তিনি নিজ ইষ্টদেব রাধামাধবকে ঝুলিতে করিয়া লইয়া বৃন্দাবনে যাত্রা করিলেন। এখানে জাসিয়া কেশীঘাটে তিনি কিছুদিন অবস্থান করেন, Ꮃ Ꮧ >や° [ ७७¢ ] জয়দেবের আদর অভ্যর্থনায় ডাকাত জয়দেৰ cफॉन भशंछन ब्रांथांमांशदवङ्ग छखिन्टङ धूक श्रेब्रां ऊँांशद्र छछ এই কেশীঘাটে একটা মন্দির নির্মাণ করাইঙ্গাছিলেন। জয় দেবের অপ্রকট হইবার পর জয়পুররাজ সেই মূৰ্ত্তি লইয়। গিয়া জয়পুরে ঘাটি নামক স্থানে স্থাপন করেন । , জয়দেব জীবনের শেষাবস্থায় জন্মভূমি কেজুলী গ্রামে আসিয়া বাস করেন। কেন্দুলী হইতে গঙ্গ। ১৮ ক্রোশ। প্রবাদ আছে, প্রতিদিন জয়দেব সেই ১৮ ক্রোশ পথ ছাটিয়া গঙ্গাস্নান করিতেন। একদিন ঘটনাক্রমে তিনি গঙ্গাঙ্গানে যাইতে না পারায় তাহার মনে বড়ই ক্ষোভ হইল। কিন্তু গঙ্গাদেবী ভক্তের ক্ষোভ দূর করিবার জন্তু কলনাদে প্রবাহিত হইয়া কেন্দুলীগ্রামে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। জয়দেবের মনস্কামনা সিদ্ধ হইল । এই গ্রামেই জয়দেব ইহলোক পরিত্যাগ করেন । এখনও তাহার স্মরণার্থ এখানে প্রতিবর্ষে মাঘ-সংক্রাস্তিতে একটা মেলা হয়, তাহতে প্রায় পঞ্চাশহাজার লোক সমবেত হইয়া থাকে । জয়দেবের গীতগোবিন্দ ভাবুক ভক্তের এক অপার্থিব জিনিষ। হিন্দী, বাঙ্গালা, উড়িয়া, আসামী প্রভৃতি ভারতীয় নানা ভাষায়, এতদ্ভিন্ন অনেক বিদেশীয় ভাষায়ও গীতগোবিদের অনুবাদ প্রকাশিত হইয়াছে । [ গীতগোবিন্দ দেখ । ] উদয়নাচাৰ্য্য, কমলাকর, কুম্ভকৰ্ণ মহেন্দ্র, কৃষ্ণদত্ত, কৃষ্ণদাস, গোপাল, চৈতন্তদাস, নারায়ণভট্ট, নারায়ণদাস, পীতাম্বর, ভগবদাস, ভাবাচার্য্য, মানাঙ্ক, রামতারণ, রামদত্ত, রূপদে ব পণ্ডিত, লক্ষ্মণভট্ট, লক্ষ্মণস্থরি, বনমালিভট্ট, বিটঠল দক্ষিত, বিশ্বেশ্বর ভট্ট, শঙ্করমিশ্র, শ্ৰীহৰ্ষ, হৃদয়াভরণ প্রভৃতি পণ্ডিতগণগীতগোবিন্দের টীকা লিথিয়াছেন, এতদ্ভিন্ন অনির্দিষ্ট গ্রন্থকাররচিত বালবোধিনী, বচনমালিকা প্রভৃতি নাম কয়েকখানি টীকা পাওয়া যায়। ২ একজন প্রসিদ্ধ কবি, ইহার পিতার নাম মহাদেব ও মাতার নাম সুমিত্র, ইনি প্রসন্ন রাখব ও চন্দ্রালোক রচনা করেন। ৩ একজন কবি, ইনি ত্রিপুরীসুন্দরীস্তোত্র প্রণয়ন করেন । ৪ একজন নৈয়ায়িক, নৃসিংহের পুত্র । ইনি স্থায়মঞ্জরাসার প্রণয়ণ করেন। ৫ একজন শাস্ত্রবিদ বৈষ্ক । ইনি রসামৃত নামে বৈদ্যশাস্ত্র প্রণয়ণ করেন । ৬ মিথিলাবাসী বিখ্যাত নৈয়ায়িক, ইহার উপাধি পক্ষধর, ইনি হরিমিশ্রের শিশু ও ভ্রাতু পুত্র । নবদ্বীপের প্রসিদ্ধ নৈয়ায়িক রঘুনাথ শিরোমণির সমসাময়িক । ইনি তত্ত্বচিস্থামণ্যালোক বা চিস্তামণি প্রকাশ, গুtয়পদার্থমালা ও দ্যায়লীলাবতীবিবেক নামে বিখ্যাত স্থায়গ্রন্থ এবং দ্রব্যপদার্থ নামে