বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টম অধ্যায়—বাস্থদেবের বিদ্যারস্ত বটে, কিন্তু আপনার বাক্যগুলি ব্যাস-শুকাদি মহাজনগণের সিদ্ধান্তের বিরোধী। সিদ্ধান্ত-বিরুদ্ধ-বাক্য যতই না কেন মধুর শব্দ-বিদ্যাসে গ্রথিত হউক, তাহার কোনই মূল্য নাই, উহা উচ্ছিষ্ট-গৰ্ত্ত কাকতীর্থের দ্যায়। মানস সরোবরের মনস্বী পরমহংসকুল কখনও তাহাতে বিচরণ করেন না । আপনি সাহিত্যের প্রাণ যে সিদ্ধান্ত ও রস—সেই প্রাণ বিনষ্ট করিয়া মুত রমণীকে বাহ বেষন্তুষার দ্বারা লোকের অবৈধ উত্তেজনা উৎপাদন করিতে চাহিতেছেন । শিশু বাসুদেবের এরূপ সিদ্ধান্ত-নিপুণতা ও নির্ভীকতা লক্ষ্য করিয়া সভাস্থ পণ্ডিতমণ্ডলী স্তম্ভিত হইলেন । বাস্থদেবের এই কথা শুনিবার পর আর কেহই পুরাণ কথককে গ্রাহ করিলেন না। অথবা ইহাতে আর আশ্চৰ্য্য কি ? সিংহ-শিশু যদি গম্ভীর হুঙ্কার-ধ্বনি আরম্ভ করে, তাহা হইলে কে-ই বা মুখর শৃগালের প্রশংসা করিতে পারে ? শ্রোতৃবৃন্দ তখন বালক বাসুদেবকেই বলিলেন,—“হে বৎস! তুমি আমাদিগকে মহাজনের সিদ্ধান্ত-সন্মত পুরাণ ব্যাখ্যা শ্রবণ করাও আমরা সিদ্ধান্ত-বিরোধকারীর মুখে আর কোন জন্ত শ্রোতুমণ্ডলীর অনু- কথা শুনিব না।” বালক বাসুদেব তখন সেই নামকরনঃ বিরাট পণ্ডিত-সভার ব্যাসাসনে উপবিষ্ট হইয়া শ্রণে সকলে মুক্ত মহাজনগণের সিদ্ধান্ত-সন্মত পুরাণ ব্যাখ্যা করিতে 龜 লাগিল। সেই ব্যাখ্যামৃত কর্ণপুটে পান, করিয়া সকলেই চমৎকৃত হইলেন । দেবতাগণ পৰ্য্যন্ত আকাশমার্গ হইতে আনন্দ প্রকাশ করিতে থাকিলেন । [ II l @ বাহুদেবকে পুরাণ-পাঠের