বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈষ্ণবাচার্য্য মধব আরণ্যক, শুদ্ধসংখ্যান, ভক্তিযোগ একত্র ফুৰ্ত্তিপ্রাপ্ত হইয়া পঞ্চবিধজ্ঞান বা ‘পঞ্চরাত্র’ নামে তত্তৎস্থান অধিকার করিল । কম্মিগণ যাহাকে শ্রেীতানুষ্ঠান বলিতেন, আরণ্যকগণ তাহ হইতে র্তাহীদের নিজত্বের পার্থক্য স্থাপন করিলেন। শ্রেীত-বিধান, স্মাৰ্ত্ত-বিধান, পৌরাণিকবিধান ও পঞ্চরাত্র-বিধান সমতাৎপৰ্য্যবিশিষ্ট । যেখানে তাহাদের পরস্পর বৈষম্য নিরূপিত হইয়াছে, সেখানেই হরিভজন-কাৰ্য্যে ব৷ অদ্বয়-জ্ঞানে ব্যাঘাত হইয়াছে। পঞ্চরাত্র-বিধান, শ্রেীত-বিধানের প্রতিকূল কল্পনা করিলেই কাল্পনিক পঞ্চরাত্র-বিধি উৎপাতের কারণ বলিয়া স্থিরীকৃত হয়। শ্রেীত-বিধি-গ্রহণে দেশ-কাল-পাত্র-ভেদজনিত অযোগ্যতা যে শ্রুতির অনুকূল-তন্ত্র বা শ্রুতির বিস্তৃতি দ্বারা অভাব-পূরণে সামর্থ্য এবং সমতাৎপৰ্য্যবিশিষ্টতা লাভ করে, তাহাই—পঞ্চরাত্র। শ্রোতবিধানের আনুগত্যে গৃহোক্ত বর্ণাশ্রম-বিধিগুলির যথাযথ উপযোগিতা বাধাপ্রাপ্ত হওয়ায় সেই অভাব-পূরণ এবং বৈদিক-বিধান অক্ষুণ্ণ রাখিবার জন্ত শ্রীনারায়ণের শ্ৰীবাক্য হইতে পঞ্চরাত্র-শাস্ত্র উদগত হইয়াছেন। পঞ্চরাত্ৰ-শাস্ত্রের সাহায্য গ্রহণ না করিলে বিবদমান শ্রেীত-পদ্ধতির মীমাংসা হইতে পারে না । এই বামুদেব তাহার আচাৰ্য্য-লীলায় অদৈব বিশ্ব-সম্মোহন-লীলাপর শ্ৰীশঙ্করাচার্য্যের পঞ্চরাত্র-বিরোধবাদ খণ্ডন করিয়া পঞ্চরাত্রের var nstan প্রামাণ্য এবং পাঞ্চরাত্রিক-দীক্ষা-বিধানের সৌন্দর্য্য বাস্বদেবের বৃত্ত- জগতে প্রচার করিবে । এই বালক বাসুদেবই বিচার তাহার আচাৰ্য্য-লীলায় ছান্দোগ্যোপনিষদের ভাষ্যপ্রচারকালে সামসংহিতার প্রমাণ উদ্ধার করিয়া হারিদ্রুমত গৌতমের উপনয়ন-প্রসঙ্গে বৃত্তগত ব্ৰাহ্মণতার বিচার জগতে জানাইবে । [ ৬ • ] €.