পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা.pdf/১৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

為奪○ যাহারা মিথ্যাব্রতচারী, লুব্ধ ও রাগদ্বেষে কষায়িতচিত্ত, তাহদেরই এই নিত্য প্রতপ্ত কুন্তীমধ্যে ক্ষয় পাইতে হয়। ১৩২ ৷ নন্দ এই কথা শ্রবণ করিয়া রোমাঞ্চিতকলেবর হইলেন এবং অনুতাপবশতঃ নিজদেহ তথায় চু্যত বলিয়া মনে করিলেন । ১৩৩ ৷ তখন স্বয়ং অনুরাগ ও বাসনা ত্যাগ করিয়া অনুত্তর ব্রহ্মচর্য্যের জন্য পৰ্য্যাপ্তভাবে সংযমী হইলেন । ১৩৪ ৷ তৎপরে তাহার গাঢ় মোহ ক্ষয় হওয়ায় সংশয় ছিন্ন হইলে শরৎকালে জলধির জলের ন্যায় মন প্রসন্ন হইল। ১৩৫। নন্দ নিষ্কাম ও শান্তিপ্রাপ্ত হইয়া উৎকৃষ্ট নিষ্ঠাবান হইলেন এবং বিশুদ্ধ হইয়া ভগবানের নিকট আগমন পূর্বক বলিলেন । ১৩৬ । ভগবন, অপসরোগণে বা সুন্দরীতে আমার কিছু প্রয়োজন নাই । এই সমস্ত বিষয়সম্পদ অন্তে বিরস ও পাপজনক। ১৩৭ ৷ যতই পদার্থের নিঃস্বভাবত ভাবনা করিতেছি, ততই নিরাবরণ বৃত্তিসকল প্রসাদ প্রাপ্ত হইতেছে। ১৩৮ । ভগবান, ক্রমে ক্রমে আৰ্ত্তপদপ্রাপ্ত এবংবাদী নন্দের নির্ববাণশুদ্ধ সিদ্ধি হইয়াছে, স্থির করিলেন । ১৩৯ ৷ নন্দ কিরূপ পুণ্যের ফল প্রাপ্ত হইল, এই কথা ভিক্ষুগণ জিজ্ঞাসা করিলে ভগবান জিন বলিয়াছিলেন। ১৪০ ৷ নন্দ জন্মান্তরার্জিত পুণাবলে সৎকাৰ্য্য অভ্যাস করিতেছিল এবং সেই পুণ্যেরই ফল প্রাপ্ত হইয়াছে। ১৪১ ৷ - নিৰ্ম্মল মহাবংশে জন্ম, কন্দপতুল্য দেহ, সুখকর ও লোকবলসমন্বিত সমৃদি, সতত স্থজনের প্রীতিকর ব্যবহার, প্রশমসলিলে স্নাত মন ও স্ব ভাবানুযায়িনী গতি এসমস্তই মনুষ্যের কুশলরূপ পুষ্পের মহাফলস্বরূপ । ১৪২ ৷