পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা.pdf/১৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

i ott ] কন্যা তাহার পাদপদ্ম সংবাহন করিলে পথশ্রাস্ত রাজা সহসা কন্যার করস্পর্শমুখে নিদ্রাগত হইলেন। ৩০ । ক্ষণকাল পরেই জাগরিত হইয়া মৃগয়াশ্রম আপনোদন পূর্বক দিব্যস্পর্শহেতুক কন্যাকে রূপান্তরগত রতির ন্যায় মনে করিলেন ৩১ তৎপরে শাক্যবংশীয় মহান কোশলেশ্বর আসিয়াছেন শুনিতে পাইয়া তথায় আগমন পূর্বক পূজাই রাজাকে যথোচিত সমাদর করিলেন । ৩২ ৷ প্রসেনজিৎ সমাদরপূর্বক প্রার্থনা করায় মহান কন্দপের মঙ্গলমালাস্বরূপ ও নিজকন্যার ন্যায় প্রতিপালিতা মালিকাকে রত্নার্হ রাজাকে সম্প্রদান করিলেন । ৩৩ । রাজা কন্দপের বিজয়বৈজয়ন্তীস্বরূপ ও শুভ্ৰহাস্যশালিনী মালিকাকে গ্রহণ করিয়া গজারোহণপূর্বক নিজরাজধানীতে গমন করিলেন । ৩৪ ৷ নগরে আগমনকালে ঐ কন্যা বসন্তরাজের সহিত সঙ্গতা ও লোলঅলকরুপ ষটপদশোভিতা নবমালিকার ন্যায় শোভিত হইয়াছিল । ৩৫ ৷ প্রসেনজিৎ ঐ সুন্দরী কন্যার সহিত রাজধানীতে আসিয়া রতুকিরণমণ্ডিত উদার প্রাসাদে সুখে বিহার করিতে লাগিলেন । ৩৬ । রাজার প্রথম মহিষী দেবী বর্ষাকার পৃথিবী যেমন রাজলক্ষীকে অভিন্নবৃত্তি জ্ঞান করেন, তদ্রুপ ইহাকে অভিন্ন জ্ঞান করিতেন । ৩৭। মহিষী বর্ষাকার মালিকার দিব্যস্পর্শে ও মালিকা বর্ষাকারার পরম সৌন্দর্য্যে পরস্পর পরস্পরের গুণোৎকর্ষহেতু বিম্মিত হইয়াছিলেন । ৩৮ ৷ জেঠা মহিষী দিব্যরূপবতী ও কনিষ্ঠ মহিষী দিব্যস্পর্শবর্তী ছিলেন। র্তাহীদের এইরূপ সাশ্চৰ্য্য প্রবাদ ত্রিলোকে বিশ্রুত হইয়াছিল । ৩৯ ৷