বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/২৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টাবিংশ অধ্যায়—শ্ৰীব্ৰহ্ম-মাধব-গৌড়ীয়-সম্প্রদায় এবমেব হি জীবোহপি তাদাত্ম্যং পরমাত্মনা। প্রাপ্নোতি নাসেী ভবতি স্বাতন্ত্র্যাদি-বিশেষণাৎ ॥ ব্রহ্মেশানদিভির্দৈবৈ র্যৎ প্রাপ্তং নৈব শক্যতে। তদ যৎস্বভাবঃ কৈবল্যং স ভবান কেবলে হরিঃ ॥” ( ব্ৰঃ স্থঃ ২১৷১৩ মধ্বভাষ্য ) —“যিনি পরম ব্রহ্মকে অবগত হন, তিনি ব্রহ্মই হইয়া থাকেন” (মুণ্ডক ৩২৯ )—এই বাক্যেও মুক্তজীবের ব্রহ্ম-প্রাপ্তির কথা বলা হইয়াছে। ইহা হইতে র্তাহাদের (মুক্তজীব ও ব্রহ্মের) অবিভাগ সিদ্ধ হইল । অতএব মুক্তির পূর্বেও জীব ব্রহ্মস্বরূপই থাকেন ; যদি তিনি তৎস্বরূপ না হইবেন, তাহ হইলে মুক্তদশায়ও ব্রহ্মত্ব লাভ করিতে পারেন না। কারণ, একবস্তু কখনও অন্ত বস্তুর স্বরূপ প্রাপ্ত হন না। অতএব যেহেতু জীব মুক্তদশায় ব্রহ্মস্বরূপ লাভ করেন, কাজেই জীব ব্রহ্ম হইতে অন্ত বা বস্তৃন্তর নহেন। এইরূপ যুক্তি যদি প্রদর্শন করা হয়, তবে তাহা সঙ্গত নহে। করুণ, এবিষয়ে লৌকিক দৃষ্টান্ত আছে, যেমন, এক জল অন্ত জলের সহিত মিশ্রিত হইলে লোকে বলিয়া থাকে যে, উহা এক হইয়া গিয়াছে। বস্তুতঃ উভয় জল ভিন্ন বলিয়া উহাদের এক হওয়ার অর্থ একজল অন্ত-জল-স্বরূপ হইয়া গিয়াছে’ এরূপ নহে; কিন্তু এস্থলে তদন্তভূত হওয়াই একীভাব’ শব্দের অর্থ। এস্থলেও ঠিক ঐরূপ অর্থই বুঝিতে হইবে । শ্রীতিও এইরূপ বলিতেছেন,—“হে গৌতম, যেমন এক শুদ্ধজলে অপর শুদ্ধজল মিশ্রিত করিলে উহা তাহারই মত হইয়া থাকে, সেইরূপ ব্ৰহ্মজ্ঞানী মুনির আত্মাও ব্রহ্মের মত হইয়া থাকে ” [ २¢¢ ] so ৩২৯ সংখ্যা 'মুণ্ডক’ শ্রীতির তাৎপর্য্য