বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/২৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈষ্ণবাচাৰ্য্য শ্ৰীমধব আমায়-বিজ্ঞানে অনভিজ্ঞ কেহ কেহ বলেন যে, শ্ৰীমধ্বসম্প্রদায়ের সন্ন্যাসিগণের ‘তীৰ্থ’ নাম দৃষ্ট হয়। অতএব শ্ৰীমাধবেন্দ্রপুরী বা শ্ৰীঈশ্বরপুরীকে শ্ৰীমধ্বসম্প্রদায়ের সন্ন্যাসী বলা যাইতে পারে খ্ৰীমাধবেন্দ্রপুরীর পুরী না। শ্ৰীমাধবেন্দ্রপুরী মধ্বসম্প্রদায়ের অন্তভূক্ত না গান "নাগ-লীলাব হইলে, শ্ৰীমন্মহাপ্রভু মধ্বসম্প্রদায় স্বীকার করিয়াছেন নাম, বস্তুতঃ তিনি বলাও ভিত্তিহীন কথা হইয়া পড়ে। বস্তুতঃ র্যাহার শ্ৰীলক্ষ্মীপতিতীর্থের ميته দীক্ষা-শিষ্য আমায়-বিজ্ঞান অবগত আছেন, তাহারা বলেন— শ্ৰীমাধবেন্দ্রপুরী বা শ্ৰীঈশ্বরপুরীর ‘পুরী’ নাম তাহাদের সন্ন্যাস-গ্ৰহণ-লীলার নাম । শ্ৰীল মাধবেন্দ্রপুরী গোস্বামী শ্ৰীমন্মধ্বসম্প্রদায়ের শ্ৰীলক্ষ্মীপতি তীর্থের নিকট হইতে দীক্ষিত ও পুরী’-নাম-ধারী কোন সন্ন্যাসীর নিকট হইতে সন্ন্যাস প্রাপ্ত। যেমন শ্ৰীমন্মহাপ্রভু শ্ৰীঈশ্বরপুরীর নিকট দীক্ষা-গ্রহণ-লীলা আবিষ্কার করিয়া অন্যত্র অর্থাৎ শ্ৰীকেশব ভারতীর নিকট হইতে সন্ন্যাস-গ্ৰহণ-লীল প্রকাশ করিয়াছিলেন । দীক্ষা-গুরু ও সন্ন্যাস-গুরু সকল-ক্ষেত্রেই যে, একই ব্যক্তি হইবেন, তাহার কোন নিয়ম নাই । আবার কোন কোন স্থলে সন্ন্যাস-গুরু ও দীক্ষা-গুরু একই ব্যক্তি হইয়া থাকেন। অতএব শ্ৰীলক্ষ্মীপতি তীর্থের অনুকম্পিত শ্ৰীশ্ৰীমাধবেন্দ্রের নিকট হইতে শ্ৰনিত্যানন্দপ্রভূ, শ্ৰীঈশ্বরপুরী ও. শ্ৰীঅদ্বৈতাচাৰ্য্য প্রভু দীক্ষা-গ্রহণ-লীলা আবিষ্কার করায় তাহারা সকলেই শ্ৰীমধ্বসম্প্রদায় স্বীকার করিয়াছেন বলিতে হইবে। o কেহ কেহ বলেন,—“শ্ৰীমন্মহাপ্রভু প্রেমকে ‘সাধ্য’ বলিয়া স্বীকার করিয়াছেন এবং মুক্তিকে উপেক্ষা করিয়াছেন ; কিন্তু শ্ৰীমধ্বমতে মুক্তিই সাধ্য। শ্ৰীমন্মধবাচাৰ্য্য মোক্ষকে ‘সাধ্য’ বলিয়া স্বীকার করিলেও জীবপরমাত্মৈক্যরূপ সাযুজ্য স্বীকার করেন নাই। পঞ্চবিধা মুক্তির অন্তর্গত 聯 [ २¢२ ]