বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈষ্ণবাচার্য্য মধব পবনদেব কৃতাঞ্জলিপুটে এই ভগবদাদেশ শিরোভূষণরূপে মস্তকে গ্রহণ করিলেন এবং শ্রেষ্ঠদেবগণের প্রার্থনা মুক্তামালার দ্যায় হৃদয় ধারণ করিয়া নিজ-জনের অনুগ্রহ-কামনার ভূতলে অবতরণ করিতে ইচ্ছা করিলেন। এই সময়ে পৃথিবীতেও সাধুগণ চিন্তায় আকুল হইয়া ভাবিতেছিলেন –“হায় ! আমরা সৎসম্প্রদায়গত বৈদান্তিক-সিদ্ধান্তে অনভিজ্ঞ হষ্টয়া পড়িয়াছি, আমরা কি করিয়া বিষ্ণুর পরম-পদ দর্শন করিব ?” এক বিষুবসংক্রান্তির দিনে রজতপীঠপুরে প্রভু অনন্তেশ্বরের মন্দিরে কোন এক বিশিষ্ট মহোৎসব দর্শনের জন্ত নানা স্থান হইতে বহু লোক সমাগত হইয়াছেন । সকলেই কৌতূহলাক্রান্ত হইয়া উৎসব দর্শন করিতেছেন, এমন সময় একটা ব্যক্তি রঙ্গমঞ্চের নটের দ্যায় সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ ও বিস্ময় উৎপাদন করিয়া নানারূপ অঙ্গভঙ্গীর সহিত অনন্তেশ্বরের মন্দিরের উন্নত ধ্বজ-স্তম্ভের উপর নৃত্য করিতে করিতে জনতাকে সম্বোধনপূৰ্ব্বক উৰ্দ্ধবাহু হইয়া শপথ সহকারে উচ্চৈঃস্বরে বলিতে লাগিলেন,—“হে জনমগুলি, অবহিত হইয়া শ্রবণ করুন, শ্রবণ করুন। এই ভূমণ্ডলে বিশ্বহিতৈষী এক সৰ্ব্বজ্ঞ মহাপুরুষ অচিরেই অবতীর্ণ হইবেন ।” যে সকল সাধু ব্যক্তি ঐ পুরুষের বাক্য শ্রবণ করিয়াছিলেন, তাহার বলিতে লাগিলেন, নিশ্চয়ই এই ব্যক্তিতে রজতপীঠপুরন্দর প্রভু অনন্তেশ্বর আবিষ্ট হষ্টয়া এই ভবিষ্যদ্বাণী কীৰ্ত্তন করিতেছেন । * সজ্জনগণের চিত্তের অবস্থা আবিষ্ট পুরুষের মুখে অবতার-বাণী tw এদিকে মধ্যগেহ নারায়ণভট্ট ও তৎসহধৰ্ম্মিণী বেদবতীর একান্ত ভগবদারাধনার ফলে ভগবদাদিষ্ট বায়ুদেব ঐ সদ্ভক্তিসংযুক্ত ব্রাহ্মণদম্পতিকে আশ্রয় করিয়াই জগতে অবতীর্ণ হইতে ইচ্ছা করিলেন। C [ s - |