বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/১৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈষ্ণবাচাৰ্য্য মধব গণ্ডবাট ও তাহার জ্যেষ্ঠভ্রাত। মধবাচার্য্যের নিকট উপস্থিত হইলে আচার্য্য স্বীয় কণ্ঠ-নিষ্পেষণের দ্বারা তাহদের শক্তি প্রদর্শন করিতে বলিলেন । তাহারা কিছুকাল বৃথা পরিশ্রম করিয়া অবসন্ন হইয়া পতিত হইলেন । তথাপি অভিমান পরিত্যাগ করিলেন না দেখিয়া মধবপাদ র্তাহাদিগকে স্বীয় ভূমিস্থিত অঙ্গুলিটিকে উত্তোলনের আদেশ করিলেন । তাহারা সমস্ত বল প্রয়োগ করিয়াও অঙ্গুলিকে কম্পিতও করিতে পারিলেন না । ‘পারস্তী’ নামক দেবালয়ে উপস্থিত হইয়া শ্ৰীমধবপদ গ্রামাধ্যক্ষ ও রাজগণের সহিত অৰ্দ্ধদিবসের মধ্যেই বিরাট মহামহোৎসব সম্পন্ন করিয়াছিলেন। পারস্তী দেবালয়ের সরোবর শুষ্ক হইয় গেলে পূর্ণপ্রজ্ঞ তথায় প্রচুর বৃষ্টিপাত করাইয়া সেই সরোবর পূর্ণ করাইয়াছিলেন। কতিপয় খল ব্যক্তির দুৰ্ম্মন্ত্রণায় সরিদন্ত গ্রামের অধিপতি এক শূদ্র রাজ। শ্ৰীমন্মধবাচার্য্যকে বধ করিবার অভিসন্ধি লইয়া আচাৰ্য্য-সমীপে উপস্থিত হইলে আচার্য্যের অভূতপূৰ্ব্ব ব্যক্তিত্বে সে বিমোহিত হইয়াছিল। শ্ৰীমধবাচাৰ্য্য ধন্বন্তরিক্ষেত্রে গমন করিয়া ‘শ্ৰীকৃষ্ণামৃতমহাৰ্ণৰ নামক গ্রন্থ রচনা করিলেন । এই গ্রন্থ-ধৃত শ্ৰীমধেবাপদেশামৃত স্থানান্তরে উদ্ধৃত হুইবে । t