বৈষ্ণবাচাৰ্য্য মধব জীবগণ উক্ত প্রকৃতিত্ৰয়ের অতিরিক্ত ও পরতত্ত্ব বিষ্ণুর জ্ঞান হইতেই মুক্তি লাভ করেন। লক্ষ্মীদেবী—বিষ্ণুর অধীন, সৰ্ব্ববিদ্যাভিমানিনী এবং চতুর্মুখ ব্ৰহ্মা হইতে অনেকগুণে শ্রেষ্ঠতর। তিনি ভগবদঙ্গে নানাবিধ আভরণ-স্বরূপে বিরাজ করেন। অর্থাৎ মধ্বসিদ্ধান্ত-মতে বিষ্ণুর শয্যা, আসন, সিংহাসন, আভরণ প্রভৃতি সমস্ত ভোগ্যবস্তুই লক্ষ্ম্যাত্মক, যথা—“শ্রীর্যত্র রূপিণুরুগায়পাদয়োঃ করোতি মানং বহুধা বিভূতিভিঃ।” (৪র্থ অঃ ২য় পাঃ ১ম স্বত্রের অনুব্যাখ্যানে ধৃত ভাঃ ২৯১৩ শ্লোক ) যে বৈকুণ্ঠে লক্ষ্মী বহুপ্রকার বৈভবরূপে মূৰ্ত্তিমতী থাকিয়া উত্তমঃশ্লোক শ্ৰীবিষ্ণুর চরণ-যুগল পূজা করিয়া থাকেন। তত্ৰ বিষ্ণেঃ পুরং দিব্যমপরাজিত-নামকম্। বিমিতাখ্যঞ্চ পৰ্য্যঙ্কং বিঞ্চোমানেন সম্মিতম্ ॥ চিৎসুবর্ণময়ং দিব্যং লক্ষ্মীস্তত্তৎস্বরূপিণী । ( ছান্দোগ্য-ভাষ) ৮৫ ) তথায় বিষ্ণুর অপরাজিত নামক দিব্যপুর এবং তাহার বিগ্ৰহপরিমিত চিন্ময় সুবর্ণ-নিৰ্ম্মিত বিমিত-নামক দিব্য পর্যাঙ্ক বর্তমান আছে। তৎসমুদয় বস্তুই লক্ষ্মীস্বরূপ । শ্ৰীবিষ্ণুর শয্যাসনাদি লক্ষ্য্যাত্মক জগৎ সত্য ক্রমন্মধবাচার্য্য বলেন—ভগবান বিষ্ণু কল্পের আদিতে অনাদি নিত্য জড় প্রকৃতিকে উপাদান করিয়া গুণত্রয়, মহৎ, অহঙ্কার, পঞ্চভূত-ক্রমে ব্ৰহ্মাণ্ড, তদস্তরে চতুর্দশ লোক, সমুদ্র, মেরুমনারাদি পৰ্ব্বত, গঙ্গাযমুনাfদ 1 س ه ج ]
