বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/১১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈষ্ণবাচাৰ্য্য মধ্ব পাঠট যে ব্যাসদেবের একমাত্র পাঠ, ইহার কি যুক্তি আছে ?” পূর্ণপ্রজ্ঞ অন্যান্য পাঠের সিদ্ধান্ত ও র্তাহার কথিত পাঠের সিদ্ধান্তের তারতম্য ব্যাখ্যা করিয়া সিদ্ধান্তের দ্বারা তাহার কথিত পাঠটিকেই শ্ৰীব্যাসদেবের সম্মত একমাত্র পাঠ বলিয়া বুঝাইয়া দিলেন। অচ্যুতপ্রেক্ষ পূর্ণপ্রজ্ঞের উক্তির যাথার্থ এবং ব্যাসদেবের রচনা-বোধ-বিষয়ে পূর্ণপ্রজ্ঞের কতটা প্রকৃত অভিজ্ঞতা আছে, তাহ পরীক্ষা করিবার জন্য শ্ৰীমদ্ভাগবতের পঞ্চম স্কন্ধের গদ্যভাগ ব্যাখ্যা করিতে বলিলেন। পূর্ণপ্রজ্ঞ শ্ৰীমদ্ভাগবত গ্রন্থ না দেখিয়াই ব্যাসদেবের অভিপ্রেত পাঠসমূহ সিদ্ধান্ত-মূলে ব্যাখ্যা করিয়া যাইতেছেন দেখিয়া অন্যান্য পণ্ডিতগণ ও অচ্যুতপ্রেক্ষ স্বয়ং আশ্চৰ্য্যান্বিত হইলেন। অচ্যুতপ্রেক্ষ বিস্মিত হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “বৎস পূর্ণপ্রজ্ঞ, তুমিত’ এই জন্মে বেদপুরাণাদি-শাস্ত্র অধ্যয়ন কর নাই, তবে কিরূপে ঐ সকল শাস্ত্রের সিদ্ধান্ত তোমার আয়ত্ত হইল ?” পূর্ণপ্রজ্ঞ কহিলেন—“প্রভো! আমি পূৰ্ব্ব-জন্মে ঐ সকল অধ্যয়ন করিয়াছি।” আচু্যতপ্রেক্ষ পূর্ণপ্রজ্ঞাচাৰ্য্যকে বেদান্ত-বিদ্যা-সাম্রাজ্যের পরিপালনে সমর্থ দেখিয়া শঙ্খপূর্ণ জলের দ্বারা তাহার অভিষেক-ক্রিয় সম্পাদন এবং ‘আনন্দতীর্থ” নামকরণ করিলেন । আনন্দরূপী "" * বিষ্ণু পূৰ্ণপ্রজ্ঞের হৃদয়ে সৰ্ব্বদা বিশ্রাম লাভ করেন *আনন্দতীর্থ’নাম এবং তিনি সজ্জনানন্দ-দায়ক সংশাস্ত্র প্রণয়ন করিয়াছিলেন বলিয় তাহার ‘আনন্দতীর্থ” নামটি সার্থকত-মণ্ডিত হইল। গৌড়ীয়-বেদান্তাচাৰ্য্য শ্ৰীল বলদেব বিদ্যাভূষণ প্রমেয়রত্নাবলী’ গ্রন্থের প্রারম্ভে এইজন্য আচাৰ্য্য আনন্দতীথের এইরূপে জয়গান করিয়াছেন— আনন্দতীথ নামা মুখময়ধাম। যতিজীয়াৎ । ংসারার্ণব-তরণীং যমিহ জনা: কীৰ্ত্তয়ন্তি বুধাঃ ॥ (, [ S 9 ఫి |