বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/২৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তবিংশ অধ্যায়—শ্ৰীমধবাচার্য্যের সিদ্ধান্ত বৰ্ত্তমান, সুতরাং কেবলাভাব প্রকৃতপক্ষে ত্রিবিধ। যেমন, ‘আগামীকল্য ঘট হইবে”—এইটি ‘প্রাগভাবে'র দৃষ্টান্ত। আর ‘ঘট বিনষ্ট হইয়াছে, বৰ্ত্ত壽 মানে তাহার অভাব,-ইহাকে ‘প্রধ্বংসাভাব’ বলে । স্বতন্ত্র ও পরতন্ত্র তত্ত্ব : ত্রিকালে অভাবই “অত্যন্ত অভাব’ বলিয়া খ্যাত— জীব—শ্ৰীহরির a w যেমন শশােঙ্গ, কুৰ্ম্মলোমাদির অত্যন্ত অভাব। আর ঘটে পটত্বের অভাব ও পটে ঘটত্বের অভাব,— ইহা অন্তোহন্তাভাব’। পূৰ্ব্বোক্ত চেতন বা জীব আবার ত্ৰিবিধ— সাত্ত্বিক, রাজস ও তামস। অচেতন বা জড় বহুবিধ। বিষ্ণুর উদরে অনন্ত জীবরাশি বিরাজিত আছে ; ঐ জীবরাশি উপরিউক্ত ত্ৰিবিধ ভাগে বিভক্ত । দৃষ্টা স চেতনগণন জঠরে শয়নানানন্দময়বপুষঃ স্থতিবিপ্রযুক্তান । ধ্যানগতান স্থতিগতাংশ্চ স্বযুপ্তিসংস্থান ব্ৰহ্মাদিকান কলিপরান মমুজাং স্তথৈক্ষৎ ॥ ( মঃ ভাঃ তাঃ নিঃ অ ১, শ্লোঃ ৪ ) ভগবান বিষ্ণুর উদর মধ্যে অনন্ত জীব অবস্থিত রহিয়াছে। তন্মধ্যে বদ্ধজীব তিনভাগে বিভক্ত ; যথা—তিনি ( বিষ্ণু ) নিজের জঠরমধ্যে .প্রভগবান বিষ্ণুর উদর- সৰ্ব্বথা সংসারবিমুক্ত আনন্দময় বিগ্রহ চেতনগণকে মধ্যে অনন্তজীব , দর্শন করিয়া অতঃপর (১) ধ্যানগত ব্ৰহ্মাদি দেবগণ, ত্ৰিবিধ বদ্ধজীব (২) সংসার-দশাপ্রাপ্ত মনুষ্যগণ এবং (৩) সুযুপ্তিগত দৈত্যগণকে দর্শন করিলেন । তাহারা সকলেই অনাদি অবিদ্যা ও কাম্য-কৰ্ম্ম-প্রবাহে বদ্ধ । সাত্ত্বিক জীবগণ মুক্তি-যোগ্য, রাজসগণ নিত্যসংসারী এবং তামসগণ তমোগতি ( নরক) যোগ্য। ব্ৰহ্মা-ইন্দ্র প্রভৃতি দেবতা, গন্ধৰ্ব্ব, ঋষি, পিতৃগণ, [ ২১৭ ]