পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা.pdf/১০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ s \ } অনন্তর বরান্তঃ নামক সমুদ্র । উহার উত্তরতটে অতিভীষণ ও প্রকাণ্ড শালবনাচ্ছাদিত তাম্রাটবী নামে মহারণ্য আছে । ৭৮। ঐ অরণ্যমধ্যে তামাক্ষনামে অতি দুঃসহ প্রকাগু অজগর আছে। বায়ুকর্তৃক চালিত উহার উগ্রগন্ধে তথায় কোন প্রাণীই জীবিত থাকিতে পারে না । ৭৯ ৷ ঐ অজগর ছয় মাস নিদ্রা যায়। তখন উহার মুখনিঃস্থ ত লাল যোজন পৰ্য্যন্ত পরিব্যাপ্ত হয় । পুনশ্চ যখন ছয়মাস জাগিয়া থাকে তখন লাল.কম হয় । ৮০ ৷ তথায় বেণুগুল্ম ও শিলাখণ্ডে আচ্ছাদিত একটা গুহা আছে। উহার তাচ্ছিাদনটা উৎপাটন করিয়া তথা হইতে দিবারাত্রি সমভাবে প্রজ্বলিত অঞ্জনোপযুক্ত ঔষধি লাভ করিয়া অবৈরাখা বুদ্ধবিদ্যা জপ করিলে ঐ অজগর বা অন্যান্য ভয়ঙ্কর প্রাণী হইতে ভয় হয় না।৮১-৮২ তৎপরে বেণুকণ্টকব্যাপ্ত সপ্ত মহাশৈল অতিক্রম করিতে হয়। বীৰ্য্যশালী ব্যক্তি তাম্রপটে নিজ পদ আচ্ছাদিত করিয়া ঐ পৰ্ব্বতগুলি পার হন । ৮৩ ৷ তৎপরে শাল্মলিবন ও সপ্তসংখ্যক লবণ নদী উত্তীর্ণ হইয়া অত্যুন্নত ত্রিশঙ্কু নামক পৰ্ব্বত দেখিতে পাওয়া যায়। ৮৪ ৷ তথায় ত্রিশঙ্কু নামে বজ্রভেদী কণ্টকসকল আছে। যাহাঁদের পদদ্বয় তাম্রপটাচ্ছাদিত ঐসকল কণ্টক তাহাদিগের পদে বিদ্ধ হয় না । ৮ ৫ । তৎপরে ত্রিশস্তুনামে নদী ও অয়শঙ্কু নামে পর্বত। পুনরায় উপঙ্কিল নামে দ্বিধা বিভক্ত নদী । ৮৬ ৷ অতঃপর অষ্টাদশচক্র নামে পর্বত ও তত্ত্ব ল্যনাম্নী নদী এবং শ্লক্ষ নামা পর্বর্বত । ৮৭ ৷ অনন্তর ধূমনেত্ৰ নামে পর্বত। উহার ধুমে চতুর্দিক অন্ধকারময় > う