পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা.pdf/১৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ *२ * 1 ঐ চিতানল বালকগ্রহণসময়ে জিনের দৃষ্টিপাতদ্বারা হরিচন্দনের স্যায় শীতল হইয়াছিল । ৩১ । ক্ষপণকগণ প্রজ্বলিত অগ্নি হইতে উদ্ধত জীবিত ও রুচিরাকৃতি বালককে দেখিয়া লজ্জাবশতঃ ক্ষণকাল মৃতবৎ হইয়া দাড়াইয়াছিল ৷ ৩২ ৷ তৎপরে সর্বপ্রাণীর হিতে রত ভগবান বিস্ময়ে উস্তান্ত স্থভদ্রকে বলিলেন, তোমার এই পুত্রটি গ্রহণ কর । ৩৩। সুভদ্র কি করিবে নিশ্চয় করিতে ন পারিয়া সন্দিগ্ধচিত্তে ক্ষপণকগণের পরামর্শ লইবার জন্য তাহদের মুখের দিকে দৃষ্টিপাত করিল। ৩৪। ক্ষপণকগণ র্তাহাকে বলিল যে, এই শ্মশানবহ্নিজাত বালককে গ্রহণ করা বিধেয় নহে। এ যেখানে থাকিবে, সে গৃহ উৎসন্ন হইবে । ৩৫ ৷ মূখ সুভদ্র যখন ক্ষপণকগণের বাক্যানুসারে বালককে গ্রহণ করিল না, তখন ভগবানের অtঙ্গানুসারে রাজা তাহাকে গ্রহণ করিলেন । ৩৬। ভগবান স্বয়ং অগ্নিমধ্য হইতে প্রাপ্ত ও অগ্নিসদৃশকান্তি ঐ লালকের জ্যোতিষ্ক এই নাম রাখিয়াছিলেন । ৩৭ ৷ রাজভবনে প্রবদ্ধমান ঐ বালকের মাতুল দেশান্তরে গিয়াছিলেন ; তিনি যথাকলে তথা হইতে ফিরিয়া আসিলেন । ৩৮ । তিনি ভগিনীর পুত্ৰজন্ম ও নিধনবৃত্তান্ত জানিতে পারিয়া ক্রোধে কম্পি তকলেবর হইয়া সুভদ্রের নিকট আসিয়া বলিয়াছি লেন । ৩৯ ৷ রে মুখ ক্ষপণকভক্ত, তুমি একটা ক্ষপণকের কথা শুনিয়া নিজপত্নীকে হত্যা করিয়াছ ও নিজপুত্রকে ত্যাগ করিয়াছ, ইহা কি ভাল করিয়াছ ? ৪০ ৷ » ፃ