বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/২৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈষ্ণবাচার্ষ্য শ্ৰীমধব উদয় হয়, তাহাই ‘পরম ভক্তি’, উহা কৰ্ম্মাদি অভিলাষবর্জিত বলিয়া ‘অমল ভক্তি’ নামে পরিচিত। এই ‘পরম ভক্তি" দ্বারাই ভগবানের পরমপ্রসাদ লাভ হয়। ইহা মোক্ষসাধনীভূত। ভগবৎপরম-প্রসাদ লাভ হইলে জীবের মোক্ষ লাভ হয় । মোক্ষের পর জীবস্বরূপে যে নিত্য বর্তমান ভক্তি, তাহাই ‘স্বরূপভক্তি’ বা ‘সাধ্যভক্তি”। জীব-সম্বন্ধি-সাধনে ভক্তিই সৰ্ব্বপ্রধান, তাহাই ভগবৎ-প্রসাদ-প্রাপ্তির একমাত্র উপায় । বেদের সর্বত্র যে মোক্ষসাধনীভূত জ্ঞানের কথা বলা হইয়াছে, তাহ অপরোক্ষ-জ্ঞানেরই নির্দেশক । নিৰ্ব্বিশেষ-জ্ঞান—ষাহ অন্ধতমঃ, তাহ। অমুরাদির প্রাপ্য। সাত্ত্বিক-পুরুষগণেরই ভক্তিবৃত্তি উদিত হয় । শিশুপাল, দস্তবক্র, কংস, জরাসন্ধ প্রভৃতি অসুরগণের ভগবদর্শন ও মাহাত্ম্য-জ্ঞানাদি সংঘটিত হইলেও তাহাদিগের ভগবানে ভক্তির উদয় না ইয়৷ তদ্বারা বিরোধই অভিবৰ্দ্ধিত হইয়া থাকে । শাস্ত্রবাক্যানুসারে গো-দর্শন-স্পর্শনাদি দ্বার। পুণ্যলাভ হয়, কিন্ত ব্যাভ্রের যেমন গোম্পর্শন ও দর্শনাদিতে পুণ্য লাভ ন হইয়া হিংসাই অভিবৰ্দ্ধিত হইয়া থাকে, অস্বরাদির ভগবদর্শনাদিও তদ্রুপ । শ্ৰীমন্মধবাচাৰ্য্যপাদ ভক্তির এইরূপ সংজ্ঞা নির্দেশ করিয়াছেন,— “মাহাত্ম্যজ্ঞানপূৰ্ব্বস্তু সুদৃঢ়সৰ্ব্বতোহধিক । স্নেহে ভক্তিরিতি প্রোক্তস্তয় মুক্তিন চান্তথা ॥” ( মঃ ভাঃ তাঃ লিঃ ১৮৬ সংখ্যt-ধূত ব্ৰহ্মতর্ক-বাক্য’ ) —ভগবানের মাহাত্ম্যজ্ঞানপূর্বক স্বাত্ম-আত্মীয়-যাবতীয় বস্তু হইতে অত্যন্ত বিলক্ষণ, মুদৃঢ়, নিরুপাধিক স্নেহই ‘ভক্তি বলিয়া শাস্ত্রে কথিত হইয়াছে । এইরূপ ভক্তি-দ্বারাই মুক্তি লাভ হয় ; অন্ত উপায়ে কখনই লস্তৰ সহে । ভক্তির সংজ্ঞা [ ૨૭૭]