বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/১২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈষ্ণবাচাৰ্য্য মধ্ব নিস্ফল আক্ষেপাংশ পরিত্যাগ করিয়া ‘ভাষ্য প্রণয়ন কর’ এই আদেশাংশমাত্রই গ্রহণ করিলেন । ह्व বিশেষ বিরাগী, বাগী ও ভক্তিভূষণে বিভূষিত লিকুচবংশজাত ‘জ্যেষ্ঠ' নামক এক সন্ন্যাসী মধবাচাৰ্য্যকে ব্রহ্মস্থত্র ও উপনিষৎসমূহের প্রকৃত অর্থ বিস্তার করিবার জন্য প্রার্থনা জানাইলে আনন্দতীর্থ ব্রহ্মসূত্র ও শ্রুতির ভাষ্য কীৰ্ত্তন করিলেন । পূর্ণপ্রজ্ঞ স্বীয় গুরু অচ্যুতপ্রেক্ষের সহিত ভক্তিসিদ্ধান্ত প্রচার করিবার জন্য বহির্গত হইলেন এবং ‘বিষ্ণুমঙ্গল’ নামক এক ভবনে জগন্মঙ্গল শ্ৰীহরিকে দশন ও বন্দন করিলেন । এই সময় জনৈক গৃহস্থ ব্যক্তি পূর্ণপ্রজ্ঞকে পরীক্ষা করিবার জন্য দুইশত সুপুষ্ট কদলী ভিক্ষা দিলেন। মধ্বাচাৰ্য সেইগুলি সকলই ভোজন করিয়া ফেলিলেন। ইহা দেখিয়া অচ্যুতপ্রেক্ষ আশ্চৰ্য্যান্বিত হইয়া বলিলেন—“বৎস, এতগুলি কদলী ভক্ষণের পরও তোমার উদর স্থলত-প্রাপ্ত হয় নাই কেন ?’ ইহার উত্তরে পূর্ণপ্রজ্ঞ বলিলেন যে, তাহার উদরে বিশ্বদাহ-বিধাতা ও বিশ্বহিতকারী অঙ্গুষ্ঠপরিমিত অনল সৰ্ব্বদা বর্তমান রহিয়াছেন। পূর্ণপ্রজ্ঞ গুরুদেবের সহিত পয়স্বিনী, শেষশায়ী, পদ্মনাভ প্রভৃতি স্থানে গমন করিলেন। পূর্ণপ্রজ্ঞ সিদ্ধান্তজ্ঞগণের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ । সিদ্ধান্তবেত্তাই আচাৰ্য্যপদবীর যোগ্য। তাই তিনি প্রচারে অভিযানকালে বিভিন্ন সভায় ও শিষ্যগণের নিকট জীব ও ব্রহ্মের দ্বৈত-সিদ্ধান্ত আচার্য্যের দ্বৈতসিদ্ধান্ত ...... প্রতিপাদন করিয়া ব্রহ্মস্বত্রসমূহের ব্যাখ্যা করিলেন। তদানীন্তন শঙ্করাচার্য্য অপ্রাংগুনীত্ব নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করিয়া পূর্ণপ্রজ্ঞের প্রতি মৎসরতা-বশতঃ বলিয়াছিলেন যে, যাহারা ব্রহ্মস্থত্রের ভাষ্যের রচয়িত নহে, তাহাদের নিকট স্বত্রসমূহের Ç [ ১০৬ ]