পাতা:বুদ্ধের জীবন ও বাণী.djvu/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
নবধর্ম্মের প্রচার ও ব্যাপ্তি

উৎসুক হইয়া থাক, আমি তোমাকে সেই ধন প্রদান করিতে পারি।” রাহুল সেই ধনই প্রার্থনা করিল; রাহুল শৈশবেই রাজ্যসম্পদ ত্যাগ করিয়া গৃহহীন হইয়া পিতার অনুগামী হইল। প্রাণাধিক পৌত্রের ভিক্ষুব্রত গ্রহণ করিবার সংবাদ শ্রবণ করিয়া শুদ্ধোদন শোকে অধীর হইলেন। তিনি বুদ্ধের নিকট গমন করিয়া তাঁহার মনোবেদনা জানাইলেন। বৃদ্ধ শুদ্ধোদন একে একে তাঁহার পুত্র সিদ্ধার্থ ও নন্দ, ভ্রাতুষ্পুত্র দেবদত্ত এবং পৌত্র রাহুল প্রভৃতি প্রিয়তমদিগকে হারাইয়া এমন বিহ্বল হইয়া পড়িয়াছেন যে, তাঁহার কাতরতা দর্শন করিয়া বুদ্ধের হৃদয়ও বিগলিত হইল। তিনি পিতাকে বলিলেন—“এখন হইতে আমি কদাচ কোনো অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুকে জনক, জননী কিংবা অভিভাবকের অনুমতি ব্যতীত দীক্ষাদান করিব না।”

 ইতিপূর্ব্বে কথিত হইয়ছে যে কোশলবাসী প্রসিদ্ধ ধনী অনাথপিণ্ডদ শ্রাবস্তীনগরে একটি বিহার নির্ম্মাণ করিয়া দিবার অভিলাষ করিয়া সারীপুত্রকে সঙ্গে লইয়া রাজগৃহ হইতে কোশলে যাত্রা করেন। তিনি শ্রাবস্তীনগরে উপস্থিত হইয়া বিহারের উপযোগী স্থাননিৰ্দ্ধারণের নিমিত্ত নগরের উপকণ্ঠে ঘুরিতে লাগিলেন। বিবিধ বৃক্ষ ও স্রোতস্বিনীশোভিত একখানি রমণীয় উদ্যান তাঁহার দৃষ্টি আকর্ষণ করিল। কোশলরাজকুমার জেত এই উদ্যানের অধিকারী। অনাথপিণ্ডদ মনে মনে সকল্প করিলেন—“এইখানেই সাধুদের নিবাসভূমি বিহার প্রতিষ্ঠিত করিতে হইবে।” তিনি রাজকুমারের নিকট অর্থবিনিময়ে উদ্যানখানি পাইবার প্রার্থনা করিলেন। জেত অসম্মতি প্রকাশ করিলেন; কিন্তু সাধুশীল

 
৪৯